Advertisement
২০ নভেম্বর ২০২৪

ভারতের এই ধাক্কাটা কিন্তু খাওয়ারই ছিল

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে টিম ইন্ডিয়ার ছিটকে যাওয়াটা হতাশার, কিন্তু এতে আশ্চর্যের কিছু দেখছি না। কেন? একটা গোটা টুর্নামেন্টে একটা টিম যদি শুধু একজনের কাঁধে ভর করে এগোতে থাকে, যদি টিমের জয়ে বাকিদের অবদান প্রায় কিছুই না থাকে, তা হলে কোনও না কোনও সময় তো সেই টিমটা থমকে দাঁড়াবে।

দীপ দাশগুপ্ত
শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:৪২
Share: Save:

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে টিম ইন্ডিয়ার ছিটকে যাওয়াটা হতাশার, কিন্তু এতে আশ্চর্যের কিছু দেখছি না। কেন? একটা গোটা টুর্নামেন্টে একটা টিম যদি শুধু একজনের কাঁধে ভর করে এগোতে থাকে, যদি টিমের জয়ে বাকিদের অবদান প্রায় কিছুই না থাকে, তা হলে কোনও না কোনও সময় তো সেই টিমটা থমকে দাঁড়াবে। একবার ভেবে দেখুন। পাকিস্তান-বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া এই তিনটে ম্যাচের যে কোনওটাতেই ভারত হারতে পারত। তা হলে তো সেমিফাইনালে যাওয়াটাও হত না। এই ভারতকে কোনও ভাবেই অপরাজেয় দেখাচ্ছিল না।

বিশ্বকাপের প্রথম থেকে শেষ ভারতীয় অভিযান হয়ে দাঁড়িয়েছিল বিরাট শো। হ্যাঁ, যুবরাজ সিংহ ওকে দারুণ সাহায্য করেছে। রানের সংখ্যা হয়তো বেশি নয়, কিন্তু সেই ইনিংসের গুরুত্ব যথেষ্ট। শেষের দিকে ধোনিও কিছুটা টেনেছে টিমের ব্যাটিং। একটা উদাহরণ দিচ্ছি। বাংলাদেশ ম্যাচটায় বিরাট খুব বেশি রান করেনি। আর ওই ম্যাচ কিন্তু প্রায় হারতে বসেছিল ভারত।

রোহিত শর্মা, শিখর ধবন আর সুরেশ রায়না— তিন প্রধান ব্যাট যদি একসঙ্গে ফর্ম হারিয়ে ফেলে, তা হলে একা বিরাট কত টানবে? বৃহস্পতিবার রোহিত ভাল খেলল, কিন্তু তার আগে ওর পারফরম্যান্স শোচনীয়। শিখরের তো আরওই। বিশ্বকাপে ওপেনারদের ব্যর্থতা আমার কাছে সবচেয়ে কষ্টের।

টপ ফাইভে শুধু বিরাট ফর্মে, এই অবস্থা না হলে ওয়াংখেড়েতে ধোনি বাড়তি ব্যাটসম্যান না খেলিয়ে পাঁচ জন বোলার খেলাতে পারত। নিতে পারত মহম্মদ শামিকে। ওয়াংখেড়ের মতো ব্যাটিং উইকেটে পঞ্চম বোলার যদি হার্দিক পাণ্ড্য হয়, তা হলে সেটা সব সময়ই সমস্যা। ওই মাঠে নিয়মিত বোলাররাই যা মার খায়, তাতে পাণ্ড্য আর কতটা কী করত?

প্রথম তিন ওভারে দু’উইকেট পড়ে যাওয়ায় আরও উইকেটের আশায় বুমরাহ আর নেহরাকে বাড়তি ওভার করানো, অশ্বিনের কোটা শেষ না করা, শেষ ওভার বিরাটকে দেওয়া— ধোনির ফাটকাগুলোও সেমিফাইনালে খাটেনি। আমি তার সমালোচনা করব না, কারণ ক্যাপ্টেনের ‘গাট ফিলিং’ বলে একটা ব্যাপার থাকে। টি-টোয়েন্টিতে ক্যাপ্টেনকে খেলাটা থেকে এগিয়েও থাকতে হয়। ধোনি সেটাই করেছে। আর নিয়মিত বোলারের কোটা পুরো না করানো ধোনি আগেও করেছে।

সবিস্তার দেখতে ক্লিক করুন।

এখন টিমের সমালোচনা হওয়াটা স্বাভাবিক। এত দিন টিম-সহ দেশের সবাই একটা ঘোরের মধ্যে ছিল যে, আমাদের টিমে এমন একজন আছে যে বিশ্বের বাকি সবার চেয়ে এগিয়ে। সেই ঘোরের মধ্যে বাকিদের ব্যর্থতা, ব্যাটিং হোক বা বোলিং, সবার চোখ এড়িয়ে যাচ্ছিল। তাই বলব, বিশ্বকাপে ভারত দারুণ সব রেজাল্ট করলেও টিম হিসেবে টুর্নামেন্টটা ওদের ভাল যায়নি। কোনও জয়কেই টিম এফোর্ট বলা যাবে না।

অন্য বিষয়গুলি:

wt20
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy