Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
East Bengal

‘এই জয় গোটা দলের, সমর্থকদের,’ ইস্টবেঙ্গলকে সুপার কাপ জিতিয়ে বললেন অধিনায়ক ক্লেটন

তাঁর গোলে ফাইনালে জিতেছে দল। জাতীয় পর্যায়ে দীর্ঘ ১২ বছরের ট্রফি খরা মিটেছে। সেই ক্লেটন সিলভা ট্রফি উৎসর্গ করলেন সমর্থকদের। জানালেন, গোটা দলের প্রচেষ্টা ছাড়া ট্রফি জয় সম্ভব হত না।

football

ক্লেটন সিলভা। ছবি: এক্স।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ২৩:০৭
Share: Save:

ক্যাপ্টেন, লিডার, লেজেন্ড।

ভারতীয় ফুটবলে এই নামে ডাকা হয় সুনীল ছেত্রীকে। রবিবারের পর থেকে সেই বিশেষণ বসানো যেতে পারে ক্লেটন সিলভার ক্ষেত্রেও। অধিনায়ক এবং আদ্যোপান্ত টিমম্যান বলতে যা বোঝায়, তিনি তাই-ই। তাঁর গোলে ফাইনালে জিতেছে দল। জাতীয় পর্যায়ে দীর্ঘ ১২ বছরের ট্রফি খরা মিটেছে। সেই ক্লেটন পুরস্কার বিতরণীর সময় ট্রফি নিতেই চাইলেন না। বাঁ হাত থেকে অধিনায়কের আর্মব্যান্ড খুলে পরিয়ে দিলেন শৌভিক চক্রবর্তীর হাতে। বঙ্গসন্তানের হাতেই ট্রফি তুলে দিলেন আয়োজকেরা। ক্লেটনের এমন আচরণ দেখে গ্যালারিতে হাততালির ঝড়।

এই গোল, এই ট্রফিতে ব্রাজিলীয় ফুটবলার দলের জন্য কতটা খুশি তা বোঝা যায় ম্যাচ শেষ হওয়ার পরেই। সম্প্রচারকারী চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্লেটন বলেন, “এই জয় শুধু আমার নয়, গোটা দলের। ম্যাচ শেষ হওয়ার দু’মিনিট আগে আমরা গোল খেয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু হাল ছাড়িনি। গোটা দল কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছে। পাঁচটা ম্যাচেই ভাল খেলেছি। খুব ভাল লাগছে। ডুরান্ড কাপে মোহনবাগানের কাছে হারের ব্যথা ছিল। সেটা কিছুটা হলেও ভুলতে পেরেছি।”

আইএসএলের শুরুর দিকে ফর্ম না থাকার প্রসঙ্গও উঠে এসেছে ক্লেটনের কথায়। প্রত্যাবর্তনের রহস্য ফাঁস করে তিনি বলেন, “মরসুমের প্রথম চার-মাস আমি ভাল খেলতে পারিনি। নিজেকে নিয়ে একেবারেই খুশি ছিলাম না। মাঝে দু’-তিন সপ্তাহের জন্য ছুটি পেয়ে নিজেকে নতুন করে তৈরি করে তুলেছি। স্ত্রীর সঙ্গে সময় কাটিয়েছি। আরও ভাল খেলার সঙ্কল্প নিয়েছি। আমি জানতাম যে কাজটা করছি সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোচ এবং সমর্থকেরা আমার উপরে বিশ্বাস রেখেছেন। তাই আমি জানতাম, আরও একটু বেশি দিতে পারলে ভাল কিছু হতেই পারে।”

সুপার কাপে সবচেয়ে বেশি গোল তাঁরই। পেয়েছেন পুরস্কারও। এ বার কি আইএসএলের সোনার বুট তাঁর লক্ষ্য? ক্লেটন বললেন, “আমি বরাবর গোল করতে ভালবাসি। আগামী দিনেও তাই থাকবে। সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার ইচ্ছে সবারই থাকে। আমারও রয়েছে।”

খুশি ভাসছেন আর এক বিদেশি হিজাজিও। জর্ডন থেকে যাঁকে নিজে বেছে তুলে এনেছিলেন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। সেই হিজাজি বললেন, “খুব খুশি ক্লাবকে ট্রফি দিতে পেরে। ভারতে এসে আমার প্রথম ট্রফি। জানতাম এই ক্লাব অনেক দিন ট্রফি জেতেনি। এই জয়ের নিজের অবদান রয়েছে দেখে ভাল লাগছে। সতীর্থেরা আমাকে খুবই সাহায্য করেছে মানিয়ে নিতে। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে আরও অনেক ট্রফি জিততে চাই।”

অন্য বিষয়গুলি:

East Bengal Cleiton Silva Kalinga Super Cup
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy