মেজাজ: হপম্যান কাপে ফাইনালে ওঠার পরে বেনচিচের সঙ্গে উৎসব ফেডেরারের। ছবি: টুইটার।
বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম শুরু হতে আর দিন দশেক বাকি। তার আগে ঠিক কী অবস্থায় টেনিস গ্রহের তিন কিংবদন্তি? রজার ফেডেরার, রাফায়েল নাদাল এবং নোভাক জকোভিচ?
নাদাল এবং জকোভিচ চোট সারিয়ে আবার কোর্টে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নাদাল চলে এসেছেন মেলবোর্নে। শুক্রবার থেকেই প্র্যাক্টিস শুরু করে দিলেন তিনি। বুধবার নাদাল এবং জকোভিচ নামবেন ১০ গেমের টাইব্রেক টুর্নামেন্টে।
কিন্তু তিনের মধ্যে এই মুহূর্তে কাউকে যদি এগিয়ে রাখতে হয়, তা হলে তিনি নিঃসন্দেহে ফেডেরার। বছর শেষে বিশ্রাম নিয়ে ফিরে এসেছেন হপম্যান কাপে। এবং ফাইনালে তুলে দিয়েছেন টিমকে। গত কাল প্রথম দশে থাকা জ্যাক সক-কে স্ট্রেট সেটে হারিয়ে দেন ফেডেরার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ৩-০ হারিয়ে ফাইনালে উঠে যায় সুইৎজারল্যান্ড। ফাইনালে ফেডেরারদের সামনে জার্মানি।
এই নিয়ে ফেডেরার দ্বিতীয় বার হপম্যান কাপ জেতার সামনে এসে দাঁড়িয়েছেন। এর আগে ২০০১ সালে মার্টিনা হিঙ্গিসের সঙ্গে জুটি বেঁধে হপম্যান কাপ জিতেছিলেন ফেডেরার। যে সময় কোনও এটিপি সিঙ্গলস খেতাবও ছিল না সুইস কিংবদন্তির ক্যাবিনেটে। গত বছরও এই হপম্যান কাপ দিয়ে প্রত্যাবর্তনের যুদ্ধ শুরু করেছিলেন ফেডেরার। যা শেষ হয় দু’টো গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব জিতে।
এক বছর আগে যখন কোর্টে ফিরেছিলেন, তখন নিজের ওপর ভরসা ছিল না ফেডেরারের। নিজের মনেই প্রশ্ন ছিল, ঠিক মতো খেলতে পারবেন কি না? কিন্তু এক বছরের মধ্যে ছবিটা সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। ২০১৮ সালের ফেডেরার আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। ফাইনালে ওঠার পরে ফেডেরারের কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, ‘‘গত বছরের তুলনায় এ বার কি বেশি আত্মবিশ্বাসী লাগছে? যার জবাবে ফেডেরার বলেন, ‘‘সেটা বলতেই পারেন। এ বার আমি কোনও অনিশ্চয়তায় ভুগছি না। নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি না।’’
মহড়া: প্র্যাকটিসে নেমে পড়লেন নাদাল। ছবি: গেটি ইমেজেস।
গত বছর নিরাপত্তার অভাব বোধ করেছিলেন কেন? যে প্রশ্নের জবাবে ফেডেরার বলেছেন, ‘‘গত বার এই সময় আমি র্যাঙ্কিংয়ে ১৭ নম্বর জায়গায় ছিলাম। পরিস্থিতি এমন ছিল যে আমি যদি অস্ট্রেলিয়ায় একটা কী দু’টো ম্যাচ জিততে না পারতাম, তা হলে প্রথম তিরিশের বাইরে চলে যেতাম। তাই গত বছর ওই সময় আমি বেশ চাপে ছিলাম। এ বার সে পরিস্থিতি নেই। এটা একটা বড় পার্থক্য তো বটেই।’’
এ বারের হপম্যান কাপে জাপানের ইয়ুচি সুগিতা এবং রাশিয়ার কারেন কাচানভ-কে হারানোর পরে সকের বিরুদ্ধে নামেন ফেডেরার। এবং সক-কে হারাতে কোনও সমস্যা হয়নি। যদিও ফেডেরার বলছেন, ‘‘ম্যাচটা কিন্তু দারুণ উপভোগ্য হয়েছিল। খেলার মানও খুব উচ্চপর্যায়ের ছিল। দু’জনের জন্যই সঠিক পদক্ষেপ।’’
সেই সঠিক পদক্ষেপের দিকে এগোতে চাইছেন নাদালও। শুক্রবার তিনি প্র্যাক্টিসে নামার পরে স্বস্তি ফিরেছে অস্ট্রেলীয় ওপেন সংগঠকদের। নাদাল নিজে টুইট করেছেন, ‘মেলবোর্নে পৌঁছে গিয়েছি। প্র্যাক্টিসও শুরু করলাম। এখন তাকিয়ে আছি ‘টাইব্রেক টেনস’ টুর্নামেন্টটার দিকে। জোকার, ওয়ারিঙ্কা, কিরিয়স— তোমরা সব তৈরি তো?’’
জোকার— অর্থাৎ জকোভিচের টিমের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তিনি অস্ট্রেলীয় ওপেনের আগে দু’টো টুর্নামেন্টে নামবেন। একটা কুয়োং ক্লাসিক (১০-১২ জানুয়ারি), অন্যটা টাইব্রেক টুর্নামেন্ট (১০ জানুয়ারি)। এই দু’টো টুর্নামেন্ট খেলার পরেই জকোভিচ সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি ১৫ জানুয়ারি থেকে শুরু অস্ট্রেলীয় ওপেনে খেলতে নামবেন কি না।
যদি তিনি খেলেন, তা হলে আবার গ্র্যান্ড স্ল্যামে এক সঙ্গে লড়তে দেখা যাবে ত্রিমূর্তিকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy