উচ্ছ্বাস: দলের প্রথম গোলের পরে উল্লাস এডি-র। ছবি গেটি ইমেজেস।
কারাবাও কাপ
আর্সেনাল ৫ সান্ডারল্যান্ড ১
আর্সেনাল দলে সেই অর্থে খুব বড় তারকা এখন কেউ নেই। তাদের ম্যানেজার মিকেল আর্তেতাও তরুণ। যিনি এক সময় ম্যাঞ্চেস্টার সিটিতে পেপ গুয়ার্দিওলার সহকারী ছিলেন। তবু অনামীদের নিয়েই আর্সেনাল এ বার বেশ ভাল খেলছে। ইপিএল টেবলে তারা চতুর্থ স্থানে রয়েছে ১৮ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট পেয়ে। ম্যান সিটি (৪৪), লিভারপুল (৪১) ও চেলসির (৩৮) পরেই রয়েছে তারা।
মঙ্গলবার কারাবাও কাপের সেমিফাইনালেও উঠল আর্সেনাল। তা-ও সান্ডারল্যান্ডকে ৫-১ হারিয়ে। হ্যাটট্রিক করে নায়ক এডি কেড্ডার এনকেটিয়া (১৭, ৪৯ ও ৫৮ মিনিট)। যাঁর বয়স ২২। চেলসি ছেড়ে দেওয়ায় আর্সেনাল তাঁকে নিয়েছিল। এমিরেটস স্টেডিয়ামে অভিষেক ম্যাচে নজর কাড়েন আর্সেনালের ১৮ বছরের ফুটবলার চার্লি পাতিনোও। সংযুক্ত সময়ে তিনি গোলও করেন। আর্সেনালের অন্য গোল
পেপের (২৭ মিনিট)।
তারই মধ্যে কোভিডের নতুন সংক্রমণ নিয়ে ফুটবালরেদর মধ্যেও বাড়ছে আতঙ্ক। বুধবার যে প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন লিভারপুল অধিনায়ক জর্ডান হেন্ডারসন। তিনি জানিয়েছেন, করোনা আতঙ্কের মধ্যেও যে ভাবে ঘনঘন ম্যাচ খেলতে হচ্ছে, তা ফুটবলারদের পক্ষে মোটেও সুখকর নয়।
গত দুই সপ্তাহে পাঁচটি ম্যাচ খেলেছে লিভারপুল। তারই মধ্যে বড়দিনেও কোভিডের আতঙ্ককে দূরে সরিয়ে ম্যাচ চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইপিএল কমিটি। তা নিয়েই বিরক্ত হেন্ডারসন। তিনি বলেছেন, ‘‘সাধারণ মানুষ কল্পনাও করতে পারেন না, কী পরিস্থিতির মধ্যে ফুটবলারদের মাঠে নামতে হচ্ছে। এটা ঠিক যে, আজ যে জায়গায় উঠে এসেছি, তার জন্য ফুটবলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। কিন্ত এই মুহূর্তে পরিস্থিতি যেরকম বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে, তাতে আমার মতো সমস্ত ফুটবলারদের পক্ষেই সেরা ফুটবল খেলা সম্ভব হচ্ছে না।’’ তিনি যোগ করেছেন, ‘‘এক দিকে কোভিডের ভয়, অন্য দিকে ম্যাচ জয় ধরে রাখার চাপ। দুটো জিনিসকে মিলিয়ে চলা ক্রমশ দুষ্কর হয়ে উঠছে। আমার মনে হয়, ফুটবলারদের নিয়ে কারও মেন সহমর্মিতা নেই। দর্শক থেকে ক্লাব আধিকারিক, সকলেই আমাদের থেকে সেরা ফুটবল আশা করেন। কিন্তু আমাদের দিকটাও তো ভেবে দেখতে হবে সকলকে। সেটা নিয়ে কারও মাথাব্যথা রয়েছে বলে মনে হয় না।’’
হেন্ডারসনের বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন আর্সেনাল ম্যানেজার আর্তেতা। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি মনে করি, ফুটবলারদের বক্তব্যও শুনতে হবে। ওদের বাদ দিয়ে তো কোনও কিছু সম্ভব নয়। ঘটনা হল, মুখে সেই বিষয়টা অনেক কথা বলা হলেও কাজে তার কোনও প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। এটা নিয়েও সকলকে ভাবতে হবে।’’
অ্যাস্টন ভিলা ম্যনেজার স্টিভন জেরার বলেছেন, ‘‘করোনা সংক্রমণ নতুন ভাবে শুরু হওয়ার পরে আমার দলের স্বাভাবিকত্ব নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই দলে অনেক তরুণ ফুটবলার রয়েছে, যাদের পরিবার রয়েছে। ওরা যাতে কোনও অবস্থায় করোনায় আক্রান্ত না হয়, তা নিয়ে আমাকেও সতর্ক থাকতে হচ্ছে। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির খুব উন্নতি হয়নি। আমার মনে হয়, ফুটবলারদের বক্তব্যকেও গুরুত্ব সহকারে শোনা দরকার। ওরা সুস্থ না থাকলে ফুটবল কোনও ভাবেই এগোতে পারবে না।’’
চেলসি ম্যানেজার থোমাস টুহল আবার মনে করেন, এই অবস্থায় ফুটবলারদের থেকে তিনি কোনও ভাবেই সেরা ফুটবল আশা করেন না। তিনি বলেছেন, ‘‘যে ভাবে আমার দলের বেশ কিছু ফুটবলার করোনায় আক্রান্ত হয়েছে, তার পরে আমি কোনও ঝুঁকিই নিতে পারছি না। ওদের কী ভাবে সুস্থ রাখা যায়, সেটাই আমার কাছে এখন সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy