চিন্তিত: খুয়ান মেরার সঙ্গে আলোচনায় আলেসান্দ্রো। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
মোহনবাগানের সঙ্গে এটিকের ঐতিহাসিক সংযুক্তিকরণের দিনেই ইস্টবেঙ্গলের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেন লাল-হলুদ সমর্থকেরা। আগামী মরসুমে যে আইএসএলে খেলবে মোহনবাগান, বৃহস্পতিবারই তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের প্রশ্ন, তাদের প্রিয় ক্লাব কি আই লিগেই খেলবে? নাকি পড়শি ক্লাবের পথ অনুসরণ করে আইএসএলে খেলবে?
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্তাদের দাবি, মোহনবাগান যদি আগামী মরসুমে আইএসএলে খেলে, তা হলে তাঁরাও পিছিয়ে থাকবেন না। অন্যতম শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার বললেন, ‘‘পড়শি ক্লাব আইএসএলে খেলবে অথচ আমরা চুপ করে বসে থাকব, তা হতে পারে না। ওরা যদি খেলে, তা হলে আমরাও খেলব।’’
প্রশ্ন উঠছে কী ভাবে আইএসএলে খেলবে ইস্টবেঙ্গল? এই মুহূর্তে বিনিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে ক্লাব কর্তাদের। মরসুম শেষ হলেই বিদায় নেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল বিনিয়োগকারী সংস্থার। এই পরিস্থিতিতে আইএসএলে খেলার জন্য ‘অ্যাপিয়ারেন্স ফি’ হিসেবে প্রায় পনেরো কোটি টাকা কে দেবে? কেউ কেউ মনে করছেন, বুধবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে গোকুলমের কাছে হারের পরে যে ভাবে চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার (সিইও) সঞ্জিত সেন সমর্থকদের একাংশের হাতে নিগৃহীত হয়েছেন, তাতে ক্লাবের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। সিইও-র পদ থেকে পদত্যাগও করেছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে নতুন কোনও সংস্থাই ইস্টবেঙ্গলে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখাবে না। আবার সমর্থকদের একাংশের ধারণা, মোহনবাগান-এটিকে গাঁটছড়া বাঁধায় হয়তো সিদ্ধান্ত বদলাতে পারেন লাল-হলুদের বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্তারা।
ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ফুটবলার গোলরক্ষক ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়ের বললেন, ‘‘শুনেছি, বিনিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক খুব একটা ভাল নয় ক্লাবের। তাই কর্তাদেরও নতুন ভাবে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। ইস্টবেঙ্গলেরও উচিত আইএসএলে খেলা।’’ একই মত আই এম বিজয়নেরও। ত্রিশূর থেকে ফোনে বললেন, ‘‘আইএসএল দেশের এক নম্বর লিগে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের খেলাটাই কাম্য।’’ লাল-হলুদের শীর্ষ কর্তার দাবি, তিনি একেবারেই চিন্তিত নন। তাঁর কথায়, ‘‘বিনিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে আমাদের গাঁটছড়া বাঁধাই আছে। ভবিষ্যতে সেই সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেলেও চিন্তিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। সে ক্ষেত্রে ক্লাবের সভ্য-সমর্থকেরাই অর্থ দেবেন আইএসএলে খেলার জন্য।’’
ক্লাবের ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনার মধ্যেই সমর্থকদের আতঙ্ক বাড়ছে আই লিগে রবিবাসরীয় ডার্বি নিয়ে। গোকুলমের বিরুদ্ধে লজ্জার হারের পরে লাল-হলুদ শিবিরের আবহটাই বদলে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন সংলগ্ন মাঠে ফুটবলারদের নিয়ে নেমেছিলেন কোচ আলেসান্দ্রো মেনেন্দেস গার্সিয়া। গোকুলমের বিরুদ্ধে যাঁরা খেলেছিলেন, তাঁরা এ দিন শুধু ‘রিকভারি ট্রেনিং’ করেন। বাকি ফুটবলারদের দু’দলে ভাগ করে ম্যাচ খেলান স্পেনীয় কোচ। আজ, শুক্রবার পুরো দলকে বিশ্রাম দিয়েছেন তিনি। শনিবার সকালে সল্টলেকের সাইতে গোপনে ডার্বির প্রস্তুতি সারার পরিকল্পনা আলেসান্দ্রোর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy