ফুটবল বিশ্বকাপের ট্রফি। —ফাইল চিত্র।
ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজন করতে পারে ভারত। স্বপ্ন নয়। ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপের খেলা মাঠে বসে উপভোগ করতে পারেন ভারতীয় ফুটবলপ্রেমীরা। বিশ্বকাপ আয়োজন করতে উদ্যোগী সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ)।
২০৩৪ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক হিসাবে সৌদি আরব এক রকম নিশ্চিত। অস্ট্রেলিয়া আয়োজনের দাবি প্রত্যাহার করায় সৌদি আরবের কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। হঠাৎই আসরে ভারত। ফুটবল বিশ্বে ভারত বড় শক্তি নয়। ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনের দাবি জানানোর সময়সীমাও শেষ হয়েছে অনেক আগে। তবু বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেতে ঝাঁপাতে চলেছেন এআইএফএফ কর্তারা। অবাক করার মতো হলেও এমনই খবর এআইএফএফ সূত্রে। উদ্যোগী হয়েছেন এআইএফএফ সভাপতি কল্যাণ চৌবে। বাংলার প্রাক্তন ফুটবলারের লক্ষ্য ২০৩৪ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ ভারতে নিয়ে আসা। ফেডারেশন কর্তাদের এখন থেকেই সর্বোত ভাবে ঝাঁপানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
গত ৩১ অক্টোবর ছিল ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনের দাবি জানানোর শেষ দিন। ১১ বছর পরের বিশ্বকাপ হবে এশিয়ায়। সৌদি আরব এবং অস্ট্রেলিয়া আবেদন জানায় প্রথমে। গত ১৮ অক্টোবর সৌদি আরব বিশ্বকাপ আয়োজনের দাবিকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছিল ভারত।
পরে দাবি প্রত্যাহার করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ফুটবল সংস্থা। নতুন করে আর আবেদন জানানোর সুযোগ নেই ফিফার কাছে। তাই ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব সৌদি আরবের পাওয়া প্রায় নিশ্চিত। এর জন্য ‘প্ল্যান বি’ তৈরি করেছেন ভারতের ফুটবল কর্তারা।
২০৩৪ সালের বিশ্বকাপ খেলবে ৪৮টি দেশ। মোট ১০৪টি ম্যাচ হবে। তার মধ্যে অন্তত ১০টি ম্যাচ আয়োজন করতে চায় ভারত। সৌদি আরবের সহ-আয়োজক হওয়ার পরিকল্পনা করেছেন ফেডারেশন সভাপতি। গত ৯ নভেম্বর এআইএফএফ-র এক্সিকিউটিভ কমিটির বৈঠকে সদস্যদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন কল্যাণ। ফেডারেশনের এক কর্তা বলেছেন, ‘‘সভাপতি বলেছেন ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপের সহ-আয়োজন হওয়াপ ব্যাপারে ভারতের অবশ্যই ভাবা এবং পরিকল্পনা করা উচিত। ২০৩৪ বিশ্বকাপের সহ-আয়োজকের দায়িত্ব পাওয়ার জন্য আমাদের যা যা করণীয় সব কিছু এক যোগে করতে হবে।’’
২০২৭ সালে এএফসি এশিয়ান কাপ অনুষ্ঠিত হবে সৌদি আরবে। এ ক্ষেত্রেও সৌদি আরবের দাবিকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছিল ভারত। সে দেশের ফুটবলের উন্নতির প্রতিটি ক্ষেত্রে পাশে থাকার বিনিময়ে ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপের ১০টি ম্যাচ সহ-আয়োজন হিসাবে পেতে চায় ভারত। যদিও ফেডারেশনের ওই কর্তা সভাপতি কল্যাণের পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি।
গত বছর কাতারে বিশ্বকাপে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল ফিফা। কাতারের নিয়ম মানতে গিয়ে একাধিক স্পনসর সংস্থার ক্ষোভের মুখে পড়েছিল বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা। যার খেসারত হিসাবে বড় আর্থিক ক্ষতি মেনে নিতে হয়েছে। ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপেও তেমন কিছু হওয়া অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু সৌদি আরব ছাড়া অন্য কোনও দেশ প্রতিযোগিতা আয়োজনের আগ্রহ না দেখানোয় ফিফার হাতে বিকল্প নেই। সূত্রের খবর, এই সুযোগটাই নিতে চাইছেন কল্যাণ। তা ছাড়া ভারতের বিশাল বাজার নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে আগ্রহী ফিফা কর্তারা। সেই বাজার এবং সৌদি আরবের রক্ষণশীল আইনকে হাতিয়ার করে এগোতে চাইছেন এআইএফএফ সভাপতি।
সত্যিই বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক হতে পারলে ভারত কি খেলারও সুযোগ পাবে? এ নিয়ে কোনও পক্ষের সঙ্গে কোনও রকম দরাদরিতে যেতে চান না ফেডারেশন কর্তারা। আপাতত তাঁদের লক্ষ্য শুধু ২০৩৪ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে সৌদি আরবের সহ-আয়োজক হওয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy