ডোপিংয়ে অভিযুক্ত ঐশ্বর্যা এবং ধনলক্ষ্ণী। ফাইল ছবি।
কমনওয়েলথ গেমসের আগেই ধাক্কা ভারতীয় অ্যাথলেটিক্সে। ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হলেন ভারতীয় দলের স্প্রিন্টার ধনলক্ষ্মী সেকার এবং ট্রিপল জাম্পার ঐশ্বর্যা বাবু। দু’জনকেই নির্বাসনে পাঠিয়েছে ভারতীয় অ্যাথলেটিক্স সংস্থা।
ধনলক্ষ্মী এবং ঐশ্বর্যা ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় কমনওয়েলথ গেমসে অংশ নিতে পারবেন না। নিষিদ্ধ ওষুধ ব্যবহারের জন্য দুই মহিলা অ্যাথলিটেরই কড়া শাস্তি হতে পারে। ১০০ এবং ২০০ মিটার দৌড়ে দেশের অন্যতম সেরা মহিলা স্প্রিন্টার ধনলক্ষ্ণীর নমুনায় নিষিদ্ধ স্টেরয়েড পাওয়া গিয়েছে। তাঁর ‘এ’ এবং ‘বি’— দু’টি নমুনাতেই নিষিদ্ধ স্টেরয়েড রয়েছে। বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স সংস্থার অ্যাথলেটিক্স ইন্টিগ্রিটি ইউনিট (এআইইউ) ধনলক্ষ্মীর নমুনা পরীক্ষা করে। কমনওয়েলথ গেমসে ১০০ মিটার দৌড় এবং ৪x১০০ মিটার রিলেতে অংশ নেওয়ার কথা ছিল তাঁর। এর আগে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপেও নামত পারেননি তিনি। ভিসা সমস্যার জন্য ওরিয়ন যেতে পারেননি তিনি। সরস্বতী সাহা এবং হিমা দাস ছাড়া তিনিই একমাত্র ভারতীয় মহিলা অ্যাথলিট যিনি ২৩ সেকেন্ডের কম সময়ে (২২.৮৯ সেকেন্ড) ২০০ মিটার দৌড়েছেন।
অন্য দিকে, ঐশ্বর্যার নমুনা পরীক্ষা করেছিল ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি বা নাডা। আন্তঃরাজ্য প্রতিযোগিতার সময় তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। চেন্নাইয়ের সেই প্রতিযোগিতাতেই ১৪.১৪ মিটার লাফিয়ে ট্রিপল জাম্পে নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েন তিনি। ৬.৭৩ মিটার লাফান লং জাম্পে। অঞ্জু ববি জর্জের জাতীয় রেকর্ড ৬.৮৩ মিটারের ঠিক পরেই ছিল ঐশ্বর্যার ব্যক্তিগত সেরা লাফ।
দুই অ্যাথলিটের ডোপ পরীক্ষার ফল জানার পরেই তাঁদের নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। কমনওয়েলথ গেমসের দল থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছে। ঠিক কত দিনের নির্বাসন হবে, তা এখনও জানানো হয়নি।
ভারতীয় অ্যাথলিটদের মধ্যে ডোপিংয়ের প্রবণতা বাড়ছে বলে কিছু দিন আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন ভারতীয় অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের কর্তারা। ফেডারেশনের বার্ষিক সাধারণ সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন অঞ্জুও। কমনওয়েলথ গেমসের আগে তাঁদের সেই উদ্বেগই সত্যি হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy