আজ জিতলে লিগ শীর্ষে চলে যাবেন কোলাদোরা।—ফাইল চিত্র।
ঝড়ের আগে থমথমে পরিবেশের মতোই ইস্টবেঙ্গল অন্দরমহলের আবহ।
গত আটচল্লিশ ঘণ্টায় মাঠে নেমে অনুশীলনই করলেন না খাইমে সান্তোস কোলাদো, বিদ্যাসাগর সিংহেরা। ভবানীপুরের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগের দিন, রবিবার সকালে রাজারহাটের একটি পাঁচতারা হোটেলের জিমে ফিটনেস ট্রেনিং সেরেই কোচ আলেসান্দ্রো মেনেন্দেস গার্সিয়ার ভিডিয়ো ক্লাসে বসে পড়লেন তাঁরা। প্রায় পঁয়তাল্লিশ মিনিট ধরে বিপক্ষের শক্তি ও দুর্বলতা খুঁটিয়ে দেখলেন। আগের ম্যাচে নিজেদের কোথায় ভুল হয়েছে তা খুঁজে বার করলেন।
পিয়ারলেসের বিরুদ্ধে হেরে কলকাতা প্রিমিয়ার লিগের খেতাবি দৌড়ে পিছিয়ে পড়েছিল ইস্টবেঙ্গল। পরের ম্যাচে কালীঘাট এমএসকে ৪-২ চূর্ণ করে দুর্দান্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়ান কোলাদোরা। ভবানীপুরের বিরুদ্ধে সামান্যতম ঝুঁকিও নিতে রাজি নন লাল-হলুদের কোচ ও ফুটবলারেরা। কালীঘাটের বিরুদ্ধে ম্যাচের পরে আলেসান্দ্রো জানিয়েছিলেন, ভবানীপুর শক্তিশালী দল। লড়াই একেবারেই সহজ হবে না।
রবিবার বিকেলে লাল-হলুদ শিবিরে ভবানীপুরের পাশাপাশি অস্বস্তি বাড়াল মোহনবাগানও। কল্যাণী স্টেডিয়ামে রেনবোকে হারিয়ে আট ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে জোসেবা বেইতিয়ারা ছুঁয়ে ফেললেন টেবলের শীর্ষে থাকা পিয়ারলেসকে। তবে গোল পার্থক্যে পিছিয়ে থাকায় দ্বিতীয় স্থানে মোহনবাগান। সাত ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ভবানীপুর নেমে এল তিন নম্বরে। আর চতুর্থ স্থানে নেমে যাওয়া ইস্টবেঙ্গলেরও সাত ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট। তবে আজ, সোমবার জিতলে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের শীর্ষে উঠে আসার সুযোগ রয়েছে কোলাদোদের সামনে। কোনও মতেই সেই সুযোগ হাতছাড়া করতে রাজি নন আলেসান্দ্রো। এই কারণেই ফুটবলারদের তিনি লিগের অঙ্ক নিয়ে ভাবতে বারণ করে দিয়েছেন। তবে লাল-হলুদ কোচ খুশি ম্যাচ কল্যাণী স্টেডিয়ামে হবে বলে।
উদ্বিগ্ন ভবানীপুর কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তীও। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে যাতে ফুটবলারেরা পর্যাপ্ত বিশ্রাম পান, তার জন্য রবিবারই দল নিয়ে কল্যাণী পৌঁছে গিয়েছেন। ফোনে আনন্দবাজারকে বললেন, ‘‘আগের ম্যাচে জিতে খেতাবি দৌড়ে ঢুকে পড়েছে ইস্টবেঙ্গল। এই পরিস্থিতিতে ওরা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। আমার তো মনে হয়, ইস্টবেঙ্গল কোচ কোনও ঝুঁকি নেবেন না। দল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পথেও হাঁটবেন না। কোলাদোকে প্রথম একাদশে রেখে পূর্ণশক্তি নিয়েই ঝাঁপাবেন।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘একই দল ধরে রাখায় ইস্টবেঙ্গলের শক্তি আরও বেড়েছে।’’
ভবানীপুর কোচের দ্বিতীয় চিন্তা রেফারিং। বলছিলেন, ‘‘একা ইস্টবেঙ্গলকে দায়ী করছি না। সব ক্লাবই যে কোনও প্রকারে ম্যাচ জিততে চায়। গত দু’সপ্তাহ ধরে ইস্টবেঙ্গলকে কেন্দ্র করে যা যা ঘটনা ঘটেছে, কিছুই আমাদের নজর এড়ায়নি। মাঠ এবং মাঠের বাইরে সব ম্যাচ ওরা বার করে নিচ্ছে।’’ এখানেই শেষ নয়। ভবানীপুর কোচের কটাক্ষ, ‘‘বাংলার সকলেই হয় মোহনবাগানের, না হলে ইস্টবেঙ্গলের সমর্থক। কিন্তু রেফারিদের নিজের দায়িত্ব পালন করতে হবে নির্ভিক ভাবে। ওঁরা তা পারছেন না বলেই ডার্বি খেলানোর সুযোগ পাচ্ছেন না।’’
সোমবার কলকাতা প্রিমিয়ার লিগ: ইস্টবেঙ্গল বনাম ভবানীপুর (কল্যাণী, দুপুর ২.৩০)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy