দিল্লি হাই কোর্ট। ফাইল ছবি।
আইন না মানলে জাতীয় ক্রীড়া সংস্থাগুলিকে কোনও আর্থিক বা অন্য সাহায্য দেওয়া যাবে না। কেন্দ্রীয় সরকারকে এমনই নির্দেশ দিল দিল্লি হাই কোর্ট। এই নির্দেশ অবশ্য সেই সব ক্রীড়া সংস্থাগুলির জন্য কার্যকর হবে, যারা জাতীয় ক্রীড়া নীতি মেনে কাজ করছে না।
বিচারপতি নাজমি ওয়াজিরি এবং বিচারপতি বিকাশ মহাজনের বেঞ্চ বলেছে, ‘‘দীর্ঘ দিন বা অল্প দিন যাই হোক, জাতীয় ক্রীড়া নীতি মেনে চলছে না এমন কোনও সংস্থাকে কোনও সাহায্য দেওয়া যাবে না। আইনের শাসনকে বিঘ্নিত করা যাবে না।’’ আদালত আরও বলেছে, ‘‘এটা অখেলোয়াড়সুলভ। আইন না মানাকে কোনও ভাবেই খেলোয়াড়োচিত বলা যায় না। আগামী দিনে আমাদের অনেককেই লাল কার্ড দেখাতে হবে।’’ ক্রীড়া সংস্থাগুলির জাতীয় ক্রীড়া নীতি না মানা নিয়ে দিল্লি হাই কোর্টে মামলা করেন আইনজীবী রাহুল মেহরা। সেই মামলার রায় দিতে গিয়েই এই মন্তব্য করেছে উচ্চ আদালত।
আদালত বলেছে, যে সব সংস্থা আইন মেনে চলছে না, তাদের তালিকা এক মাসের মধ্যে তৈরি করা হবে। তত দিন স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (সাই) মাধ্যমে ক্রীড়াবিদদের সাহায্য করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে ক্রীড়া সংস্থাগুলিকে জাতীয় ক্রীড় নীতি মেনে চলার বিষয়ে নির্দিষ্ট ভাবে জানাতে হবে আদালতকে। তা না পারলে নির্বাসনের মুখে পড়তে হবে তাদের। ক্রীড়ামন্ত্রকের যু্গ্ম সচিব আদালতকে জানিয়েছেন, ১৫টি সংস্থা বর্তমানে জাতীয় ক্রীড়া নীতি মেনে কাজ করছে। ছয়টি সংস্থাকে আপাতত ছাড় দেওয়া হয়েছে। পাঁচটি সংস্থাকে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। ১৭টি সংস্থার খোলনলচে বদল দরকার।
মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী অনিল সোনি। তিনি আদালতে বলেন, অন্তত ২৪টি সংস্থার মাথায় ক্ষমতাশালী ব্যক্তিরা রয়েছেন। যাঁরা জাতীয় ক্রীড়া নীতি মেনে কাজ করছেন না। সংস্থা পরিচালনার ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ ক্রীড়াবিদকে আনার ক্ষেত্রেও তাঁদের অনীহা রয়েছে। আদালত সাফ জানিয়েছে, কোনও অবস্থাতেই খেলোয়াড়রা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছে, জাতীয় ক্রীড়া সংস্থাগুলি কতটা নিয়ম মেনে চলছে, তার একটা ক্ষুদ্র ছবি সামনে এসেছে। তাই পরবর্তী তারিখ পর্যন্ত সংস্থাগুলিকে আর্থিক বা অন্য কোনও রকম সাহায্য করা উচিত হবে না। জাতীয় ক্রীড়া নীতি মেনে চলছে, এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারলেই সরকারের তরফে সব ধরনের সাহায্য পাবে তারা। দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতিদের আশা, এক মাসের মধ্যে বিষয়টির নিষ্পত্তি সম্ভব হবে। আগামী জুলাই মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। দিন পরে জানাবে দিল্লি হাইকোর্ট।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy