এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তানকে শুক্রবার শেষ বলে হারিয়ে দিল তারা। কিন্তু পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে ২৫২ রান তুলেছিল। শ্রীলঙ্কার সামনেও সেই রানই কী করে লক্ষ্য হল? ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী বিপক্ষের রানের থেকে এক রান বেশি করলে তবেই জেতা যায়। কিন্তু একই রান করে কী করে জয় পেল শ্রীলঙ্কা?
পাকিস্তান সাত উইকেট হারিয়েছিল নিজেদের ইনিংসে। সেক্ষেত্রে রান যোগ হওয়ার কথা নয় তাদের? না, ইনিংসে ক’টি উইকেট পড়ল সেটার উপর রান নির্ভর করে না। বরং বৃষ্টির কারণে ম্যাচ বন্ধ হওয়ার আগে ক’টি উইকেট পড়েছিল, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। বৃষ্টিতে ম্যাচ বন্ধ হওয়ার আগে পাঁচটি উইকেট পড়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের। তখন তিন ওভার আরও কমে যায়। যদি বৃষ্টি থামার আগে পাকিস্তানের একটা উইকেট কম পড়ত তাহলে শ্রীলঙ্কাকে ২৫৫ রান তাড়া করতে হত। বৃষ্টির আগে যত কম উইকেট হারাবে একটি দল, তত লাভ সেই দলের। ডিএলএস মেথডে উইকেট বাঁচিয়ে রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
বৃহস্পতিবার বৃষ্টির কারণে ৫০ ওভারের ম্যাচ প্রথমে ৪৫ ওভারে কমে যায়। পরে পাকিস্তানের ইনিংসের মাঝে আবার বৃষ্টি হয়। তখন আবার ওভার কমানো হয়। ৪২ ওভারে ম্যাচ হবে বলে জানান আম্পায়ারেরা। এর ফলে বোলারদের সর্বাধিক ওভার বল করার সংখ্যাও পরিবর্তন হয়। পাওয়ার প্লে-র নিয়মেও বদল হয়। পাকিস্তানের ইনিংসের মাঝে এই পরিবর্তন হওয়ার ফলে শ্রীলঙ্কার রানের লক্ষ্য পাল্টে যায়। সেই কারণে পাকিস্তান ২৫২ রান তোলার পরেও সেই রানই শ্রীলঙ্কার লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন:
১৯৯৯ সাল থেকে ডাকওয়র্থ লুইস মেথড (ডিএলএস) মানতে শুরু করে আইসিসি। বৃষ্টি বা অন্য কোনও কারণে খেলার সময় নষ্ট হলে এই নিয়মের মাধ্যমে ঠিক হয় কত ওভার খেলা হবে বা রানের লক্ষ্য কত হবে। খেলা শুরু হতে দেরি হওয়ায় প্রথমে পাঁচ ওভার কমানো হয়। কিন্তু পাকিস্তানের ইনিংসে ২৭.৪ ওভার খেলা হওয়ার পর বৃষ্টি আসে। সেই সময় ১৩০ রানে ৫ উইকেট চলে গিয়েছিল বাবরদের। বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলে আরও তিন ওভার কমে যায়। তখনই কার্যকর হয় ডিএলএস মেথড। পাকিস্তান ৪২ ওভারে ২৫২ রান তোলার পরেও সেই রানই লক্ষ্য হয় শ্রীলঙ্কার। শেষ ওভারে সেই রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় তারা।