নজরে: ৭৪ বলে ৮০ রান করে ফিরলেন যশস্বী। শুক্রবার। ছবি: রয়টার্স।
প্রথম দিনের শেষ সেশনে আগ্রাসী ব্যাটিং করে শতরানের কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। তৃতীয় দিন সকালের দ্বিতীয় বলটিই পাঠিয়ে দেন বাউন্ডারিতে। কিন্তু দিনের চতুর্থ বলে কট ও বোল্ড হয়ে ফিরে যান ৮০ রানে।
মাঠ থেকে ড্রেসিংরুমে যাওয়ার পথটা ছোট হলেও তাঁর কাছে নিশ্চয়ই দীর্ঘ মনে হয়েছিল। দেশের মাটিতে টেস্ট শতরানের সুযোগ হাতছাড়া করার আক্ষেপ থাকাই স্বাভাবিক। কিন্তু সাংবাদিক বৈঠকে এসে যশস্বী জয়সওয়াল জানালেন, তাঁর তা নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই।
ভারতের তরুণ ওপেনার বলছিলেন, ‘‘শতরান করতে পারলে নিশ্চয়ই ভাল লাগত। কিন্তু আমি ইতিবাচক ভাবে ইনিংস সাজাতে চেয়েছিলাম।’’ যোগ করেন, ‘‘কখনও সেটা কার্যকরী হয়। কখনও হয় না। তবে শতরান হাতছাড়া করার আক্ষেপ খুব একটা নেই।’’
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁর বাজ়বল ক্রিকেট নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে ক্রিকেটবিশ্বে। কিন্তু যশস্বী জানিয়েছেন, আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার কোনও নির্দেশ তাঁকে দেওয়া হয়নি। তরুণ ওপেনারের কথায়, ‘‘আক্রমণ করার কোনও পরিকল্পনা ছিল না। আগেই বলেছি, ইতিবাচক থাকতে চেয়েছিলাম। ড্রেসিংরুম থেকে কোনও নির্দেশ দিয়ে পাঠানো হয়নি যে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতেই হবে। এটা সম্পূর্ণ আমার সিদ্ধান্ত। প্রথম দিন কার্যকরী হয়েছে। দ্বিতীয় দিন হয়নি। আউট হয়ে গিয়েছি।’’
যশস্বী মানছেন দিনের প্রথম ওভারে আউট হওয়া উচিত হয়নি তাঁর। কিন্তু সঙ্গে এও বলেন, ‘‘ভুল হতেই পারে। মানুষ মাত্রই ভুল করে। কিন্তু সেই ভুল থেকে বারবার শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করি। আজ ভুল শট খেলে আউট হয়েছি। এই ভুল থেকেও শিক্ষা নিয়েছি।’’
ইংল্যান্ড এতটাই চাপের মধ্যে রয়েছে যে, সাংবাদিক বৈঠকে কোনও ক্রিকেটারকে পাঠানো হয়নি। এলেন তাদের সহকারী কোচ জিতান পটেল। তিনি নিজে এক সময় নিউ জ়িল্যান্ডের অফস্পিনার হিসেবে ভারতে টেস্ট খেলে গিয়েছেন। এই দেশে কী ভাবে বল করতে হয়, সেই আন্দাজ আছে। অথচ তাঁর দলের নিয়মিত স্পিনারদের খুব একটা বল করানো গেল না। জিতান যদিও মনে করেন, স্পিনাররা ভাল বল করেছেন। বলছিলেন, ‘‘প্রত্যেক ওভারে এক দু’টি করে বল বিপক্ষ ব্যাটসম্যানকে পরাস্ত করেছে। ভাগ্য সঙ্গ দিলে দিনের শেষে স্কোরটা অন্য রকমও হতে পারত।’’
ভারতর মাটিতে যে টেস্ট খেলা খুব একটা সহজ নয়, তা মানছেন প্রাক্তন অফস্পিনার। বলছিলেন, ‘‘দিনটি কঠিন ছিল। ভারতের মাটিতে তাদের বিরুদ্ধে খেলা একেবারেই সহজ নয়। কারণ, ওরা প্রচণ্ড চাপ তৈরি করে।’’ যোগ করেন, ‘‘তবে এটাও ঠিক, ভারতের মাটিতে টেস্ট উইকেট বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে স্পিনাররা। অন্যান্য দেশে স্পিন-সহায়ক পিচ তো খুব একটা পাওয়াও যায় না।’’
জো রুটের বোলিংয়ে মুগ্ধ জিতান। নিয়মিত স্পিনারদের চেয়েও তাঁর বলে আউট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি তৈরি হয়েছে। জিতানের কথায়, ‘‘জো বরাবরই আক্রমণাত্মক বোলার। ব্যাটসম্যানকে পরীক্ষায় ফেলে। তবে বাকিরা খারাপ বল করেনি। প্রথম টেস্ট ম্যাচে কিছুটা জড়তা রয়েছে। আশা করি, এটা কেটে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy