অস্ট্রেলিয়ার কোচ ড্যারেন লেম্যান।
অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট বোর্ড জানিয়ে দিয়েছে, বল বিকৃতি কাণ্ডে তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ। কিন্তু তা সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ার কোচ ড্যারেন লেম্যান-কে নিয়ে বিতর্ক থামছে না। বরং আরও বেড়ে গিয়েছে। কেভিন পিটারসেন থেকে ফ্যানি ডিভিলিয়ার্স— সবাই মনে করছেন, দলের ক্রিকেটারেরা বল বিকৃত করছেন আর কোচ সেটা জানেন না, এমন হতেই পারে না। কিন্তু এই বিতর্কের মাঝেও লেম্যান বলে দিচ্ছেন, অস্ট্রেলিয়ার কোচের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কোনও ইচ্ছা তাঁর নেই।
জোহানেসবার্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে লেম্যান বলেন, ‘‘আমি ইস্তফা দিচ্ছি না। কিন্তু আমরা যে ভাবে খেলছি, সেই ধরনটা বদলাতে হবে।’’ একই সঙ্গে লেম্যান বলেছেন, ‘‘স্মিথ, ওয়ার্নার, ব্যানক্রফ্ট মারাত্মক ভুল করেছে। যে জন্য ওদের শাস্তি পেতেও হল। কিন্তু এটা ভুললে চলবে না, ওরাও মানুষ। এবং খুব খারাপ মানুষ নয়। কোচ হিসেবে ওদের জন্য আমার খারাপ লাগছে।’’ পুরো ঘটনার জন্য টিমের হয়ে দেশবাসীর কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন লেম্যান।
কিন্তু লেম্যান কেন ছাড় পেলেন? ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিইও জেমস সাদারল্যান্ড জানিয়েছেন, মাঠে কী ঘটনা ঘটছে, তা টিভি-তে দেখে চমকে উঠেছিলেন লেম্যান। সঙ্গে সঙ্গে ওয়াকিটকি মারফত জানতে চান, কী হচ্ছে। কোচ আগে থেকে কিছুই জানতেন না। কিন্তু সাদারল্যান্ডের এই বক্তব্য মানতে নারাজ অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটারই।
অন্য দিকে আবার অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটার মনে করছেন, স্মিথ-ওয়ার্নারদের অপরাধের অনুপাতে অতিরিক্ত কড়া শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে আইসিসি যেখানে স্মিথ-কে এক টেস্ট সাসপেন্ড করেছিল, সেখানে বোর্ড কেন এত কড়া হল? শেন ওয়ার্ন যেমন। কিংবদন্তি লেগস্পিনার বলছেন, ‘‘এই অপরাধের জন্য কড়া শাস্তি হওয়া উচিত ছিল ঠিকই। কিন্তু যে শাস্তি স্টিভ স্মিথের মতো একজন সফল অধিনায়কের ক্রিকেট জীবন থেকে একটা বছর কেড়ে নেয়, তা বাড়াবাড়ি।’’ ওয়ার্নের মতে, ‘‘নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে মোটা জরিমানা করে সিরিজের শেষ টেস্ট খেলতে না দেওয়াটাই তো বড় শাস্তি। এর পরেও ওদের নির্বাসনে পাঠানো উচিত হয়নি। শাস্তির নামে কারও ক্রিকেটজীবন নষ্ট করা উচিত নয়।’’
আরও পড়ুন: আইসিসি দিয়েছে এক টেস্ট নির্বাসন, দেশ এক বছরের
অতীতের একাধিক বল-বিকৃতির ঘটনা তুলে ধরে ওয়ার্ন তাঁর কলামে লিখেছেন, ‘‘দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি একই অপরাধ দু’বার করেছে। ওদের ওপেনিং বোলার ভার্নন ফিল্যান্ডার একবার। এই অপরাধের তালিকা লম্বা এবং সচিন তেন্ডুলকর, মাইক আথারটনের মতো বড় বড় নাম রয়েছে এই তাতে।’’ তাদের যে এত কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হয়নি, সেটাই মনে করিয়ে দেন ওয়ার্ন।
প্রাক্তন ইংরেজ অধিনায়ক মাইকেল ভন, যিনি এই ঘটনার নিন্দায় মুখর হয়েছিলেন, তিনিও ওয়ার্নের সঙ্গে একমত। টুইটারে ভন লেখেন, ‘‘স্মিথের শাস্তির দরকার ছিল ঠিকই, কিন্তু এতটা নয়। ব্যানক্রফ্টের শাস্তিও বড্ড বেশি হয়ে গিয়েছে। তবে আর একজনকে (ওয়ার্নার) নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই।’’ আর এক ইংরেজ ক্রিকেটার অ্যালান ল্যাম্বও টুইট করেন, ‘‘আইসিসি এই শাস্তি দিলে কিছু বলার ছিল না। কিন্তু এক বছর নির্বাসনটা বড্ড বেশি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy