বিশ্বকাপের মঞ্চে বিতর্কিত এই আচরণের দায় সতীর্থদের ঘাড়ে চাপালেন মার্তিনেস। ছবি: টুইটার।
কাতার বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষক হয়েও অশালীন আচরণের জন্য বিতর্কে জড়িয়েছিলেন আর্জেন্টিনার এমিলিয়ানো মার্তিনেস। তাঁর দাবি সতীর্থদের প্ররোচনাতেই গোল্ডেন গ্লাভস পুরস্কার নেওয়ার পর অশালীন ভঙ্গি করেছিলেন।
পানামা এবং কুরাকাওয়ের বিরুদ্ধে প্রদর্শনী ম্যাচের আগে অশান্তির আঁচ লিয়োনেল মেসির সুখের সংসারে। বিশ্বকাপ ফাইনালের পর অশালীন আচরণের জন্য সমালোচিত মার্তিনেস ঘটনার সব দায় চাপালেন সতীর্থদের উপর। তাঁর দাবি, সতীর্থদের কথাতেই সেই আচরণ করে ফেলেছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে মার্তিনেস বলেছেন, ‘‘সেই আচরণের জন্য আমি একদমই গর্বিত নই। বলা যেতে পারে ওটা একটা বাজি ছিল।’’
সেই ঘটনা নিয়ে মার্তিনেস বলেছেন, ‘‘আমার হাতে গোল্ডেন গ্লাভস পুরস্কার তুলে দেওয়ার পরই ছেলেরা (সতীর্থ) সবাই চিৎকার করে বলেছিল, ‘কোপা আমেরিকার মতো করে কেন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছ না?’ আমি বলেছিলাম, তেমন করব আবার? তাতে সতীর্থরা বলেছিল, ‘কী হবে তুমি তেমন করলে?’ ওদের কথা শুনেই ওই আচরণ করেছিলাম। দোষ সম্পূর্ণ ওদের।’’ ২০২১ সালে কোপা আমেরিকায় সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার নেওয়ার পরেও এমন ভঙ্গি করেছিলেন মার্তিনেস। সে সময় তেমন বিতর্ক তৈরি হয়নি। কারণ সে সময় মুখ বিকৃত করেননি তিনি। যা করেছিলেন কাতারে গোল্ডেন গ্লাভস পুরস্কার নেওয়ার পর।
মার্তিনেস বলেছেন, ‘‘কোপা আমেরিকা জেতার পর এমনই ভঙ্গি করেছিলাম।’’ কেন করেছিলেন? মার্তিনেসের দাবি, ব্রাজিলের স্টেডিয়ামের পরিবেশ ভাল ছিল না। তাঁদের নানা ভাবে কটূক্তি করা হয়েছিল। বিরক্ত হয়ে তেমন করেছিলেন। বিশ্বকাপ ফাইনালে মেজাজ হারানোর মতো কিছু ঘটেনি। খেলা শেষ হওয়ার পর নিজেই গিয়েছিলেন কিলিয়ন এমবাপেকে সান্ত্বনা দিতে। তা হলে কেন সতীর্থদের কথায় তেতে গেলেন? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য এড়িয়ে গিয়েছেন মেসির প্রিয় দিবু। যদিও আগে বলেছিলেন, ফ্রান্সের ফুটবলারদের খারাপ ব্যবহার এবং গালিগালাজের জন্য তাঁর মেজাজ ঠিক ছিল না। প্রতিপক্ষ ফুটবলারদের জবাব দেওয়ার জন্য ট্রফি নেওয়ার পর সেই আচরণ করেছিলেন।
বিশ্বকাপের পর মার্তিনেস চলে এসেছেন ইংল্যান্ডে। অ্যাস্টন ভিলার হয়ে খেলছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে। কয়েক দিন আগেই তিনি পেয়েছেন ফিফার বর্ষসেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy