ত্রয়ী: এটিকে-মোহনবাগানের নতুন জার্সিতে রক্ষণের তিন ভরসা। তিরি (বাঁ-দিকে) ও প্রীতমের সঙ্গে সন্দেশ (সামনে)। টুইটার
ভারতীয় ফুটবলের সব চেয়ে মূল্যবান তারকা তিনি। কেরল ব্লাস্টার্সের হয়ে দু’বার আইএসএলের ফাইনালে উঠেও এটিকের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন ভেঙে গিয়েছিল তাঁর। চোটের কারণে গত মরসুমে অধিকাংশ সময় মাঠের বাইরে কাটাতে হয়েছিল। গোয়ায় প্রস্তুতির ফাঁকেই সপ্তম আইএসএলে এটিকে-মোহনবাগান রক্ষণের অন্যতম স্তম্ভ সন্দেশ জিঙ্ঘান সাক্ষাৎকার দিলেন আনন্দবাজারকে।
এটিকে-মোহনবাগানে সই করা: এটিকে-মোহনবাগানে প্রথম বার যোগ দিয়ে আমি দারুণ খুশি। মাঠে ও মাঠের বাইরে এই ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করার আনন্দই আলাদা। এটিকে-মোহনবাগানের অসংখ্য সমর্থকদের আনন্দ দেওয়াই আমার লক্ষ্য হবে।
আইএসএলের ডার্বি: ভারতের প্রত্যেক ফুটবলার ও ফুটবলপ্রেমীরা এই ডার্বির গুরুত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। এই ম্যাচের আকর্ষণই অন্য রকম। সব ফুটবলারই ঐতিহ্যের ডার্বিতে নামার জন্য মুখিয়ে থাকে। আমিও ব্যতিক্রম নই। এটা এমন একটা ম্যাচ, এক মুহূর্তে কেউ যেমন নায়ক হতে পারে, তেমনই খলনায়ক হওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে। তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে। ম্যাচটা কিন্তু ৯০ মিনিটের। এগারো বনাম এগারোর লড়াই।
ডার্বির পরিকল্পনা: আমাকে কোচ (আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস) যা নির্দেশ দেবেন, তা পালন করব মাঠে নেমে। চেষ্টা করব নিজেকে উজাড় করে দিয়ে দলকে সাহায্য করতে।
সমর্থকদের প্রত্যাশার চাপ: ভারতীয় ফুটবলের পীঠস্থান বলা হয় কলকাতাকে। এটিকে-মোহনবাগানের অসংখ্য সমর্থক রয়েছেন। তাঁদের প্রত্যাশা তুঙ্গে থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু আমি কোনও বাড়তি চাপ অনুভব করছি না। আমি চাপ হিসেবে দেখিই না, মনে করি দায়িত্ব পালন করতে নেমেছি। এই দায়িত্বটা আমাকে আনন্দ দেয়, আমি উপভোগ করি। ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি, কাউকে নিয়ে তখনই প্রত্যাশা জন্মায়, যখন তাঁকে মানুষ সম্মান করেন, তাঁর প্রতি আস্থা রাখেন। ভক্তদের প্রত্যাশা রয়েছে কারণ তাঁরা নিশ্চয়ই মনে করেন, আমি এটিকে-মোহনবাগানের মতো দলে নিজের
সেরাটা দিতে পারব।
সতীর্থদের সঙ্গে বোঝাপড়া: দীর্ঘ দিন একসঙ্গে খেললে বোঝাপড়া বাড়বেই। প্রীতম (কোটাল), প্রণয় (হালদার), প্রবীরকে (দাস) অনূর্ধ্ব-১৯ ভারতীয় দলে খেলার সময় থেকে চিনি। শুভাশিসের (বসু) সঙ্গে খেলছি সিনিয়র দলে সুযোগ পাওয়ার পর থেকে। জাতীয় দলে প্রীতমের সঙ্গে ছ’বছর ধরে খেলছি। আমাদের মধ্যে দারুণ বোঝাপড়া। ফুটবলার, কোচ, দলের মালিক থেকে টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্য— আমরা একটা পরিবার। আমাদের একটাই লক্ষ্য— ক্লাবকে গৌরবান্বিত করা।
পুরনো দল কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ: আমি বেশি উত্তেজিত আবার মাঠে ফিরতে পারছি বলে। তবে কেরলের দল কেমন হয়েছে, তা ওরাই ভাল বলতে পারবে।
অধরা আইএসএল ট্রফি: যে কোনও ফুটবলারের কাছেই তিন বছরে দু’বার ফাইনালে উঠেও চ্যাম্পিয়ন হতে না পারা প্রচণ্ড যন্ত্রণাদায়ক। আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। আমার মনে হয় এটিকে-মোহনবাগান এই মরসুমে ফুটবলার নির্বাচনের সময় তিনটি বিষয়ের উপরে জোর দিয়েছে। এক) আইএসএলের ট্রফি ধরে রাখা। দুই) লিগ পর্বে পয়েন্ট টেবলের শীর্ষ স্থানে থেকে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা নিশ্চিত করা। তিন) ২০২০ এএফসি কাপে ভাল ফল করা। ফুটবলার হিসেবে আমাদেরও লড়াই এই তিনটি লক্ষ্য পূরণ করার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy