ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনে রাজনীতির অভিযোগ রাজস্থানের কংগ্রেস বিধায়কের। প্রতীকী ছবি।
সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনে কি প্রভাব খাটিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু? এমনই অভিযোগ করেছেন রাজস্থান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান এবং রাজস্থানের কংগ্রেস নেতা মানবেন্দ্র সিংহ। সহ-সভাপতি পদের জন্য লড়াই করে হেরে গিয়েছেন তিনি।
মানবেন্দ্রর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রিজিজু নির্বাচনের আগের দিন রাজ্য সংস্থাগুলির কর্তাদের প্রভাবিত করেছেন। হোটেলে গিয়ে ভাইচুং ভুটিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিতে উৎসাহিত করেছেন। রাজস্থানের কংগ্রেস বিধায়ক মানবেন্দ্র বলেছেন, ‘‘গোটা প্রক্রিয়ার মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সমানে হস্তক্ষেপ করেছেন। রাজ্য সংস্থাগুলির কর্তা বা প্রতিনিধিদের ভাইচুংকে ভোট না দেওয়ার কথা বলেছেন। আমার মতে এই ধরনের হস্তক্ষেপ অনভিপ্রেত। এটা ভারতীয় ফুটবলের জন্য ক্ষতিকর। ইতিমধ্যেই ভারতীয় ফুটবলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। ভারতীয় ফুটবল ভাল লোকেদের হাতে গেল না।’’
মানবেন্দ্রর প্রশ্ন, ভারতের অন্যতম সেরা ফুটবলারকে বেছে নেওয়ার সুযোগ পেয়েও কেন তা কেউ কাজে লাগালেন না। বলেছেন, ‘‘সেরা খেলোয়াড়কেই তো বেছে নেওয়া স্বাভাবিক। আপনি কি অ্যাম্বাসাডর গাড়ি নিয়ে ফর্মুলা ওয়ান প্রতিযোগিতায় নামবেন? নিশ্চয় ফেরারি গাড়িই বেছে নেবেন।’’ আরও বলেছেন, ‘‘এটা ভারতীয় ফুটবলের ভাল দিন নয়। সেরা খেলোয়াড়কে বেছে নেওয়ার সুযোগ ছিল। ভাইচুংকে নিয়ে ভারতের ফুটবলপ্রেমীদের আবেগ কারও অজানা নয়। অথচ দল তৈরির সময় তাঁকে বিবেচনা করা হল না। কোনও স্বার্থের জন্যই হয়তো অন্য কাউকে বেছে নেওয়া হচ্ছে।’’
রিজিজু কেন ভাইচুংয়ের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার জন্য প্রভাবিত করতে যাবেন? মানবেন্দ্র বলেছেন, ‘‘প্রথম বৈঠকে সব রাজ্য সংস্থা এক সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকেই এই নির্বাচনে রাজনীতির রং লাগানো শুরু হয়। শুধু এক জন বলেছিলেন, কল্যাণ চৌবেকে সমর্থন করার জন্য তাঁর উপর চাপ রয়েছে। আর কেউই তেমন বলেননি। এক সপ্তাহের মধ্যে কী করে সব বদলে যেতে পারে! পরে সকলেই বলেছেন, কল্যাণকে সমর্থন করার জন্য তাঁদের উপর চাপ রয়েছে। তাই তাঁরা অবস্থান বদলাতে বাধ্য হয়েছেন। এটা খুবই হতাশার।’’ উল্লেখ্য, মানবেন্দ্র বিজেপির প্রাক্তন নেতা জসবন্ত সিংহের ছেলে। তাঁর বক্তব্য, এই নির্বাচন ভারতীয় ফুটবলের স্বার্থে হয়নি। সকলেই ব্যক্তিগত স্বার্থে ভোট দিয়েছেন।’’
তাঁর অভিযোগ মানতে চাননি নব নির্বাচিত এআইএফএফ সভাপতি কল্যাণ চৌবে। কল্যাণ জানিয়েছেন, ‘‘হোটেলে রিজিজু ছিলেন ঠিকই। কিন্তু যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা সত্যি নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy