কোলাডোর গোল করার সেই মুহূর্ত। ছবি—ভিডিয়ো থেকে।
ইস্টবেঙ্গল ১ চার্চিল ব্রাদার্স ১
( কোলাডো পেনাল্টি) (প্লাজা)
ট্রাউ-ম্যাচের পরে ইস্টবেঙ্গল কোচ মারিয়ো রিভেরার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছিলেন লাইবেরিয়ান স্ট্রাইকার আনসুমানা ক্রোমা। শুক্রবার লাল-হলুদ স্ট্রাইকারকে এক হাত নিয়েছিলেন স্পেনীয় কোচ। শনিবার পিছিয়ে থাকা ইস্টবেঙ্গলকে এক পয়েন্ট এনে দিলেন সেই ক্রোমাই। তিনি অবশ্য গোল করেননি। দলের হয়ে পেনাল্টি আদায় করেন তিনি। অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি বক্সের ভিতরে ক্রোমাকে ফেলে দেওয়া হলে পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল।
চার্চিলের বক্সের ভিতরে পড়ে থাকা ক্রোমাকে তখন জড়িয়ে ধরেছেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। ওই দৃশ্য দেখে কে বলবে, দিন কয়েক এই ক্রোমাই বলেছিলেন, সতীর্থরা নাকি তাঁকে ঠিকঠাক বল বাড়ান না। আর মারিয়ো শুক্রবার বলেছিলেন, ক্রোমা ভাল টিমমেট নন।
যাই হোক পেনাল্টি স্পট থেকে থেকে দু’ বারের চেষ্টায় চার্চিলের জালে বল জড়ান কোলাডো। পেনাল্টি স্পট থেকে গোললাইন পৃথিবীর রহস্যময় সরণী। কত নামী তারকা এই সরণীতে দিকভ্রষ্ট হয়েছেন তার ইয়ত্তা নেই। শনিবার কোলাডো পেনাল্টি থেকে বল প্রায় তুলে দিয়েছিলেন চার্চিল গোলকিপারের হাতে। ইস্টবেঙ্গলের ৮ নম্বর জার্সিধারী ফুটবলারের শট কোনওরকমে বাঁচান চার্চিল গোলকিপার। ফিরতি বল থেকে সমতা ফেরান হাইমে স্যান্টোস কোলাডো। ইস্টবেঙ্গল সমতা ফেরানোর পরেই রেফারি খেলা শেষের বাঁশি বাজিয়ে দেন। স্বস্তি ফেরে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মনে। ঘরের মাঠ থেকে অন্তত এক পয়েন্ট তো পাওয়া গেল।
আরও পড়ুন: ফের ব্যর্থ টপ অর্ডার, রঞ্জি সেমিফাইনালে অনুষ্টুপের সেঞ্চুরিতে স্বস্তি ফিরল বাংলায়
শনিবার নায়ক হতে পারতেন কোলাডো। শুধু গোল করে মারিয়োকে জবাব দিতে পারতেন ক্রোমাও। নায়ক হওয়ার সুযোগ ছিল তাঁর সামনেও। গোলকিপারের সঙ্গে হ্যান্ড শেক দূরত্ব থেকে গোল করতে পারেননি ক্রোমা। কোলাডোও প্রায় তাই। মার্কোসের সঙ্গে একাধিক বার ওয়ান-টু খেলে চার্চিলের গোলমুখে কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছিলেন ক্রোমা। সতীর্থদের কাছ থেকে ঠিকঠাক বল পান না, সেদিন কেন যে বলতে গিয়েছিলেন ক্রোমা, তা তিনিই ভাল বলতে পারবেন।
শনিবার একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল ইস্টবেঙ্গল। মেহেতাব সিংহের হেড পোস্টে লেগে ফিরল। হুয়ান মেরার কামানদাগা শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হল। এত গোলের সুযোগ নষ্ট করলে কি ম্যাচ জেতা যায়?
খেলার ১০ মিনিটে উইলিস প্লাজার গোলে এগিয়ে গিয়েছিল চার্চিল। চার জন লাল-হলুদ ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করে প্লাজা এগিয়ে দিয়েছিলেন চার্চিল ব্রাদার্সকে। দ্বিতীয়ার্ধে চাপ বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। মাঝমাঠ সচল রেখেছিলেন ভিক্টর। অজস্র পাস খেলল ইস্টবেঙ্গল। ৫৮ মিনিটে এডমুন্ডকে তুলে ক্রোমাকে পাঠান মারিয়ো। পিছিয়ে থাকা দলে প্রাণ ফেরানোর জন্য স্পেনীয় কোচের হাতের শেষ তাস ছিলেন ক্রোমাই। তিনি মাঠে নামার পরে ইস্টবেঙ্গলের ঝাঁঝ বাড়ে।
কোচ মুহূর্তে ভুলে গেলেন এই ক্রোমাই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন। মারিয়োর পরামর্শ শুনে একবার ক্রোমাকে মাথা নাড়তেও দেখা গেল। গুরু-শিষ্যের সম্পর্ক যে তলানিতে এসে ঠেকেছে, তার প্রতিফলন কি পড়ল ম্যাচের সেই মুহূর্তে? ক্রোমা চেষ্টা করলেন। একবার অফসাইডে থেকে গোলও করে ফেলেছিলেন। রেফারি তা বাতিল করে দেন। একবার চার্চিল গোলকিপারকে সামনে পেয়েও জালে বল জড়াতে পারেননি। দিনের শেষে নায়কের মতোই মাঠ ছাড়তে পারতেন ক্রোমা। তার বদলে পার্শ্বচরিত্র হয়েই থেকে যেতে হল লাইবেরিয়ান তারকাকে। গোল পেলেন না ঠিকই। দলের জন্য পেনাল্টি আদায় করে নিলেন। ফুটবলে যে গোল করেন, তাঁকেই তো সবাই মনে রাখেন। বাকিরা তো পার্শ্বচরিত্র।
আরও পড়ুন: ফের ব্যর্থ ‘প্রতিভাবান’ ঋষভ, আর কতদিন বোঝা বইবে দল, প্রশ্ন সোশ্যাল মিডিয়ায়
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy