ছবি: সংগৃহীত
ইউরো ২০২০-তে গ্রুপ পর্বে শেষ মুহূর্তে নাটকীয় পরিসমাপ্তির অপেক্ষা। শেষ ষোলোয় যোগ্যতা অর্জনের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে বিশ্বফুটবলের দুই মহাশক্তি জার্মানি ও পর্তুগাল।
‘এফ’ গ্রুপে ফ্রান্স, জার্মানি, পর্তুগালের সঙ্গে রয়েছে হাঙ্গেরি। প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার আগে বিশেষজ্ঞেরা তাই এর নাম দিয়েছিলেন মারণ গ্রুপ। ২০১৮-তে রাশিয়া বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স শেষ ষোলোয় খেলা নিশ্চিত করে ফেলার পরে ফুটবলপ্রেমীদের যাবতীয় আলোচনা পর্তুগাল ও জার্মানির ভবিষ্যৎ নিয়ে। গত বারের ইউরোপ সেরা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোরা কি পারবেন আজ, বুধবার ফ্রান্সের বিরুদ্ধে জিতে খেতাবি স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে? জার্মানি কি সফল হবে শেষ ষোলোয় যোগ্যতা অর্জনের দৌড়ে থাকা হাঙ্গেরিকে হারাতে? জটিল অঙ্কের পাশাপাশি বাড়ছে উৎকণ্ঠাও।
ইউরো ২০২০-তে হাঙ্গেরিকে ৩-০ হারিয়ে পর্তুগাল যাত্রা শুরু করেছিল। জার্মানি প্রথম ম্যাচেই হেরে যায় ফ্রান্সের বিরুদ্ধে। কিন্তু এই গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচের পরেই নাটকীয় ভাবে বদলে গিয়েছে ছবিটা। রোনাল্ডোদের ৪-২ চূর্ণ করে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন ঘটায় জার্মানি। একই দিনে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ড্র করে চমকে দেয় হাঙ্গেরি। যদিও তার জন্য করিম বেঞ্জেমাদের শেষ ষোলোয় যোগ্যতা অর্জন করতে কোনও সমস্যা হয়নি। জল্পনা শুরু হয় পর্তুগাল ও জার্মানির ভবিষ্যৎ নিয়ে।
ফ্রান্সকে হারাতে মরিয়া পর্তুগাল কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোস বলেছেন, “আমাদের হাতেই রয়েছে পর্তুগালের ভাগ্য। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে এই ম্যাচটাই সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।” যোগ করেছেন, “জার্মানির বিরুদ্ধে ২-৪ বিপর্যয়ের কারণ আমাদের দ্রুত খুঁজে বার
করতে হবে।”
শেষ ষোলোয় যোগ্যতা অর্জন করা সত্ত্বেও বুধবারের এই দ্বৈরথ ফ্রান্সের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ইউরো ২০১৬-র ফাইনালের রাত এখনও ভুলতে পারেননি দিদিয়ে দেশঁ, পল পোগবা, আঁতোয়া গ্রিজ়ম্যানরা। ঘরের মাঠে ফাইনালে ১০৯ মিনিটে করা পর্তুগালের এদেরজ়িতো লোপেসের (এদের) গোলে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল ফ্রান্সের। দু’বছর পরে রাশিয়ায় বিশ্বকাপ জয়ের পরেও সেই ক্ষত যে এখনও শুকিয়ে যায়নি, তা গ্রিজ়ম্যানের বক্তব্যেই পরিষ্কার। পর্তুগালের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে ফরাসি স্ট্রাইকার বলেছেন, “আমাদের কাছে এই ম্যাচটা ফাইনালের চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাই জেতা ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে ভাবতে চাই না।” রোনাল্ডোদের বিরুদ্ধে দ্বৈরথের আগে ফরাসি শিবিরে চিন্তা বাড়ছে দু’টি কারণে। এক) হাঁটুতে চোট থাকায় ওসুমানে দেম্বেলে সম্ভবত খেলতে পারবেন না। দুই) করিম বেঞ্জেমার ছন্দে না থাকা। ফ্রান্সের জাতীয় দলে ছ’বছর পরে প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন তিনি। গত মরসুমে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে স্বপ্নের ফর্মে থাকা ফরাসি স্ট্রাইকার দু’টি ম্যাচের একটিতেও গোল করতে পারেননি। ইতিমধ্যেই তাঁর সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। দেশঁ যদিও বেঞ্জেমার পাশে দাঁড়িয়েছেন।
হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে মরণ-বাঁচন ম্যাচের আগে জার্মান শিবিরে ধাক্কা। চোটের কারণে মঙ্গলবারও অনুশীলন করতে পারেননি থোমাস মুলার। শেষ ম্যাচে হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে তাঁর খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে ম্যাটস হুমেলস ও ইলকে গুন্দোয়ান সুস্থ হয়ে অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন। জার্মানির কোচ ওয়াকিম লো বলেছেন, “হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে লড়াই আরও কঠিন হবে। ওদের আট-নয় জন ফুটবলার নেমে গিয়ে রক্ষণ সামলাচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy