মহিলাদের আইপিএলের ফাইনালে নামার আগে প্রতিপক্ষকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর। তিনি বিশেষ প্রশংসা করেছেন দিল্লি ক্যাপিটালসের ওপেনিং জুটির।
রবিবার মহিলাদের প্রথম আইপিএলের ফাইনালে মেগ ল্যানিংয়ের দিল্লির মুখোমুখি হবে হরমনপ্রীতের মুম্বই। বেবোর্ন স্টেডিয়ামের ২২ গজের লড়াইয়ের আগে প্রতিপক্ষ শিবিরের প্রশংসা শোনা গেল মুম্বই অধিনায়কের গলায়। হরমনপ্রীত প্রশংসা করেছেন ল্যানিংয়ের সঙ্গে শেফালি বর্মার ওপেনিং জুটির। তাঁর মতে, ল্যানিং-শেফালির ওপেনিং জুটি প্রতিযোগিতার সেরা। তাই তাঁদের সম্পর্কে সতীর্থদের সতর্ক করে দিয়েছেন হরমনপ্রীত।
হরমনপ্রীত বলেছেন, ‘‘প্রতিযোগিতার সেরা ওপেনিং জুটি রয়েছে দিল্লির। গোটা প্রতিযোগিতায় ওরা দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে। শেষ ম্যাচেও নিজেদের দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছে ওরা। জানি ওরা কতটা বিপজ্জনক হতে পারে। সে জন্য আমাদেরও নির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। আশা করছি, আমাদের পরিকল্পনা কাজে আসবে।’’ হরমনপ্রীতের মতে দিল্লির ওপেনিং জুটিই তাদের প্রধান শক্তি। এখনও পর্যন্ত আটটি ম্যাচ খেলে ল্যানিং করেছেন ৩১০ রান। তিনিই প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। অন্য দিকে শেফালির ব্যাট থেকে এখনও পর্যন্ত এসেছে ২৪১ রান। ভারতীয় ব্যাটারের স্ট্রাইক রেট ১৮২.৫৭।
মুম্বইয়ের দলও যথেষ্ট শক্তিশালী। দলগত পারফরম্যান্সের নিরিখে তারাই প্রতিযোগিতার সেরা। নেতৃত্ব দেওয়ার মতো একাধিক ক্রিকেটার রয়েছেন দলে। হরমনপ্রীত যেমন ভারতীয় দলেরও অধিনায়ক, তেমন দলে রয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের অধিনায়ক হিলি ম্যাথিউজ, ইংল্যান্ডের সহ-অধিনায়ক সিভার ব্র্যান্ট। এত জন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার থাকায় কঠিন পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হয় বলে মেনে নিয়েছেন হরমনপ্রীত। তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের দলে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো একাধিক ক্রিকেটার রয়েছে। যারা নিজেদের দেশের অধিনায়ক বা সহ-অধিনায়ক। আমনজ্যোৎ কৌরের মতো ভারতীয় ক্রিকেটারাও গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভাল পারফরম্যান্স করেছিল। স্বীকার করতে বাধা নেই, আমাদের দলের পরিবেশটা দারুণ।’’
Photoshoots like these 📸📸
— Women's Premier League (WPL) (@wplt20) March 25, 2023
What a lovely sight to see the two captains ahead of the #TATAWPL Final 🏆 pic.twitter.com/8MbkTIAcfj
আরও পড়ুন:
খেতাব জয়ের ব্যাপারে হরমনপ্রীত আত্মবিশ্বাসী হলেও, ফাইনালের লড়াইয়ে নিজের দলকে এগিয়ে রাখতে নারাজ তিনি। তাঁর আশা, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে দু’দলের। তাঁর আশা মহিলা প্রিমিয়ার লিগের সুফল পাওয়া যাবে আগামী দু’তিন বছরে। ঠিক যেমন মহিলাদের বিগ ব্যাশ লিগ থেকে অস্ট্রেলিয়া এবং মহিলাদের দ্য হান্ড্রেড থেকে ইংল্যান্ডের মহিলা ক্রিকেটে প্রচুর নতুন প্রতিভা উঠে এসেছে।