Advertisement
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Wriddhiman Saha

ফিরেই বাংলার অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে ঋদ্ধিমান, ভুলে গিয়েছেন তিক্ত অতীত

নিজের রাজ্য বাংলায় ফিরে এসে নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে চাইছেন ঋদ্ধিমান সাহা। তিন ফরম্যাটেই খেলতে চাইছেন। শুধু তাই নয়, সব ঠিক থাকলে আগামী মরসুমে বাংলার অধিনায়ক হিসাবেও দেখা যেতে পারে তাঁকে।

cricket

সাংবাদিক বৈঠকে ঋদ্ধিমান সাহা। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০২৪ ২০:২৬
Share: Save:

তাঁর টুপিতে লেখা, ‘নেভার গিভ আপ’। অর্থাৎ কখনও হাল ছেড়ো না।

নিজের জীবনেও সে কথাই মেনে চলেন ঋদ্ধিমান সাহা। মেনে চলেন বলেই চল্লিশ ছুঁইছুঁই বয়সে নিজের রাজ্য বাংলায় ফিরে এসে নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে চাইছেন। তিন ফরম্যাটেই খেলতে চাইছেন। চালিয়ে যেতে চাইছেন আইপিএলে খেলাও। শুধু তাই নয়, সব ঠিক থাকলে আগামী মরসুমে বাংলার অধিনায়ক হিসাবেও দেখা যেতে পারে তাঁকে।

সিএবি-র এক কর্তার সঙ্গে ঝামেলার জেরে দু’বছর আগে বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরায় চলে গিয়েছিলেন ঋদ্ধিমান। সে রাজ্যের হয়ে খেলার চাপ বাংলার থেকে অনেকটাই কম। অনায়াসে ত্রিপুরার হয়ে বাকি জীবন খেলে পেশাদার ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে পারতেন। তা না করে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, স্ত্রী রোমি এবং আরও কিছু শুভাকাঙ্ক্ষীর কথা শুনে বাংলায় ফিরেছেন। আবার রাজি নিজের রাজ্যের হয়ে সেরাটা দিতে।

বাংলায় ফেরার পর সোমবারই প্রথম সাংবাদিক বৈঠক করলেন ঋদ্ধিমান। বললেন, “মাঝে দু’বছর ছিলাম না। তার আগে ১৪-১৫ বছর বাংলার হয়ে খেলেছি। দাদি (সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়), স্ত্রী রোমি, স্নেহাশিসদা (গঙ্গোপাধ্যায়, সিএবি সভাপতি) সবার সঙ্গে কথা বলেই বাংলায় ফিরেছি। যদি দলে জায়গা পাই তা হলে নিজের সেরাটাই দেব। আগেও একই কাজ করেছি।”

একই সঙ্গে ভবিষ্যতেরও ঘোষণা করে রাখলেন ঋদ্ধিমান। বললেন, “আগামী দিনে যদি সিএবি আমাকে অন্য কোনও দায়িত্ব দেয় সেটাও করতে রাজি। বাংলার হয়ে খেলার জন্যে অনেক চাকরির প্রস্তাব ফিরিয়েছি। যেখান থেকে আমার উত্থান সেখানকার জন্য কিছু করতে পারলে ভাল লাগবে।”

দু’বছর আগে এই সিএবি-তে এক কর্তার সঙ্গে ঝামেলার জেরে যতই তিক্ততা তৈরি হোক, বাংলার হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে তা মনে রাখতে চান না ঋদ্ধিমান। বলেছেন, “যেখান থেকে শুরু করেছি সেখানে ফিরে মনে হচ্ছে কিছুই হয়নি। পরিবেশ আগের মতোই রয়েছে। নিয়মিত লক্ষ্মীদা (লক্ষ্মীরতন শুক্ল, বাংলার কোচ), ম্যাকোদার (শিবশঙ্কর পাল) সঙ্গে কথা হচ্ছে। আশা করি আগামী মরসুম ভালই কাটবে।”

অধিনায়ক হওয়ার কথা মুখে স্বীকার করতে চাইলেন না। বললেন, “এখনও অনেক সময় রয়েছে। এখনই কিছু বলতে পারব না। দলের জন্য যেটা ভাল মনে হবে সেটাই করব। প্রথম ম্যাচ খেলার আগে অন্তত দু’মাস বাকি আছে।”

সরাসরি না বললেও ঋদ্ধিমানকে অধিনায়ক করার প্রসঙ্গ পুরোপুরি উড়িয়ে দেননি সভাপতি স্নেহাশিস। তিনি বলেছেন, “আমার ব্যক্তিগত পছন্দ নেই। যা দল ঠিক করবে তাই হবে। ১৫ জুলাই থেকে আমাদের অনুশীলন শুরু হয়েছে। ১৩ অক্টোবর প্রথম ম্যাচ। বাইরে গিয়ে শিবির করব। প্রস্তুতি ম্যাচ খেলব। তার পরে সিদ্ধান্ত।”

সিএবি সূত্রে খবর, মনোজ তিওয়ারি অবসর নেওয়ায় অধিনায়ক হিসাবে একজন অভিজ্ঞ কাউকে চাওয়া হচ্ছে। তাই নেতা হিসাবে ঋদ্ধিমানকেই দেখা যেতে পারে। বাংলার হয়ে যিনি নিজের সেরাটা বরাবর দিয়েছেন, তাঁকে সম্মান জানানোর এটাই সেরা উপায় বলে মনে করছেন একাংশ।

বাংলার হয়ে খেলতে নামলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে এখন বহু দূরে ঋদ্ধিমান। দলে ফেরার সম্ভাবনা প্রায় নেই। যদিও বাংলার উইকেটকিপার বলেছেন, “দূরেরটা ভাবি না। বরাবরই ভাল লাগে বলে খেলে এসেছি। যতদিন ভাল লাগে ততদিন খেলব। এখনও আমার মধ্যে খিদে রয়েছে। জানি বয়স হচ্ছে। তার মধ্যেও ১০০ শতাংশ দেওয়ার চেষ্টা করব।”

ঋদ্ধিমান প্রথম একাদশে থাকলে উইকেটকিপার হিসাবে অভিষেক পোড়েলকে বাদ পড়তে হবে। গত দুই মরসুমে অভিষেক বাংলার জার্সিতে ভালই খেলেছেন। যদিও ঋদ্ধিমান ইঙ্গিত দিয়েছেন, দলের প্রয়োজনে তিনি শুধু ব্যাটার হিসাবেই খেলতে রাজি। দরকার অভিষেকই উইকেটের পিছনে থাকবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Wriddhiman Saha bengal cricket
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE