ভবিষ্যতে দেখা যাবে কোচ ঋদ্ধিকে? —ফাইল চিত্র
আইপিএল জেতার পর ঘুরতে গিয়েছিলেন দুবাইয়ে। ছুটি কাটিয়ে ফিরে কোনও প্রতিযোগিতা নেই সামনে। চাইলে বর্ষার দিনগুলি নিশ্চিন্তে ঘরে বসে কাটিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু ঋদ্ধিমান সাহা মাঠ ছেড়ে যে থাকতে পারেন না। তাই দুপুরবেলা পরিবারের সঙ্গে এক রেস্তরাঁয় খেতে গেলেও বিকেলে চলে এলেন কালীঘাট ক্লাবে।
সেখানেই ধরা দিলেন অন্য মেজাজে। টিপ টিপ করে বৃষ্টি শুরু করতেই ক্লাবের লন থেকে চলে এলেন ভিতরে। নিজেই দুটো চেয়ার হাতে তুলে নিলেন। ক্লাবের ভিতরে এসে একটিতে নিজে বসলেন, অন্যটিতে বসতে বললেন সাংবাদিককে। আসে পাশে তখন ভিড় করে রয়েছে একাধিক কিশোর। সাক্ষাৎকার হল, কিছু আলাপ-আলোচনা হল, তার পরেই ঋদ্ধিকে দেখা গেল অন্য ভূমিকায়। এক কিশোর ব্যাট, প্যাড নিয়ে দাঁড়িয়ে। তাঁকে ঋদ্ধি জিজ্ঞেস করলেন, “কিছু বলবি?”
উৎসুক কিশোর এই অপেক্ষাতেই ছিল। সে বলল, “আমার ব্যাটিং স্টান্সটা খুব ওপেন। আমাকে অনেকে সেটা পাল্টাতে বলছেন। কী করব?” এর পরেই শুরু হল ঋদ্ধির কোচিং ক্লাস। নিজে স্টান্স নিলেন, ছাত্রের স্টান্স দেখলেন, হাতে ধরে বুঝিয়ে দিতে শুরু করলেন কোন কোন জায়গায় ভুল হচ্ছে। কোন কোন জায়গায় উন্নতি প্রয়োজন। সব কিছু বোঝাতে শুরু করলেন। বাকিরাও পাশে দাঁড়িয়ে শুনছে। বৃষ্টি বাড়তে তাদের ভিতরে ডেকে নিলেন।
এক জনকে বুঝিয়ে দিয়েই থামলেন না। পাশের জনকে জিজ্ঞেস করলেন তাঁর কিছু বলার আছে কি না। সে তাঁর পায়ের ব্যথা নিয়ে জিজ্ঞেস করায় চেয়ারে বসে দেখালেন কোন ব্যায়ামে মিলতে পারে সমাধান।
৩৭ বছরের ঋদ্ধিকে নিয়ে বলাই যায় যে, তিনি দাঁড়িয়ে রয়েছেন তাঁর ক্রিকেটার জীবনের সায়াহ্নে। আরও কয়েক বছর ক্রিকেট খেললেও ভবিষ্যতে তাঁকে কোচ হিসাবে দেখা যেতেই পারে। মোটেই অসম্ভব নয়।
গোকুলে বেড়ে উঠছেন ‘কোচ’ ঋদ্ধি!
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy