শনিবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে এআইএফএফ সভাপতি কল্যাণ চৌবে। নিজস্ব চিত্র
ভারতীয় ফুটবল সংস্থার সভাপতি হওয়ার পরেই বদলের ডাক দিয়েছিলেন তিনি। সেই লক্ষ্যেই শনিবার ‘ভিশন ২০৪৭’ চালু করলেন কল্যাণ চৌবে। আগামী ২৪ বছরে ভারতীয় ফুটবল কোন পথে এগোনোর পরিকল্পনা রয়েছে, তা সবিস্তারে জানানো হল এ দিন। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, এশিয়ার মধ্যে ভারতকে অন্যতম সেরা করে তোলাই লক্ষ্য। জোর দেওয়া হয়েছে মহিলা ফুটবলের উন্নতিতে। ১১টি বিষয় নির্ধারিত করে সেগুলিতে আলাদা করে জোর দেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতার ১০০ বছর পূর্তিতে ভারত যাতে এশিয়ার প্রথম চার দলের মধ্যে থাকতে পারে, সেই পরিকল্পনাই নেওয়া হয়েছে।
‘ভিশন ২০৪৭’-কে ভাগ করা হয়েছে চার বছরের ছ’টি বিভাগে। আপাতত ২০২৬ পর্যন্ত বেশ কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেটি সম্পূর্ণ করে পরবর্তী চার বছরের লক্ষ্যপূরণ করার চেষ্টা করা হবে। এ ভাবেই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে ভারতীয় ফুটবলকে। কল্যাণ বলেন, “বিশ্ব ফুটবলে ভারতের গুরুত্ব ক্রমশ বাড়ছে। স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তিতে দেশের ফুটবলকে কোন জায়গায় দেখতে চাই আমরা, তার একটা সবিস্তার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই কাজে সবাইকে পাশে চাই। ভারতীয় ফুটবলের সোনালি যুগ ফেরাতে চাই। ১৯৫০ এবং ’৬০-এর দশকে ভারত এশিয়ায় যে ভাবে দাপট দেখাত, সেই দিন ফেরাতে চাই।”
মূলত বেশি সংখ্যায় প্রতিযোগিতা, বেশি সংখ্যায় ম্যাচ খেলা এবং তৃণমূল স্তরের উন্নতিতে জোর দেওয়া হয়েছে। ফুটবলের উন্নতিতে ১১টি বিষয়কে বেছে নেওয়া হয়েছে। এগুলি হল: পরিচালন, ক্লাব, রেফারিং, ডিজিটাল রূপান্তর, পরিকাঠামো, তৃণমূল স্তর, কোচিং, মার্কেটিং এবং বাণিজ্যিকরণ, জাতীয় দল, প্রতিভা অন্বেষণ এবং উন্নতি এবং প্রতিযোগিতা।
২০৪৭-এর মধ্যে যাতে দেশের সব ফুটবলার বছরে অন্তত ৫৫টি ম্যাচে খেলতে পারেন, তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। ২০৩৬-এর মধ্যে এশিয়ার প্রথম সাতটি দেশের মধ্যে ভারতকে তুলে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। সংস্থার কাজকর্মকে বাণিজ্যিক ভাবে নতুন রূপে উপস্থাপন করা হবে। এআইএফএফ প্রতিটি রাজ্য সংস্থাকে ফুটবলের উন্নতিতে সাহায্য করবে। তৃণমূল স্তরে ফুটবলের গ্রহণযোগ্যতা এখনও অনেক কম। তা আরও বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা করা হবে। ২০২৬-এর মধ্যে সাড়ে তিন কোটি খুদে ফুটবলারকে তৃণমূল স্তরের ফুটবল প্রোগ্রামের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
২০২৬-এর মধ্যে দেশের পুরুষদের ফুটবলে তিনস্তরীয় একটি পিরামিড তৈরির চেষ্টা হবে। আইএসএল এবং আই লিগে খেলবে ১৪টি করে দল। আই লিগে দ্বিতীয় ডিভিশনে ১২টি দল থাকবে। রাজ্য প্রতিযোগিতাগুলিতে শহর এবং জেলার লিগগুলির দল খেলবে। যুব লিগকে জনপ্রিয় করে তোলার চেষ্টা হবে। মহিলা ফুটবলে চারস্তরীয় লিগ তৈরির চেষ্টা চলছে।
২০৪৭-এর মধ্যে এআইএফএফ যে যে বিষয়গুলিতে জোর দিচ্ছে তা হল: ১) প্রতি জেলায় ৫০টি ফুটবল মাঠ, ২) ৩০টি ফিফা মানের আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম এবং ১২টি স্মার্ট স্টেডিয়াম, ৩) নিজেদের মাঠ এবং ট্রেনিংয়ের মাঠ-সহ ৫০টি পেশাদার ক্লাব, ৪) জাতীয় দল ২০২৬-এর মধ্যে এশিয়ার প্রথম দশে এবং ২০৪৭-এর প্রথম চারে নিয়ে আসা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy