দৃঢ়: বাবার মন্ত্রে দীক্ষা নিয়েই সাফল্য কোহলির। —ফাইল চিত্র।
ক্রিকেট খেলবে নিজস্ব যোগ্যতায়। তার জন্য কাউকে উৎকোচ দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
প্রয়াত পিতা প্রেম নাথ কোহলির সেই পরামর্শকে মন্ত্রের মতোই পালন করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেকে এই উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন বিরাট কোহলি। এক পডকাস্টে সেই অজানা কাহিনি শুক্রবার ফাঁস করেছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক।
প্রসঙ্গত এ বার রঞ্জি ট্রফির জন্য ৮০জনের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে দিল্লি ক্রিকেট সংস্থা। সেই তালিকায় রয়েছে প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের নাম। রয়েছেন ভারতীয় দলের আর এক তারকা ঋষভ পন্থও।
সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে কোহলি বলেন, ‘‘জীবনে প্রথমবার নির্বাচিত হয়েছিলাম দিল্লি অনূর্ধ্ব-১৪ দলে। কিন্তু বেলা একটার সময় আমার নাম বাদ হয়ে যায়। সকলেই জানেন, রাজ্য স্তরের ক্রিকেটে কী চলে! ফলে কিছুই বলার ছিল না।’’
কিন্তু কেন এমনটা হল? বিরাট বলেন, ‘‘খুব সম্ভবত দেনা-পাওনার ভিত্তিতে সেই ক্রিকেটার আমার চেয়ে ভাল বলে বিবেচিত হয়েছিল সেই মুহূর্তে। সেই সময় কেউ একজন এসে বাবাকে প্রস্তাব দিয়ে যান, টাকা দিলে হয়তো আমি দলে জায়গা পেয়েও যেতে পারি। সব শুনে বাবা বলে দেন, দলে জায়গা পাওয়ার জন্য একটি টাকাও দেবেন না। যদি ছেলে নিজের যোগ্যতায় খেলতে পারে তো খেলবে। না পারলে পারবে না। সেই কথাটা মনে গেঁথে গিয়েছিল।’’
বিরাট আরও বলেছেন, ‘‘আমিও সেই পরামর্শ মেনে চলেছি। তার সঙ্গে আপস করিনি। নিজের দক্ষতা ও যোগ্যতা দিয়েই সমস্ত ধরনের প্রতিকূলতা অতিক্রম করে এই জায়গায় এসে পৌঁছেছি।’’
প্রসঙ্গত বিরাট ২০০৬ সালে দিল্লির হয়ে প্রথম রঞ্জি ট্রফি ম্যাচ খেলেছিলেন। সেই অভিষেক আরও স্মরণীয় হয়ে রয়েছে এই কারণে যে, সেই দিনই তাঁর বাবার জীবনাবসান হয়। সেই যন্ত্রণা বুকে চেপে রেখেই কর্নাটকের বিরুদ্ধে ৯০ রানের লড়াকু ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন তিনি। দিল্লির হয়ে কোহলি শেষ বার রঞ্জি ট্রফিতে খেলেছেন ২০১২ সালে। গাজিয়াবাদে সেই ম্যাচে প্রতিপক্ষ ছিল উত্তরপ্রদেশ।
এ দিকে, কোহলিকে এক ঝলক দেখতে ৫৮ কিমি সাইকেল চালিয়ে কানপুরে এলেন তাঁর এক কিশোর ভক্ত। উত্তরপ্রদেশের উন্নাও-এর বাসিন্দা ১৫ বছরের কার্তিকে ৫৮ কিমি সাইকেল চালিয়ে কানপুরে পৌঁছয়। সমাজমাধ্যমে এই কিশোরের ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে।
ভোর চারটেতে বাড়ি থেকে রওনা দিয়ে কানপুরের গ্রিনপার্ক স্টেডিয়ামে কার্তিকে পৌঁছয় বেলা ১১টার সময়। তবে প্রথম দিনের খেলায় যদিও বাধা হয়ে দাঁড়ায় বৃষ্টি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy