বেন স্টোকস। ছবি রয়টার্স
সব ঠিকঠাকই চলছিল। ভারতের বিরুদ্ধে সবে এক দিনের সিরিজ খেলে উঠেছেন। সামনে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ। চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়ে ছিলেন। হঠাৎই সোমবার বিকেলে এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে যবনিকা পতন! বেন স্টোকস জানিয়ে দিলেন, এক দিনের ক্রিকেটকে বিদায় জানাচ্ছেন। মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শেষ এক দিনের ম্যাচে খেলতে নামবেন।
হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত নিতে হল ইংল্যান্ডের নতুন টেস্ট অধিনায়ককে? নেপথ্যে উঠে এসেছে সেই ‘ওয়ার্কলোড’-এর প্রসঙ্গই। ভারতীয় ক্রিকেটে এই মুহূর্তে ওয়ার্কলোড বহু ব্যবহৃত শব্দ। নিজের লম্বা ইনস্টাগ্রাম পোস্টে স্টোকস ঘুরে-ফিরে সেই ওয়ার্কলোডের কথাই জানিয়েছেন। কঠিন সূচি, নাগাড়ে ক্রিকেট খেলা তাঁর শরীর যে আর নিতে পারছে না, এটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তাই ১১ বছর খেলেই এক দিনের ক্রিকেটে দাঁড়ি টানতে হল তাঁকে।
ঘটনাচক্রে, ভারতে এই মুহূর্তে প্রথম সারির ক্রিকেটারদের ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলানো হচ্ছে। নাগাড়ে ক্রিকেট খেলা, ঠাসা সূচির দিকে অভিযোগ তুলছেন অনেকে। দেখা গেল, বিলেতেও একই জিনিস ঘটছে। ঠাসা সূচির চাপ আর সামলাতে পারছেন না ক্রিকেটাররা। খোদ ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের অধিনায়ককে পর্যন্ত অন্য ফরম্যাট থেকে অবসর নিতে হল! প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, এক দিনের ক্রিকেটের কি আদৌ আর পুরনো জৌলুস রয়েছে?
ইনস্টাগ্রামে স্টোকস লিখেছেন, ‘সিদ্ধান্ত নেওয়ার থেকে এটা ভাবা আরও কঠিন ছিল যে, এই ফরম্যাটে আমি নিজের ১০০ শতাংশ দিতে পারব না। আমার পক্ষে তিনটে ফরম্যাটে একসঙ্গে খেলে যাওয়া এখন আর সম্ভব নয়। শুধু আমার শরীর সঙ্গ দেবে না তাই নয়, ঠাসা সূচির মাঝে আমার থেকে যা প্রত্যাশা করা হচ্ছে সেটাও আমি দিতে পারব না। জোর করে নিজের জায়গা ধরে রাখতে চাই না। আমার বদলে অন্য কেউ আসুক, যে জস (বাটলার) এবং ওর দলের জন্য নিজের সেরাটা দেবে। অন্য কোনও ক্রিকেটারের জন্য জায়গা ছেড়ে দেওয়ার এটাই সেরা সময়। আশা করি আমি যে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি, সেটা সেও করতে পারবে।’
সম্প্রতি টেস্ট দলের অধিনায়ক করা হয়েছে তাঁকে। সেই ফরম্যাটে যে সম্পূর্ণ দায়বদ্ধতার সঙ্গে খেলবেন, সেটা পরিষ্কার করে দিয়েছেন স্টোকস। লিখেছেন, ‘এই সিদ্ধান্তের ফলে টেস্টে নিজের সেরাটা দিতে আমার কোনও বাধা থাকল না। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের উপরেও আমি সম্পূর্ণ দায়বদ্ধ। জস বাটলার, ম্যাথু মট, সতীর্থ এবং সাপোর্ট স্টাফদের উদ্দেশে অনেক শুভেচ্ছা রইল। গত সাত বছর ধরে সাদা বলের ক্রিকেটে আমরা দুর্দান্ত খেলেছি। ভবিষ্যৎ যে উজ্জ্বল সেটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ১০৪টে ম্যাচের প্রতিটাই উপভোগ করেছি। আর একটা বাকি। ঘরের মাঠের দর্শকের সামনে শেষ ম্যাচ খেলার থেকে ভাল আর কিছুই হতে পারে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy