আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৭১তম শতরানের পর স্ত্রী অনুষ্কার সামনে আবেগ ধরে রাখতে পারেনি কোহলি। ছবি: টুইটার।
দীর্ঘ দিন ছন্দে ছিলেন না বিরাট কোহলি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৭০তম এবং ৭১তম শতরানের মাঝে চলে গিয়েছিল দু’বছর। গত বছর এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে শতরান স্বস্তি দিয়েছিল কোহলিকে। এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন তিনি। যেখানে ভারতীয় দলের অধিনায়ক থাকার সময়ের কিছু প্রসঙ্গও এসেছে।
উঠে এসেছে ব্যাটার কোহলির কথাও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৭১তম শতরানের সেই ইনিংস নিয়ে বলেছেন, ‘‘যে বলে শতরানে পৌঁছে ছিলাম, তার আগেই বিষয়টা আমার মাথায় এসেছিল। তখন মনে হয়েছিল, আমি তো ৯৪ রান করে ফেলেছি। সম্ভবত শতরানটা পেয়ে যাব। পরের বলে ছয় মেরেছিলাম। শতরান পূর্ণ হওয়ার পর খুব হেসেছিলাম। সেটা দেখে কারও হয়তো মনে হয়েছিল, ওই শতরানটার জন্য দু’বছর খুব কান্নাকাটি করেছি।’’
সেই শতরানের রেশ তাঁর মধ্যে বেশিক্ষণ ছিল না বলে জানিয়েছেন কোহলি। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘২ সেকেন্ডের একটা মুহূর্ত। তার পরই সেই খুশিটা শেষ হয়ে যায়। পরের দিন আবার সূর্য উঠেছিল। ব্যাপারটা এমন ছিল না যে, ওটাই আমার শেষ শতরান। বাকি জীবন সেটা নিয়েই কাটাতে হবে। যাই হোক গোটা বিষয়টা আমার কাছে খুব মজার ছিল।’’ কোহলি স্বীকার করে নিয়েছেন, সেই শতরানের সময় পারলেও পরে স্ত্রী অনুষ্কার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। জলে ভিজে ছিল তাঁর চোখ।
এক দিনের ক্রিকেটে সচিন তেন্ডুলকরের ৪৯টি শতরান থেকে তিনটি শতরান পিছনে রয়েছেন কোহলি। তা নিয়ে বলেছেন, ‘‘সেই দিনটা আমার কাছে ভীষণ আবেগের হবে, যে দিন সচিনের শতরানের সংখ্যা স্পর্শ করব।’’
অধিনায়ক হিসাবে বেশ কিছু ভুল করেছিলেন বলে মেনে নিয়েছেন কোহলি। তার জন্য তিনি লজ্জিত নন। বরং ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথা বলেছেন। কোহলি বলেছেন, ‘‘ভুল স্বীকার করতে আমার কোনও লজ্জা নেই। অধিনায়ক থাকার সময় বেশ কিছু ভুল করেছি। তবে একটা কথা বলব, প্রথম থেকে শেষ দিন পর্যন্ত কখনও ব্যক্তিগত স্বার্থে কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি। নিজের কথা ভেবে কখনও নেতৃত্ব দিইনি। আমার কাছে সব সময় শুধু দলের স্বার্থ গুরুত্ব পেয়েছে।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘সিদ্ধান্ত ঠিক বা ভুল যাই হয়ে থাকুক, আমার মেনে নিতে কোনও সমস্যা নেই। ভুল হলে ব্যর্থতা মেনে নিতে হয়। কারণ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারাও একটা ব্যর্থতা। আমার কখনও উদ্দেশ্য ভুল ছিল না। যতক্ষণ সঠিক থাকছেন ভাল। যখন ভুল হবে তখন সেই ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া দরকার।’’
ভুল করা নিয়ে কোহলি বলেছেন, ‘‘অনেক সময় আমাদের অনেক সিদ্ধান্ত ভুল হয়। সেই ভুলগুলোই আমাদের শেখায়। তার পর যে যাত্রা শুরু হয়, তার অধিকাংশই ভাল হয়। সঠিক পথে এগোতে থাকে সব কিছু। এই সব পরিস্থিতিও আমাদের কিছু না কিছু শেখায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy