ফাইল চিত্র।
উনিশশো আটান্নর স্মৃতি সম্ভবত ফিরছে এ বারের লিগ খেতাবের মঞ্চে। কলকাতার তিন প্রধানের বাইরে ছোট যে দল হিসাবে শেষ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইস্টার্ন রেল, সে বারও শেষ ম্যাচে দল নামায়নি ইস্টবেঙ্গল। এ বারও একই ঘটনা ঘটছে। টেবলের শীর্ষে থাকা পিয়ারলেস চ্যাম্পিয়ন হতে চলেছে। কিন্তু শেষ ম্যাচে দল নামাচ্ছে না লাল-হলুদ শিবির।
নাটকীয় কোনও ঘটনা না ঘটলে আজ, বৃহস্পতিবার কল্যাণীতে কাস্টমসের বিরুদ্ধে খেলছে না আলেসান্দ্রো মেনেন্দেসের দল। খেতাব জিততে যে ম্যাচে জিততে হবে ৭-০ গোলে, তা না খেলেই স্পেনে ফেরার টিকিট কেটেছেন লাল-হলুদের কোচ এবং তাঁর দেশের তিন ফুটবলার। এবং পুরো দলকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি দিয়ে দিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। বুধবার অবশ্য জিম সেশন ছিল লাল-হলুদের। কোচ চলে গেলেও দল নামাতে কোনও সমস্যা ছিল না। কারণ কাসিম আইদারা-সহ তিন বিদেশি রয়েছেন রাজারহাটের হোটেলেই। অন্য ফুটবলারদেরও পেতে সমস্যা ছিল না। ক্লাবের শীর্ষ কর্তা এ দিনও বলেছেন, ‘‘ওয়াকওভার দেওয়াটা লজ্জার। ভুবনেশ্বরে সুপার কাপের পরে একই জিনিস হল। ফুটবল দল পরিচালনা আমরা করি না। বিনিয়োগকারীদের অনুরোধ করেছি খেলার জন্য। কোচ রাজি নন।’’
এই অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের উপর ঘটনার দায় চাপিয়ে দিয়েছেন কর্তারা। বিনিয়োগকারীদের হয়ে যিনি কথা বলেন, সেই কর্তা অবশ্য ফোনই ধরেননি। কল্যাণীতে অবশ্য ম্যাচ করার সব প্রস্তুতিই রাখা হচ্ছে। কাস্টমস দল নামাচ্ছে। থাকছে রেফারি, পুলিশও। ম্যাচ না হলে ওয়াকওভার পেয়ে তিন পয়েন্ট পাবে কাস্টমস। ইস্টবেঙ্গলের অবশ্য কোনও পয়েন্ট কাটা যাচ্ছে না। কারণ আইএফএ-র নিয়মে চিঠি দিয়ে ম্যাচ না খেলার কথা আগে জানালে পয়েন্ট কাটার নিয়ম নেই। ফলে মোহনবাগানের পরে তৃতীয় হয়েই লিগ শেষ করবেন খাইমে কোলাদোরা। আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায় বললেন, ‘‘পুজোর পর সভা ডেকে সরকারি ভাবে চ্যাম্পিয়নের নাম ঘোষণা করা হবে।’’ অর্থাৎ লক্ষ্মীপুজোর পরই আনসুমানা ক্রোমারা খেতাব জেতার উৎসব করতে পারবেন।
আজ কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে: ইস্টবেঙ্গল বনাম কাস্টমস (দুপুর ২.৩০)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy