প্রস্তুতি: অনুশীলনে আকোস্তা ও জবি। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
জবি জাস্টিন, খাইমে সান্তোস কোলাদো নিয়মিত গোল করছেন। অথচ সন্তুষ্ট নন আলেসান্দ্রো মেনেন্দেস গার্সিয়া! ইস্টবেঙ্গল কোচ চান স্ট্রাইকার ও মিডফিল্ডারদের পাশাপাশি ডিফেন্ডারেরাও গোল করুন।
বৃহস্পতিবার সকালে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন সংলগ্ন মাঠে দেখা গেল অভিনব ফুটবল। অনুশীলন ম্যাচে রয়েছে তিনটি গোলপোস্ট ও তিন জন গোলরক্ষক! মুখোমুখি গোলপোস্টের এক দিকে রক্ষিত ডাগার। অন্য দিকে মির্শাদ কে। ঠিক মাঝামাঝি সাইড লাইনের উপরে তৃতীয় গোলপোস্ট সামলাচ্ছেন উবেইদ সি কে। খেলার নিয়মও চমকে দেওয়ার মতো। দ্রুত গতিতে নিজেদের মধ্যে পাস খেলতে খেলতে তিনটি গোলপোস্টের মধ্যে সামনে যেটা পড়বে, সেখানেই গোল করতে হবে। কেউ ট্যাকল করতে পারবেন না! গোল করতে হবে সকলকেই।
জবি ও কোলাদোকে এ দিন এক দলে রেখেছিলেন লাল-হলুদ কোচ। তাঁদের বিরুদ্ধে ছিলেন জনি আকোস্তো, বোরখা গোমেস পেরেস। ডার্বিতে সনি নর্দে, দিপান্দা ডিকাদের নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া দুই ডিফেন্ডারকে দেখা গেল ট্যাকল করা ভুলে গোল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। আর এক ডিফেন্ডার কিংশুক দেবনাথ গোলের পরে যে ভাবে উচ্ছ্বাস দেখালেন, তাতে জবি-কোলাদোও লজ্জা পাবেন।
আই লিগে ইস্টবেঙ্গলের পরের ম্যাচ ঘরের মাঠে নেরোকা এফসি-র বিরুদ্ধে ৭ ফেব্রুয়ারি। তার আগে এই আশ্চর্য অনুশীলনের রহস্যটা কী? জানা গিয়েছে, এই ধরনের অনুশীলনের উদ্দেশ্য দু’টো। এক) ফুটবলারদের টানা ম্যাচ ও অনুশীলনের একঘেয়েমি থেকে মুক্তি দেওয়া। দুই) আধুনিক ফুটবলে শুধু স্ট্রাইকার নয়, সকলকে গোল করতে হবে। সাধারণ অনুশীলনে ডিফেন্ডারেরা ব্যস্ত থাকেন স্ট্রাইকারদের গোল করা আটকানোর মহড়ায়। গোল করার অনুশীলন খুব একটা করতে পারেন না তাঁরা। এই বিশেষ অনুশীলনের মাধ্যমে সেই ঘাটতি মেটানোরই চেষ্টাই করেন কোচেরা।
অভিনব অনুশীলন ম্যাচ শুরু করার আগে ফুটবলারদের ফিজিক্যাল ট্রেনার কার্লোস নোদারের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন আলেসান্দ্রো। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে দুরন্ত জয়ের পরে দু’দিন বিশ্রাম দিয়েছিলেন লাল-হলুদের স্প্যানিশ কোচ। ফুটবলারদের ফিটনেস পরীক্ষার পরে পেশির জোর বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের অনুশীলন করালেন ফিজিয়ো। কখনও দেখা গেল, জবির কোমরে বাঁধা রাবারের স্ট্র্যাপ পিছন থেকে টেনে ধরেছেন জনি। লাল-হলুদ স্ট্রাইকার চেষ্টা করছেন সেই বাধা কাটিয়ে লাফিয়ে উঠে হেড করার। আবার কখনও মোটা দড়ির সাহায্যে পেশির শক্তি বাড়ানোর অনুশীলন করলেন। ডার্বির আগে প্রিয় সাইকেল চুরি হয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল স্ট্রাইকারের। সেই শোক এখন অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, সাইকেলের পরিবর্তে মোটরবাইক দেওয়া হতে পারে জবিকে।
নেরোকা ম্যাচের প্রস্তুতি শুরুর দিনেই ডিফেন্ডার মেহতাব সিংহকে ছেড়ে দিল ইস্টবেঙ্গল। তিনি লোনে গেলেন কেরলের গোকুলম এফসি-তে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy