ময়দানের খেলাধুলোর পরিবেশ নিয়ে খুশি নয় সেনা। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
কলকাতার তিন বড় ক্লাব ইস্টবেঙ্গল, এটিকে মোহনবাগান এবং মহমেডান এই বছর কলকাতা ফুটবল লিগ এবং ডুরান্ড কাপে অবশ্যই খেলবে। বাংলার ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে কথা দিল তিন বড় ক্লাব।
ক্রীড়ামন্ত্রীর দফতরে সোমবার একটি বৈঠক হয়। এই বৈঠক যে হবে, সে কথা আনন্দবাজার অনলাইন আগেই জানিয়েছিল। বৈঠকে ক্রীড়ামন্ত্রী এবং তিন ক্লাবের প্রতিনিধি ছাড়াও ছিলেন সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের শীর্ষ কর্তারা। এ ছাড়াও পিডব্লিউডি এবং ক্রীড়া দফতরের আধিকারিকরাও ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
কলকাতা ময়দানের ফুটবল পরিবেশ দেখে চটেছে সেনা। তারা বেশি ক্ষুব্ধ দুই বড় ক্লাব ইস্টবেঙ্গল এবং এটিকে মোহনবাগানের উপর। সেনার বক্তব্য, খেলাধুলোর উন্নতির জন্য কলকাতা ময়দানকে তারা বিভিন্ন ক্লাবের কাছে লিজ দিয়েছে। কিন্তু উন্নতি তো দূরের কথা, খেলাই সে ভাবে হচ্ছে না।
গত বছর সেনাবাহিনী আয়োজিত ডুরান্ড কাপে ইস্টবেঙ্গল এবং এটিকে মোহনবাগান খেলেনি। এটা ভাল ভাবে নেয়নি সেনা। ভারতের প্রাচীনতম এবং পৃথিবীর দ্বিতীয় প্রাচীনতম প্রতিযোগিতায় দুই বড় ক্লাব না খেলায় সেনাবাহিনী অত্যন্ত বিরক্ত। তাদের আশঙ্কা, এই বছরও হয়তো খেলবে না এই দুই ক্লাব। এই বছর অগস্ট-সেপ্টেম্বরে ডুরান্ড কাপ হওয়ার কথা।
গত বছর কলকাতা লিগেও খেলেনি ইস্টবেঙ্গল এবং এটিকে মোহনবাগান। বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের নানা বিষয় নিয়ে ঝামেলা চলছিল। সেই কারণে তারা খেলতে পারেনি। এএফসি কাপে খেলা ছিল এটিকে মোহনবাগানের। সেই জন্য তাদের পক্ষে লিগে খেলা সম্ভব হয়নি।
জানা গিয়েছে, সোমবারের বৈঠকে ইস্টবেঙ্গলকে প্রশ্ন করা হয়, খেলতে গেলে তো ফুটবলার দরকার। আগের বার তো তারা দলই ঠিক মতো গড় তুলতে পারেনি। এ বারও কি সেই একই পরিস্থিতি হবে? তখন ক্রীড়ামন্ত্রী আশ্বাস দেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই লাল-হলুদ দল তৈরি করে ফেলবে। সেনার বক্তব্য, একটা প্রতিযোগিতা খেলতে গেলে ৩০ জনের মতো ফুটবলার দরকার। তারা আইএসএল, ডুরান্ড, সুপার কাপের মত প্রতিযোগিতাগুলি খেলবে। আর কলকাতা লিগ-সহ, অন্য প্রতিযোগিতায় খেলার জন্য ৩০ জনের রিজার্ভ দল তৈরি করতে হবে। ম্যাচ আর পরিস্থিতি বুঝে প্রথম দলের তিন-চার জনকে হয়ত এই প্রতিযোগিতাগুলিতে খেলতে হতে পারে।
জানা যাচ্ছে, সেনার তরফে ইস্টবেঙ্গলের বিনিয়োগকারী নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। গত ২৪ মে মুখ্যমন্ত্রী ইস্টবেঙ্গলের ইনভেস্টরের নাম ঘোষণা করেছিলেন। সেনার প্রশ্ন, তার পর থেকে আজ পর্যন্ত আর কিছু এগয়নি। ফুটবলার, কোচ, সাপোর্ট স্টাফ নেই। অনুশীলনের কোনও তোড়জোড় নেই। সেনা জানতে চায়, এই পরিস্থিতিতে কীসের ভিত্তিতে তারা খেলবে? ক্রীড়ামন্ত্রী তখন নিজে উদ্যোগী হয়ে তিন ক্লাবের খেলার ব্যাপারেই কথা দেন সেনাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy