বন্ধু জামশিদকে সংবর্ধনা দিচ্ছেন মজিদ। —নিজস্ব চিত্র।
তাঁর নাম উচ্চারণ হতেই স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকরা সমবেত ভাবে চিৎকার করে উঠলেন, ‘ম-জি-দ, ম-জি-দ’। আশির বাদশা ভক্তদের সেই ভালবাসা গ্রহণ করলেন। জানালেন, ইস্টবেঙ্গল তাঁর হৃদয়ে।
ইস্টবেঙ্গলের স্পোর্টস ডে-তে নবীন ও প্রবীণ অধিনায়ক মিলে মিশে একাকার। প্রাক্তন অধিনায়ক চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে হাল আমলের ব্র্যান্ডনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পঞ্জাব থেকে চলে আসেন গুরবিন্দর সিংহ, বেঙ্গালুরু থেকে হরমনজ্যোৎ সিংহ খাবরা। লক্ষণীয় ভাবে এ দিন উপস্থিত ছিলেন না প্রাক্তন অধিনায়ক সুধীর কর্মকার, গৌতম সরকার, সত্যজিৎ মিত্র। চিত্রপরিচালক তরুণ মজুমদার, সাহাত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, নাট্যব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তকে সংবর্ধিত করা হয়।
সেই মঞ্চেই অরিজিৎ সিংহের গলায় গাওয়া ইস্টবেঙ্গলের থিম সং উদ্বোধন করেন ইস্টবেঙ্গলের প্রেসিডেন্ট প্রণব দাশগুপ্ত। পঞ্চপাণ্ডবের পরিবারের সদস্যদেরও সংবর্ধিত করা হয়। ক্লাবের প্রাক্তন অধিনায়কদের সংবর্ধনা দেওয়ার সময়ে আবেগঘন দৃশ্যের মুহূর্ত তৈরি হয়। ১৯৭০ সালের শিল্ড ফাইনালে ঐতিহাসিক পাস ক্লাবের বিরুদ্ধে গোল করেছিলেন পরিমল দে। অশক্ত শরীরে মঞ্চে হাজির তিনি।
তাঁকে দেখেই এগিয়ে আসেন মজিদ। জড়িয়ে ধরেন তাঁকে। বন্ধু জামশিদ নাসিরিকে সংবর্ধনা দেওয়ার সময়ে মজিদ নিজেই আবেগতাড়িত। স্নেহের সঙ্গে কাছে টেনে নিলেন জামশিদকে। মঞ্চে উঠে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেন না অনেকে। ইস্টবেঙ্গলের স্পোর্টস ডে-তে সকাল থেকে সন্ধে ব্যস্ত থাকলেন মজিদ। এ বারের স্পোর্টস ডে ছিল সব অর্থেই ব্যতিক্রমী। কারণ শহরে উপস্থিত মজিদ। ক্লাবের রক্তদান শিবিরে সকালেই উপস্থিত হন ইরানি-তারকা। রক্তদাতাদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন তারকাকে। সন্ধেয় আগাগোড়া মঞ্চে ছিলেন তিনি। তাঁর পরনে ছিল ১২ নম্বর জার্সি। এই জার্সি পরেই তো একদিন ভক্তদের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন মজিদ। আজ এত বছর পরে তিনি দেখলেন ভক্তদের কাছে তিনি বাদশা হিসেবেই রয়ে গিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy