ওড়িশার বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েও জিততে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। ছবি: এক্স (টুইটার)।
আইএসএলের ম্যাচে বৃহস্পতিবার এগিয়ে গিয়েও ওড়িশা এফসির কাছে হারতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। তবু প্রথম ছয় দলের মধ্যে শেষ করা আশা ছাড়ছে না লাল-হলুদ শিবির। ওড়িশার মতো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল প্রথম একাদশে রাখেনি নওরেম মহেশ, সৌভিক চক্রবর্তী, নন্দকুমার শেকরদের। কেন এমন পরিকল্পনা? দলের অন্যতম সহকারী কোচ বিনো জর্জের দাবি, ঘন ঘন ম্যাচ খেলার ক্লান্তি এড়াতেই কয়েক জন ফুটবলারকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত কার্ড সমস্যার জন্য আগের ম্যাচে ডাগ-আউটে বসতে পারেননি। তাঁর জায়গায় এক দিনের জন্য দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন জর্জ।
দ্বিতীয়ার্ধে একাধিক পরিবর্তনের পর ইস্টবেঙ্গলের খেলার গতি বাড়ে। অনেক বেশি সঙ্ঘবদ্ধ আক্রমণ তৈরি হয়। প্রথমার্ধেও লাল-হলুদ ফুটবলারেরা তেমন খেলতে পারলে ম্যাচর ফল অন্য রকম হতে পারত। কেন প্রথম একাদশে পাঁচটি পরিবর্তন করে ওড়িশার বিরুদ্ধে দল সাজালেন? জর্জ বলেছেন, ‘‘তিন দিন আগে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে আমাদের একটা কঠিন ম্যাচ খেলতে হয়েছে। সে দিন যারা খেলেনি, তাদের এই ম্যাচে নামানোর পরিকল্পনা ছিল আমাদের। তা-ও আমরা ওড়িশার থেকে গোলের বেশি সুযোগ তৈরি করেছি। পর পর ম্যাচ খেলা আইএসএলের নিয়মের মধ্যেই পড়ে। সেটা মেনেই খেলতে হবে। কিছু করার নেই।’’
কুয়াদ্রাতের পরামর্শ মতোই দায়িত্ব পালন করেছেন জর্জ। তিনি খুব একটা উদ্বিগ্ন নন ওড়িশার কাছে হারে। ম্যাচের পর আইএসএলের ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘‘এই হারকে আমরা নেতিবাচক ভাবে দেখছি না। আমাদের অনেক নতুন ফুটবলার এসেছে। যেমন বিষ্ণু। ম্যাচের শুরুতেই গোল পেয়ে যাওয়ায় ওর আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি পেয়ে গিয়েছিল। আমরা একটা লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। আমরা ভুলগুলো শোধরানোর চেষ্টা করছি।’’
প্রথম ছয় দলের মধ্যে শেষ করার আশাও ছাড়ছে না লাল-হলুদ শিবির। জর্জ বলেছেন, ‘‘এখনও কয়েকটা ম্যাচ আছে আমাদের হাতে। আমরা চেষ্টা করছি। পরিশ্রম করছি। প্রথম ছয় দলে থাকার লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছি আমরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy