চর্চায়: রেফারি ফেলিক্স। যাঁর কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন। রয়টার্স
ডর্টমুন্ড- ২ : বায়ার্ন মিউনিখ- ৩
\একশো মিনিটের রুদ্ধশ্বাস লড়াই শুধু মাঠেই সীমাবদ্ধ থাকল না। শনিবার বুন্দেশলিগায় ঘরের মাঠে বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে ২-৩ হারের পরে রেফারির সততা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল বরুসিয়া ডর্টমুন্ড শিবির।
বরুসিয়ার তারকা জুড বেলিংহ্যাম এবং আর্লিং হালান্ড খেলা শেষ হতেই রেফারি ফেলিক্স জ়য়ারের সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। প্রসঙ্গত এই রেফারির বিরুদ্ধেই একসময় ম্যাচ গড়াপেটায় জড়িয়ে থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছিল। তিনি ছ’মাসের জন্য নির্বাসিতও হন। শনিবার ডার্বিতেও তাঁর বেশ কিছু সিদ্ধান্তে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বরুসিয়ার ফুটবলাররা। বিশেষ করে বায়ার্ন পেনাল্টি পাওয়ার পরে।
বেলিংহ্যাম বলেন, ‘‘বায়ার্নকে পেনাল্টিটা তো রেফারিই উপহার দিলেন। হুমেলস কি বলের দিকে তাকিয়ে ছিল? বলই বরং ওর গায়ে এসে লাগে। এই পেনাল্টিটা ছাড়াও বেশ কয়েক বার রেফারি আমাদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’’ যোগ করেন, ‘‘তা ছাড়া এমন একজন রেফারিকে এত বড় একটা ম্যাচের দায়িত্ব দেওয়া হল, যিনি অতীতে ম্যাচ গড়াপেটা পর্যন্ত করেছেন! এত খারাপ রেফারি নিয়োগ হলে যা হওয়ার সেটাই হয়েছে।’’
কম যাননি হালান্ডও। তিনি বলেন, ‘‘রেফারি যেটা করলেন, তাকে কেলেঙ্করি ছাড়া অন্য কিছুই বলতে পারছি না। আমাদের একটা নিশ্চিত পেনাল্টি দিলেন না। আমরা ওঁকে ভিডিয়ো দেখতে বললাম। উনি উদ্ধত ভাবে বলে দিলেন, তার নাকি কোনও প্রয়োজনই নেই!’’
যদিও সেই বিতর্ক বাদ দিলে শনিবারের রাত ফের স্মরণীয় করে রাখলেন রবার্ট লেয়নডস্কি। লিয়োনেল মেসির কাছে বালঁ দ্যর ট্রফির দৌড়ে পিছিয়ে পড়লেও পোলান্ড তারকার গোল অভিযান আগের মতোই চলছে। ফরাসি ফুটবল সংস্থার মেসিকে বর্ষসেরার পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুলেছিলেন লোথার ম্যাথেউস, থোমাস মুলাররা। জার্মান সংবাদমাধ্যম একধাপ এগিয়ে মন্তব্য করেছিল, আর্জেন্টিনীয় কিংবদন্তিকে পুরস্কার দেওয়াটা আসলে
একটা ‘কেলেঙ্কারি’!
শনিবার বায়ার্নের তিনটি গোলের দু’টিই করলেন ‘গোলমেশিন’ লেয়নডস্কি। তার মধ্যে একটি পেনাল্টি থেকে। লেয়নডস্কি পেনাল্টি থেকে গোল করেন ৭৭ মিনিটে। বায়ার্ন পেনাল্টি পায় বক্সের মধ্যে ম্যাটস হুমেলস হাতে বল লাগানোয়। এমনিতে খেলার পাঁচ মিনিটেই বরুসিয়া এগিয়ে গিয়েছিল ইউলিয়ান ব্রান্ডটের গোলে। এ দিকে, তার ঠিক চার মিনিট পরেই লেয়নডস্কি ১-১ করে দেন। ৪৪ মিনিটে কিংসলে কোমানের গোলে বায়ার্ন এগিয়েও যায়। যদিও দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতে না হতেই (৪৮ মিনিট) সমতা ফেরান চোট সারিয়ে মাঠে ফেরা আর্লিং হালান্ড।
লেয়নডস্কি খেললে এখন নতুন রেকর্ড সৃষ্টিটা নিয়ম হয়ে গিয়েছে। বায়ার্নের হয়ে পোলিশ তারকার জয়ের গোলটি ২০২১-এ করা তাঁর ৬৬ নম্বর গোল। ৫৫ ম্যাচে। বুন্দেশলিগায় বাইরের মাঠে ১১৮তম গোল। জার্মান লিগের ইতিহাসে কোনও ফুটবলার বাইরের মাঠে খেলে এত গোল কখনও করতে পারেননি।
শনিবার বরুসিয়ার ম্যানেজার মার্কো রোজকে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বার করে দেন রেফারি। প্রথম বার তিনি পেনাল্টির দাবিতে টাচলাইনের ধারে দাঁড়িয়ে চিৎকার করেছিলেন। তখনই তাঁকে সতর্ক করা হয়। দ্বিতীয় বার তিনি একই কাজ করেন বায়ার্ন পেনাল্টি পাওয়ার পরে। এ বার রেফারি তাঁকে গ্যালারিতে পাঠিয়ে দেন লাল কার্ড দেখিয়ে।
শনিবারের জয়ে বুন্দেশলিগা টেবলে নিজেদের জায়গা আর একটু পোক্ত করল বায়ার্ন। শীর্ষে থেকে তাদের পয়েন্ট ১৪ ম্যাচে ৩৪। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে মাত্র চার পয়েন্ট পিছনে রয়েছে বরুসিয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy