নিজেদের প্রথম ম্যাচেই জয় পেল ইউপি ওয়ারির্স। ছবি: পিটিআই
উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে প্রথম জয়ের খুব কাছে ছিল গুজরাত জায়ান্টস। শেষ ওভারে উত্তরপ্রদেশের প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। কিন্তু তা-ও ম্যাচ জেতা হল না স্নেহ রানা, হারলিন দেওলদের। শেষ ওভারের প্রতি বলে নাটকের শেষে গুজরাতকে হারিয়ে মেয়েদের আইপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই জয় পেল ইউপি ওয়ারির্স।
প্রথমে ব্যাট করে গুজরাত তোলে ১৬৯ রান। সেই রান তাড়া করতে নেমে শেষ ওভারে উত্তরপ্রদেশের প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। শেষ ওভারের প্রথম বলটাতেই ছক্কা হাঁকান গ্রেস হ্যারিস। ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন দলকে। ৫ বলে ১৩ বাকি থাকা অবস্থায় ওয়াইড বল করেন অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি গুজরাতের অধিনায়ক স্নেহ রানা। রিভিউ চান তিনি। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ারও জানিয়ে দেন যে বলটি ওয়াইড ছিল। মেয়েদের আইপিএলে নতুন নিয়ম এই ওয়াইড এবং নো হলে রিভিউ নেওয়ার সুযোগ।
পরের বলটি ইয়র্কার করতে গিয়ে লো ফুলটস করেন সাদারল্যান্ড। ডিপ মিডউইকেটের দিকে মারেন গ্রেস। রান নিতে গিয়ে হাত থেকে ব্যাট পড়ে যায় নন স্ট্রাইকার সোফি একলেস্টনের। রান আউটের সহজ সুযোগ ছিল। কিন্তু বাউন্ডারি থেকে আসা বল ধরতেই পারলেন সাদারল্যান্ড। সহজেই ক্রিজে পৌঁছে যান একলেস্টন। পরের বলটিতে চার মারেন গ্রেস। বোলারের পাশ দিয়েই বল সোজা বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে দেন তিনি। প্রথম তিন বলেই ১৩ রান উঠে যায়। এমন অবস্থায় আবার একটি বলে রিভিউ চাওয়া হয়। সাদারল্যান্ডের করা বলে ওয়াইড দেননি আম্পায়ার। রিভিউ চান গ্রেস। তৃতীয় আম্পায়ার জানান বলটি ওয়াইড ছিল। আরও একটি রান পেয়ে যান গ্রেসরা।
জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল পাঁচ রান। এমন অবস্থায় গ্রেসের মারা বল ধরতে গিয়ে ফস্কান কভারে দাঁড়িয়ে থাকা গুজরাতের ফিল্ডার। জয় তখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। ছক্কা মেরে এক বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জেতান গ্রেস।
ব্যাট হাতে গুজরাতের হয়ে ৪৬ রান করেচন হারলিন। বল হাতে পাঁচ উইকেট নেন কিম গার্থ। কিন্তু এই সব কিছু একাই ম্লান করে দেন গ্রেস। ২৬ বলে ৫৯ রান করে ম্যাচ জেতান তিনি। উত্তরপ্রদেশের হয়ে অর্ধশতরান করেন কিরণ নবগীরে (৫৩)। শেষ বেলায় গ্রেসকে সঙ্গ দেওয়া একলেস্টন ১২ বলে ২২ রান করেন। তিনি বল হাতেও দু’টি উইকেট নেন। সেই দাপটে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও হেরে গেল গুজরাত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy