ব্যর্থ: মাঠে নেমেও দলকে জেতাতে পারলেন না নেমার। রয়টার্স
বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জন পর্ব
কলম্বিয়া ০ ব্রাজিল ০
বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে সোমবার সকালে কলম্বিয়া ঘরের মাঠে ব্রাজিলের জয়রথ থামালেও আলোচনার কেন্দ্রে নেমার দা সিলভা স্যান্টোস (জুনিয়র)। কারণ, তিনি নিজেই ২০২২ সালে কাতারে শেষ বারের মতো বিশ্বকাপ খেলার ইঙ্গিত দিয়েছেন!
২৯ বছর বয়সি প্যারিস সাঁ জারমাঁ তারকাকে নিয়ে ‘নেমার অ্যান্ড দ্য লাইন অব কিংস’ তথ্যচিত্র তৈরি হয়েছে। তা নিয়ে কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের আগেই গণমাধ্যমে নেমারের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ব্রাজিলের ‘বিস্ময় বালক’ বলেছেন, ‘‘হয়তো এটাই আমার শেষ বিশ্বকাপ হতে চলেছে বলে মনে হচ্ছে।’’ কেন? নেমারের ব্যাখ্যা, ‘‘এই বিশ্বকাপের পরে হয়তো ফুটবল খেলার মতো মানসিকতা আমার থাকবে না। তাই এই বিশ্বকাপটা যাতে ভাল হয়, চেষ্টা করব। আমার দেশকে চ্যাম্পিয়ন করার জন্য সব রকম ভাবে চেষ্টা করব।’’ যোগ করেছেন, ‘‘ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতাম দেশকে বিশ্বকাপ জেতানোর। আশা করছি, লক্ষ্যপূরণে সফল হব।’’
নির্বাসিত থাকায় বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে গত শুক্রবার ভেনেজ়ুয়েলার বিরুদ্ধে খেলতে পারেননি নেমার। ৩-১ জিতেছিল ব্রাজিল। পেরুর বিরুদ্ধে তার আগের ম্যাচে গোল করে ও করিয়ে নেমারই ছিলেন জয়ের নায়ক। শুধু তাই নয়। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে ১২টি গোল করে টপকে গিয়েছেন কিংবদন্তি পূর্বসূরি রোমারিয়োকে। তাঁর সামনে এ বার ফুটবল সম্রাট পেলের দেশের হয়ে ৭৭টি গোলের নজির স্পর্শ করার হাতছানি। যদিও ম্যাচের পরে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন ঘরের মাঠে সমর্থকদের আচরণে। সেপ্টেম্বরের শুরুতে চিলির বিরুদ্ধে ১-০ জয়ের পরেও ক্ষোভের শিকার হয়েছিলেন তিনি। নেমারের খেলার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ব্রাজিলের সমর্থকেরাই।
সোমবার কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে নেমার মাঠে ফিরলেও জিততে পারেনি ব্রাজিল। চলতি বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে প্রথমবার। তা সত্ত্বেও ১০ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আমেরিকা গ্রুপে টেবলের শীর্ষ স্থানেই রয়েছে পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
এখনও পর্যন্ত দু’টি বিশ্বকাপ খেলেছেন নেমার। ২০১৪ সালে ব্রাজিলে। চার বছর পরে রাশিয়ায়। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে কোমরে মারাত্মক চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন। সেমিফাইনালে জার্মানির বিরুদ্ধে ১-৭ লজ্জার হারের ম্যাচে মাঠেই নামতে পারেননি তিনি। সেই প্রসঙ্গে নেমার বলেছেন, ‘‘আমার ফুটবল জীবনের সব চেয়ে যন্ত্রণার অধ্যায়। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন আমার ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। হাঁটার ক্ষমতা পর্যন্ত ছিল না। নিজেকে সামলাতে না পেরে কাঁদতে শুরু করেছিলাম।’’
তিনি আরও বলেছেন, ‘‘হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আমাকে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে চিকিৎসক আমাকে বলেছিলেন, ‘বিশ্বকাপ থেকে তুমি ছিটকে গিয়েছো।’ কাঁদতে শুরু করেছিলাম। চিকিৎসক তখন বলেছিলেন, ‘আর যদি দুই সেন্টিমিটার ভিতরে চোটটা লাগত, তা হলে আর কোনও দিনই তুমি হাঁটতে পারতে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy