যুযুধান: গুয়ার্দিওলার অস্ত্র দ্য ব্রুইন। ম্যাঞ্চেস্টার পৌঁছে বেঞ্জেমা। ছবি টুইটার।
একটা দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১৩ বার চ্যাম্পিয়ন। এই মরসুমেও খেতাবের অন্যতম দাবিদার রিয়াল মাদ্রিদ। আর একটি দল প্রত্যেক বার আশা জাগিয়েও ব্যর্থ। ইউরোপ সেরা হওয়া স্বপ্ন অধরাই থেকে গিয়েছে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির। এ বার কী হবে? কার্লো আনচেলোত্তির কোচিংয়ে রিয়াল কি পারবে ১৪তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে? নাকি পেপ গুয়ার্দিওলার হাত ধরে প্রথম বার ইউরোপের সেরা ক্লাব হওয়ার স্বীকৃতি ছিনিয়ে আনতে সফল হবেন কেভিন দ্য ব্রুইনরা?
মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের প্রথম পর্বের দ্বৈরথের পরেই চিত্রটা অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। ম্যান সিটির সমর্থকদের অনেকেই মনে করেছেন, ঘরের মাঠে তাঁদের প্রিয় দল রিয়ালের বিরুদ্ধে এগিয়ে থাকবে। কিন্তু ফুটবল বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়ে বলছেন, ‘‘বেঞ্জেমা, ভিনিসিয়াস জুনিয়রদের হালকা ভাবে নেওয়া মানেই বিপদ ডেকে আনা। ম্যান সিটির ম্যানেজার অবশ্য খুব ভাল করেই চেনেন তাঁর প্রতিপক্ষকে। বার্সেলোনায় ফুটবলার ও ম্যানেজার হিসেবে অসংখ্য ম্যাচ খেলেছেন। সাংবাদিক বৈঠকে পেপ বলেছেন, ‘‘রিয়াল মাদ্রিদ কত ভাল দল, তা ব্যাখ্যা করা জরুরি নয়। ওদের ইতিহাসের সঙ্গে যদি লড়াই করি, তা হলে আমাদের কোনও সুযোগই নেই।’’ এর পরেই পেপের হুঙ্কার, ‘‘ইতিহাস কখনও আমরা পরিবর্তন করতে পারব না। আমাদের লড়াই এগারো জন ফুটবলারের বিরুদ্ধে।’’
গত সাত মরসুমে এই নিয়ে তৃতীয় বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে খেলছে ম্যান সিটি। সেখানে রিয়াল গত ১২ বছরে এই নিয়ে ১০বার। যদিও ২০১৮ সালে শেষ বার ইউরোপ সেরা হয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডারো। জ়িনেদিন জ়িদানের কোচিংয়ে ফাইনালে লিভারপুলকে ৩-১ গোলে হারায় রিয়াল। দুই তারকার কেউ-ই এখন নেই। তা সত্ত্বেও রিয়াল ভয়ঙ্কর। নেপথ্যে বেঞ্জেমা। সি আর সেভেনের অভাব তিনি একাই দূর করে দিয়েছেন। বেঞ্জেমার গোল করা আটকানোই অগ্নিপরীক্ষা ম্যান সিটির রক্ষণের।
রিয়ালের মুখোমুখি হওয়ার আগে পেপের অস্বস্তি বাড়াচ্ছে ফুটবলারদের চোট। জন স্টোনস ও কাইল ওয়াকার মঙ্গলবারের ম্যাচে অনিশ্চিত। তবে ইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকা ম্যান সিটি যে মঙ্গলবারের লড়াইয়ের জন্য তৈরি, স্পষ্ট করে দিয়েছেন পেপ। বলেছেন, ‘‘রিয়ালের বিরুদ্ধে খেলা গৌরবের। ওরা এই জায়গায় বহু বছর রয়েছে। সম্প্রতি আমরাও উঠে এসেছি।’’
সতর্ক আনচেলোত্তিও। ম্যানেজার বলেছেন, ‘‘ম্যান সিটি অসাধারণ দল। ওরা কোনও সময়ই এক ধরনের ফুটবল খেলে না। কখনও আক্রমণে তিন জন থাকে। কখনও আবার দু’জন। অনেক সময় রাইটব্যাক মাঝমাঠে বল ধলে খেলার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয়। এই কারণেই ম্যান সিটি অন্য দলগুলির চেয়ে আলাদা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy