ত্রয়ী: সাউদাম্পটনে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ফুরফুরে মেজাজে থাকতে চান রাহানে, কোহালিরা। ফাইল চিত্র
নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে নামার দু’দিন আগে অজিঙ্ক রাহানে জানিয়ে দিলেন, ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেললেই জেতা সম্ভব এই খেতাব। বুধবার প্রস্তুতি পর্ব শুরু হওয়ার আগে দলের মানসিকতা থেকে লক্ষ্য, সব কিছু নিয়েই কথা বললেন ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়ক।
ভয়ডরহীন ক্রিকেট: টেস্ট ফাইনালের মতো বড় মঞ্চে প্রত্যেকেই চাইবে সাফল্য পেতে। তবে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেললে জেতার সুযোগ বেশি। ফলের কথা চিন্তা না করে নিজেদের সেরাটা দিতে হবে। শেষ দুই থেকে তিন বছরে যেটা করে এসেছি, সেটা করলেই কাজ অনেকটা সহজ হয়ে যাবে।
তরুণদের জন্য বার্তা: যাদের তরুণ বলছেন, তারা কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে সিরিজ জিতে এসেছে। ওদের আলাদা করে বলার কিছু নেই। প্রত্যেকের দক্ষতার উপরে আস্থা রয়েছে দলের। ওদেরও একটাই পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলো। জয়, পরাজয় নিয়ে চিন্তা করার কোনও প্রয়োজন নেই। খেলাটা উপভোগ করাই আসল।
প্রতিপক্ষের বিশ্লেষণ: নিউজ়িল্যান্ড খুবই ভাল দল। শক্তিশালী। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জয়ের আত্মবিশ্বাস ওদের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু ওই পাঁচটি দিনে তুমি কী রকম খেলছ, তার উপরেই নির্ভর করবে সব কিছু। প্রতিপক্ষকে নিয়ে না ভেবে আমরা কী ভাবে এই খেতাব জিততে পারি, সেটা নিয়েই বেশি চিন্তা করছি।
ফাইনালের অঙ্ক: ফাইনাল ভেবে যদি এই ম্যাচ খেলতে নামি, প্রত্যেকের উপরেই বাড়তি চাপ পড়বে। আর পাঁচটি ম্যাচের মতো যদি দেখি, তা হলে অনেক খোলা মনে খেলা যায়।
সমালোচনার জন্যই উন্নতি: রান পাচ্ছি কি না, তা নিয়ে সমালোচনা হবেই। সমালোচনার জন্যই এত দূর পৌঁছতে পেরেছি। তা ছাড়া সে সব নিয়ে ভাবি না। জেনে ভাল লাগল, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের সর্বোচ্চ স্কোরার (২৮ ইনিংসে ১০৯৫ রান) আমি। যদিও এই পরিসংখ্যান আমার কাছে গুরুত্বহীন। ব্যক্তিগত সাফল্যে যদি দল জেতে, তবেই সেই পারফরম্যান্সের মূল্য আছে।
সাউদাম্পটনের অভিজ্ঞতা: এখনও পর্যন্ত দু’টি টেস্ট ও তিনটি কাউন্টি ম্যাচ খেলেছি আজিয়াস বোল-এ। মাঠের সঙ্গে ভাল ভাবেই পরিচিত। যদিও প্রত্যেকটি ম্যাচে পিচ আলাদা আচরণ করে। অনেকটা নির্ভর করে আবহাওয়ার উপরে। আর ইংল্যান্ডে আবহাওয়া মুহূর্তের মধ্যে পাল্টে যায়। সেই অনুযায়ী মানিয়ে নিতে হবে।
পার্থক্য গড়ার রাস্তা: দু’দলের বোলিং বিভাগই বিশ্বসেরা। ইংল্যান্ডের পরিবেশে যারা ভাল ব্যাট করবে, তারাই এগিয়ে থাকবে। কারণ, ব্যাটসম্যানদেরই সব চেয়ে বড় পরীক্ষার মুখে পড়তে হয় এই আবহাওয়ায়। যে দল বেশি রান করবে, তাদের কাছে জেতার সুযোগ অনেক বেশি।
দলের মেজাজ: ফাইনাল নিয়ে প্রত্যেকে উত্তেজিত। কারণ সবাই জানে, পরিস্থিতি যে রকমই হোক, আমাদের কাছে ম্যাচ বার করার ক্রিকেটার আছে। এই আস্থা এক দিনে তৈরি হয়নি। শেষ তিন-চার বছরের পরিশ্রম লুকিয়ে আছে। ধারাবাহিক ভাবে একের পর এক ম্যাচে ভাল খেলার ফল পাচ্ছি। আশা করি, ফাইনালেও একই ছন্দ ধরে রাখতে পারব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy