এক দিকে নেশনস লিগ, অন্য দিকে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্ব। বিশ্বের দুই প্রান্তে দেশের হয়ে লড়ছেন ফুটবলারেরা। বৃহস্পতিবার রাতে এক দিকে ব্রাজিল ভিনিসিয়স জুনিয়রের শেষ মুহূর্তের গোলে জয় পেল। অন্য দিকে, জার্মানি হারিয়ে দিল ইটালিকে।
ব্রাজিলের জয়
বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের লড়াই চলছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলির মধ্যে। সেখানে ব্রাজিল ২-১ গোলে জিতল কলোম্বিয়ার বিরুদ্ধে। ৯৯ মিনিটে গোল করেন ভিনি। তাঁর করা গোলেই ম্যাচ জিতে নেয় পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নেরা। ম্যাচের ছ’মিনিটের মাথায় রাফিনহার গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ব্রাজিল। ভিনিসিয়সকে বক্সের মধ্যে ফাউল করেছিলেন দানিয়েল মুনোজ। পেনাল্টি পেয়ে যায় ব্রাজিল। সেখান থেকে গোল করতে ভুল করেননি রাফিনহা। ৪১ মিনিটে কলোম্বিয়ার হয়ে সেই গোল শোধ করেন লুইস দিয়াজ়। ৬৮ মিনিটে দ্বিতীয় গোল পেয়ে যেত কলোম্বিয়া। কিন্তু ব্রাজিলের গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার নিশ্চিত গোল আটকে দেন। যখন মনে করা হচ্ছিল ১-১ গোলেই শেষ হবে ম্যাচ, সেই সময় রিয়াল মাদ্রিদের উইঙ্গারের গোলে ম্যাচ জিতে নেয় ব্রাজিল।
দক্ষিণ আমেরিকার গ্রুপ থেকে বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জনের অন্য একটি ম্যাচে প্যারাগুয়ে হারিয়ে দিয়েছে চিলিকে। ১-০ গোলে জিতেছে প্যারাগুয়ে।
আরও পড়ুন:
ইটালির হার
নেশনস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয় ইটালি এবং জার্মানি। দুই পর্বের সেই লড়াইয়ের প্রথম পর্বে হেরে গেল ইটালি। যদিও তারাই ম্যাচে এগিয়েছিল। ৯ মিনিটের মাথায় গোল করেছিলেন সান্দ্রো টোনালি। কিন্তু প্রথমার্ধে এগিয়ে থাকা ইটালি দ্বিতীয়ার্ধে দু’গোল হজম করে। টিম ক্লেইনডিয়েনস্ট এবং লিয়োঁ গোরেৎজ়কা গোল করেন জার্মানির হয়ে। ২০২৩ সালের পর আবার দেশের জার্সি পরার সুযোগ পেয়েছিলেন গোরেৎজ়কা। প্রত্যাবর্তন স্মরণীয় করে রাখলেন গোল করে দলকে জিতিয়ে। দ্বিতীয় পর্বে ঘরের মাঠে খেলবে জার্মানি।
রোনাল্ডোদের হার
দেশের হয়ে খেলতে নেমে হারলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। মাঠে দাঁড়িয়ে দেখতে হল বিপক্ষের গোলদাতা তাঁকে নকল করে উৎসব করলেন। গোল করে রোনাল্ডোকে ‘সিউ’ উৎসব করতে দেখা যায়। কিন্তু পর্তুগালের তারকা ডেনমার্কের বিরুদ্ধে গোল করতে পারেননি। প্রথম লেগে ০-১ গোলে হেরে যায় পর্তুগাল। ডেনমার্কের হয়ে গোল করেন রাসমাস হোলান্ড। তিনি রোনাল্ডোর মতো ‘সিউ’ উৎসব করেন। হোলান্ড খেলেন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে। যে দলের হয়ে খেলেই বিশ্ব ফুটবলে নজর কেড়েছিলেন রোনাল্ডো।
তিন গোল হজম বেলজিয়ামের
সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার সুযোগ পায়নি বেলজিয়াম। বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে প্লে-অফ খেলতে নেমেছিল তারা। ২০২৩ সালের পর বেলজিয়ামের গোলের নীচে প্রথম বার দেখা গেল থিবো কুর্তোয়াকে। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই তিন গোল হজম করতে হল তাঁকে। প্রথমার্ধে রোমেলু লুকাকুর গোলে এগিয়ে গিয়েছিল বেলজিয়াম। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে তিনটি গোল করে ইউক্রেন। ওলেক্সি হাতসুলিয়াক, ভ্লাদিস্লাভ ভানাত এবং ইলিয়া জাব্রানি গোল করে দলকে জেতান। ম্যাচ শেষে লুকাকু বলেন, “দ্বিতীয়ার্ধে ওরা ম্যাচের দখল নিয়েছিল। আমরা জেতার আশা করেছিলাম, কিন্তু খেলতে পারিনি। তৃতীয় গোলটা খাওয়া উচিত হয়নি। আমাদের আত্মবিশ্বাসের অভাব ছিল। আগামী সপ্তাহে আশা করছি পরিস্থিতি পাল্টাবে। মানসিক ভাবে শক্তিশালী হতে হবে দলকে।” দ্বিতীয় পর্বে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে অন্তত তিন গোলের ব্যবধানে জিততে হবে বেলজিয়ামকে। না হলে নেশনস লিগে দ্বিতীয় সারির লিগে নেমে যেতে হবে তাদের।