সবুজ-মেরুনে চিন্তার ছায়া নিজস্ব চিত্র
এএফসি কাপের প্রাক যোগ্যতা অর্জন পর্বে শ্রীলঙ্কার ব্লু স্টারকে পাঁচ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পর আগামী মঙ্গলবার প্লে-অফে নামবে এটিকে মোহনবাগান। সামনে ঢাকা আবাহনী। এই দল সম্পর্কে কার্যত কোনও ধারণাই নেই সবুজ-মেরুনের। তাই আগের ম্যাচে পাঁচ গোলে জিতলেও আত্মতুষ্টিতে ভুগতে নারাজ শিবির। কোচ জুয়ান ফেরান্দো পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, ব্লু স্টারের থেকে আবাহনী অনেক কঠিন প্রতিপক্ষ। তাই পাসিং ফুটবল, বল নিয়ন্ত্রণে রাখার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। চলছে পেনাল্টি নেওয়ার অনুশীলনও। তবে এটিকে মোহনবাগানের পক্ষে খারাপ খবর হল, চোটের কারণে পরের ম্যাচেও নেই সন্দেশ জিঙ্ঘন।
গত ম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন জনি কাউকো এবং মনবীর সিংহ। তবে আবাহনীকে নিয়ে যথেষ্ট সাবধানী দু’জনেই। এটিকে মোহনবাগান মিডিয়া টিমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “ইউটিউবের ভিডিয়ো দেখে প্রতিপক্ষ সম্পর্কে কিছুটা আন্দাজ পেয়েছি। এ ছাড়া আর সে ভাবে কোনও ধারণা নেই। এটা আমাদের কাছে সমস্যার। কারণ অচেনা দল ভয়ঙ্কর হয়। আইএসএলে বিপক্ষের ম্যাচ দেখে নামার সুবিধা ছিল। ব্লু স্টারেরও একটা ম্যাচ দেখেছিলাম। কিন্তু আবাহনীর ম্যাচ এখনও দেখিনি। শুনেছি ওদের দল শক্তিশালী।”
ইউরো কাপে খেলা কাউকো উপভোগ করছেন এটিকে মোহনবাগানে খেলা প্রতিটি মুহূর্ত। রোজই নিজেকে উন্নত করার চেষ্টা করছেন। তাঁর কাছে সমস্ত প্রতিযোগিতাই গুরুত্বপূর্ণ। বলেছেন, “ভারতে আসার আগে চিন্তায় ছিলাম, পারব তো এখানকার ফুটবলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে? এটাও প্রমাণ করার চেষ্টা করেছিলাম যে গোল করতে পারি। নিজের সেরা ছন্দে না পৌঁছলেও মনে হয় সমর্থকদের খুশি করতে পেরেছি।”
মনবীর চাইছেন পরের ম্যাচেও গোল করতে। প্রতিপক্ষ আবাহনী যতই শক্তিশালী হোক না কেন। তিনি বলেছেন, “ওদের রক্ষণভাগ ভাল। সেটা ভেঙে গোল করার অনুশীলন করছি। তবে গ্যালারিতে এ বার আরও বেশি সমর্থককে আমরা পাব। ওরাই আমাদের অনুপ্রেরণা। সেই জন্যেই ম্যাচটা জিততে চাই।” বাঙালি প্রবীর দাসও চাইছেন সংগঠিত ফুটবল খেলে বিপক্ষকে হারাতে। তাঁর আশা, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখতে পাবেন সমর্থকরা। বলেছেন, “হয়তো ৩-২ বা ২-১ ব্যবধানে জিততে পারি। তবে দলের অবস্থা যা তাতে জেতার ব্যাপারে আশাবাদী।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy