মোহনবাগান ফুটবল দল। —ফাইল চিত্র।
ফুটবলারদের নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়ে ইরানে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু-এর ম্যাচ খেলতে যায়নি মোহনবাগান। প্রাথমিক শাস্তি হিসাবে তার পরই প্রতিযোগিতা থেকে মোহনবাগানকে বাতিল করেছিল এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। তবে এ জন্য কোনও আর্থিক জরিমানা করা হচ্ছে না।
নিয়ম অনুযায়ী, মোহনবাগানকে আর্থিক জরিমানা করতে পারত এএফসি। তবে ইরানের যুদ্ধ পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বিষয়টি বিবেচনা করার আবেদন করেছিলেন মোহনবাগান কর্তৃপক্ষ। সবুজ-মেরুন শিবিরের সেই আর্জি মকুব করেছেন এএফসি কর্তৃপক্ষ। জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল না। তাই এ ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার নিয়মাবলির ৫.৭ ধারা অনুযায়ী আর্থিক জরিমানা প্রযোজ্য নয়। অন্য কোনও শাস্তিও দেওয়া হবে না। তবে প্রতিযোগিতার বাকি ম্যাচগুলি খেলতে পারবে না মোহনবাগান। ৫.৬ ধারা অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়েছে।
এর আগে এএফসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, প্রতিযোগিতার নিয়মাবলির ৫.২ ধারা অনুযায়ী তাঁরা ধরে নিয়েছেন, মোহনবাগান নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে। প্রথম ম্যাচে মোহনবাগানের পাওয়া ১ পয়েন্টও কেটে নেওয়া হয়। মোহনবাগান পাল্টা জানায়, সে সময় ইরানের যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সেখানে যাওয়ার মতো ছিল না। সবুজ-মেরুনের ৩৫ জন ফুটবলারও এএফসিকে জানিয়েছিলেন, তাঁরা ইরানে খেলতে যেতে রাজি নন। মোহনবাগানের দাবি যে অমূলক ছিল না, তা পরবর্তী সময় প্রমাণিত হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এএফসি। যদিও মনে করা হয়েছিল, জরিমানা হতে পারে মোহনবাগানের।
গত অক্টোবরের শুরুতে তাবরিজে ট্রাক্টর এফসির বিরুদ্ধে খেলতে ইরানে যাওয়ার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু সে সময় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ইরানের পরিস্থিতি। মোহনবাগানের ম্যাচের আগের দিনই ইজরায়েলে মিসাইল হামলা চালিয়েছিল ইরান। পরিস্থিতি আন্দাজ করে মোহনবাগান কর্তৃপক্ষ অবশ্য আগেই দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। মোহনবাগানের আপত্তিতে নিরপেক্ষ দেশে ম্যাচ আয়োজনের একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু ট্রাক্টর এফসি ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা হাতছাড়া করতে রাজি হয়নি। শেষ পর্যন্ত ইরানের ক্লাবটিকে ৩ পয়েন্ট এবং ৩ গোল দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy