ইস্টবেঙ্গলের ভারপ্রাপ্ত কোচ বিনো জর্জ। ছবি: সংগৃহীত।
মরসুমের শুরুতে প্রত্যাশা জাগিয়েও আইএসএলের প্রথম তিনটি ম্যাচে হার। ইস্টবেঙ্গলে গত কয়েক সপ্তাহে বদলে গিয়েছে অনেক কিছুই। স্পেনীয় কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত বিদায় নিয়েছেন। অন্তবর্তীকালীন কোচ হিসাবে বিনো জর্জ দায়িত্ব নিয়েছেন। নতুন কোচ নিয়ে জল্পনা চলছে। দু’সপ্তাহ পরে কলকাতা ডার্বি। তার আগে শনিবার জামশেদপুর এফসি-কে হারিয়েই ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের আগের দিন বিনো এবং ক্লেটন সিলভার কথা শুনে মনে হল, তাঁরা শনিবার ‘হোম ম্যাচ’ খেলতে নামছেন।
কলকাতা থেকে জামশেদপুরের সড়কপথে দূরত্ব ২৮৩ কিলোমিটার। ট্রেনে লাগে ঘণ্টা চারেকের মতো। সকালে ট্রেন ধরলে বেলার মধ্যে পৌঁছে যাওয়া যায়। শনিবার সন্ধ্যায় হাজার খানেকের মতো ইস্টবেঙ্গল সমর্থকের থাকার কথা জেআরডি টাটা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে। সে কথা মনে করাতেই বিনো বললেন, “জামশেদপুর তো আমাদের কাছে ঘরের মাঠের মতোই। দুটো শহরের দূরত্বও বেশি নয়। কাল আমাদের অনেক সমর্থকও থাকবেন। আমাদের তিন পয়েন্ট চাই। তাই ঘরের মাঠেই জামশেদপুরকে হারাতে চাই।”
ক্লেটনের মুখেও একই কথা। অধিনায়ক বলেছেন, “কালকের ম্যাচে বেশ কিছু সমর্থক আসবেন শুনেছি। ওঁরা সংখ্যায় কম হলেও চিৎকারে কম নন। দু’বছর আগে এই মাঠে দারুণ একটা জয়ের স্মৃতি রয়েছে। সে বারও অনেক সমর্থক ছিলেন। শনিবারও আশা করি ওঁরা আমাদের সাহায্য করবেন।”
দু’বছর আগে জোড়া গোল করেছিলেন ক্লেটন। সেই ম্যাচে ৩-১ জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। এ বার তিনি এখনও গোল পাননি। পুরনো স্মৃতি তাজা শনিবার কি ফর্মে ফিরতে পারবেন? ক্লেটনের জবাব, “জামশেদপুর কঠিন প্রতিপক্ষ। তবে পুরনো স্মৃতি মনে পড়লে আত্মবিশ্বাস বাড়ে ঠিকই। শনিবারও কঠিন লড়াই হতে পারে। তবে মরসুমের প্রথম তিন পয়েন্ট পেতে আমরা ঝাঁপাব।”
কুয়াদ্রাত চলে যাওয়ার পরেও প্রস্তুতিতে যে কোনও প্রভাব পড়েনি সেটা স্পষ্ট বিনোর কথায়। তিনি বলেছেন, “আমরা যে ভাবে অনুশীলন করছিলাম সে ভাবেই করছি। জেতার মানসিকতা নিয়েই খেলতে নামব। প্রত্যেকে প্রস্তুত।” তাঁর সংযোজন, “প্রথম তিনটে ম্যাচে হারলেও আমরা ভাল খেলেছি। ছোট ছোট ভুলের জন্য হেরেছি। কাল যাতে সেই ভুল না হয় তারই চেষ্টা করব।”
আনোয়ার আলির খেলা ইতিমধ্যেই আতসকাচের তলায়। তিনি একেবারেই ভাল খেলতে পারছেন না। যদিও বিনো পাশে দাঁড়িয়েছেন আনোয়ারের। বলেছেন, “আনোয়ার টানা জাতীয় দলে খেলছে। খুব ভাল খেলোয়াড়। ও দলের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে। কী চাই, কৌশল কী বুঝে গিয়েছে। আমরা ওকে রেখেই পরিকল্পনা তৈরি করছি।”
আইএসএলে এখনও পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গল ও জামশেদপুর আট বার মুখোমুখি হয়েছে। জামশেদপুর তিন বার এবং লাল-হলুদ দু’বার জিতেছে। তিনটি ম্যাচ ড্র হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy