(বাঁদিকে) রবীন্দ্র জাডেজা এবং বিরাট কোহলি। —ফাইল চিত্র।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) বর্ষসেরা ক্রিকেটারের প্রাথমিক তালিকায় দুই ভারতীয়। পুরস্কার পাওয়ার দৌড়ে রয়েছেন বিরাট কোহলি এবং রবীন্দ্র জাডেজা। বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়ার দুই ক্রিকেটারের সঙ্গে তাঁদের সেরা হওয়ার লড়াই।
দীর্ঘ দিন ফর্মে না থাকার পর ২০২২ সালের এশিয়া কাপে রানে ফিরেছিলেন কোহলি। তার পর ২০২৩ সালেই তিনি চলে এলেন আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটারের দৌড়ে। টেস্ট এবং এক দিনের ক্রিকেটে সাফল্যের জন্যই পুরস্কারের প্রাথমিক তালিকায় জায়গা পেয়েছেন তিনি। গত বছর আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্টে ১৮৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছিলেন কোহলি। ২০১৯ সালের পর টেস্টে সেটাই ছিল তাঁর প্রথম শতরান। পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধেও টেস্টে ১২১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। পাশাপাশি, ২০২৩ সালে এক দিনের ক্রিকেটে ছ’টি শতরান এসেছে কোহলির ব্যাট থেকে। গত বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক কোহলি ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ৫০তম শতরানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। বিশ্বকাপে তিনটি শতরান-সহ কোহলির ব্যাট থেকে এসেছিল ৭৬৫ রান। একটি বিশ্বকাপে যা কোনও ব্যাটারের করা সর্বোচ্চ রান। কোহলি আগে দু’বার স্যর গারফিল্ড সোবার্স ট্রফি (আইসিসি বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার) জিতেছেন। তৃতীয় বার জিততে পারলে বিশ্বক্রিকেটে নতুন রেকর্ড করবেন।
পুরস্কারের লড়াইয়ে কোহলির অন্যতম প্রধান প্রতিপক্ষ সতীর্থ জাডেজা। ২০২২ সালের এশিয়া কাপে পাওয়া হাঁটুর চোট সারিয়ে ফিরেছেন ২২ গজের লড়াইয়ে। গত বছর বর্ডার-গাওস্কর ট্রফিতে ২২ উইকেট নিয়েছেন জাডেজা। ২০২৩ সালে ব্যাট হাতেও রান পেয়েছেন টেস্ট ক্রিকেটে। এক দিনের ক্রিকেটেও ভাল পারফর্ম করেছেন জাডেজা। গত এক দিনের বিশ্বকাপে ১৬টি উইকেট নিয়েছেন। ২০২৩ সালে এক দিনের ক্রিকেটে তাঁর উইকেট সংখ্যা ৩১।
বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারের জন্য প্রাথমিক ভাবে চার জন ক্রিকেটারকে বেছে নেওয়া হয়েছে। কোহলি, জাডেজার সঙ্গে লড়াইয়ে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স এবং ট্র্যাভিস হেড। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল হেডের। ফাইনালে তাঁর অনবদ্য শতরানের ইনিংস ভারতের হাত থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালেও তিনি সেরা ক্রিকেটার হয়েছিলেন। বিশ্বকাপের শেষ দু’ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল ৩২৯ রান। বিশ্বকাপে করেছেন মোট ৫৭০ রান। টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনালেও ভারতের বিরুদ্ধে ১৬৩ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেছিলেন হেড।
লড়াইয়ে আছেন কামিন্সও। তাঁর নেতৃত্বেই অস্ট্রেলিয়া পর পর টেস্ট এবং এক দিনের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ২০২৩ সালে অধিনায়ক কামিন্সের নেতৃত্বে ইংল্যান্ডের মাটিতে অ্যাশেজ় সিরিজ়ও জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। যথাযথ নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি, ক্রিকেটার হিসাবেও সাফল্য পেয়েছেন কামিন্স। জোরে বোলার কামিন্স ব্যাট হাতেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রান করেছেন দলের জন্য।
আইসিসি বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার কে পাবেন, তা নিয়ে ক্রিকেটেপ্রেমীদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেনএ বার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে কোহলি, জাডেজা, হেড এবং কামিন্সের মধ্যে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy