গোলের পর তুহিনের উল্লাস। ছবি: টুইটার।
কলকাতা লিগে টানা দ্বিতীয় জয় ইস্টবেঙ্গলের। বৃহস্পতিবার নৈহাটি স্টেডিয়ামে তারা ২-০ গোলে হারাল খিদিরপুরকে। গোল করেন তুহিন দাস এবং সিকে আমন। অজস্র সুযোগ নষ্ট করেছে ইস্টবেঙ্গল। গোটা ম্যাচে আধিপত্য দেখিয়েও মাত্র দু’গোলে জিততে হল লাল-হলুদকে। খেলাতে হল সিনিয়র দলের তিন ফুটবলারকে।
প্রথমে ঠিক ছিল জুনিয়র ফুটবলারদের দিয়ে কলকাতা লিগে খেলবে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু দলের অবস্থা খারাপ দেখে কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের অনুমতি নিয়ে সিনিয়র দল থেকে তিন জন ফুটবলারকে নেওয়া হয়। শৌভিক চক্রবর্তী আসেন মাঝমাঠে। এ ছাড়া সদ্য লাল-হলুদে সই করা গুরসিমরত গিলকেও দলে রাখেন কলকাতা লিগে ইস্টবেঙ্গলের কোচ বিনো জর্জ। ছিলেন মহম্মদ রাকিপও।
তার ফল মিলতে শুরু করে প্রথম মিনিট থেকেই। শৌভিকের সৌজন্যে মাঝমাঠের দখল নিয়ে নেয় ইস্টবেঙ্গল। একাই বিভিন্ন সতীর্থকে বল পাস করে গোলের মুখ খোলার চেষ্টা করছিলেন শৌভিক। ৩২ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের প্রথম গোল। বিপক্ষের ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে একাই বল নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন তুহিন। বক্সের সামান্য বাইরে থেকে তাঁর বাঁ পায়ের জোরালো শট ধরতে পারেননি বিপক্ষ গোলকিপার প্রিয়ন্ত সিংহ।
বাকি সময়টায় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল ইস্টবেঙ্গলেরই। বলের দখল ছিল ৬০ শতাংশ। কিন্তু কিছুতেই গোল আসছিল না। বিরতির সামান্য আগে ভাল জায়গায় ফ্রিকিক পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু শৌভিকের শট গোলের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। তবে প্রথমার্ধে আমন, কুশ ছেত্রী এবং অভিষেক কুঞ্জমরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে ব্যবধান বাড়ত।
From center line to goal - the Tuhin goal of East Bengal.
— EAST BENGAL News Analysis (@QEBNA) July 20, 2023
Do not forget that Tuhin is a young guy. We need to groom him for ISL.The only way he can be groomed for ISL is through regular competitive match experience in CFL- not through dry pre-season training. pic.twitter.com/oOfSZUoG27
দ্বিতীয়ার্ধেও ইস্টবেঙ্গলের চাপ বজায় থাকে। ৫২ মিনিটে জোড়া সেভ করেন প্রিয়ন্ত। শৌভিকের ফ্রিকিক থেকে গুরসিমরতের শট বাঁচিয়ে দেন খিদিরপুরের গোলকিপার। ফিরতি বল যাতে গোলে না ঢোকে তার জন্যে আবার ঝাঁপান তিনি। শেষে খিদিরপুরের এক ফুটবলার সেই বল ক্লিয়ার করে দেন। এর পর কিছুটা সময়ের জন্যে খেলায় ফেরে খিদিরপুর। মহম্মদ সৌকাথালির কাছে গোলের সুযোগ এলেও কাজে লাগাতে পারেননি।
৭১ মিনিটে কুশ একটি দারুণ সুযোগ নষ্ট করেন। বাঁ দিক থেকে বল নিয়ে ক্রস করেছিলেন দীপ সাহা। সামনে একা গোলকিপার থাকলেও কুশের শট বারের উপর দিয়ে উড়ে যায়। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে দ্বিতীয় গোল আমনের। কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে প্রথম সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলেও দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় গোল করে যান আমন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy