রবিবার নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের প্রথম একাদশে তাঁর নাম দেখে অনেকেই চমকে গিয়েছিলেন। দলে তিন জন স্পিনার থাকা সত্ত্বেও কেন তাঁকে নেওয়া হল এক জন পেসারের বদলে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। দিনের শেষে সব সমালোচনার জবাব দিয়ে গেলেন বরুণ চক্রবর্তী। পাঁচ উইকেট নিয়ে ভারতকে জিতিয়ে জানালেন, শুরুতে একটু হলেও চিন্তায় ছিলেন। পরে তা কাটিয়ে ওঠেন।
ভারতের হয়ে দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচ খেলতে নেমে পাঁচ উইকেট নিলেন বরুণ। দ্রুততম ভারতীয় বোলার হিসাবে এই কাজ করলেন তিনি। আগের রেকর্ড ছিল স্টুয়ার্ট বিনির। ২০১৪ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মীরপুরে চার রানে ছ’উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিয়ে এ দিন বরুণ বলেছেন, “শুরুর দিকে বেশ চিন্তায় ছিলাম। অস্বীকার করব না সেটা। কারণ ভারতের হয়ে খুব বেশি এক দিনের ম্যাচ খেলিনি। তবে যত খেলা এগোল তত ছন্দ ফিরে পেলাম। তার পরে আর অসুবিধা হয়নি।”
বরুণ জানিয়েছেন, দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের পরামর্শেই আত্মবিশ্বাস পেয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “বিরাট, রোহিত, হার্দিক, শ্রেয়স প্রত্যেকে নিয়মিত আমার সঙ্গে কথা বলছিল। শান্ত থাকতে বলছিল। সেটা অনেকটা সাহায্য করেছে।” বরুণকে খেলানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল শনিবার রাতেই। নিজেই সে কথা জানিয়ে বলেছেন, “গত কাল রাতেই আমাকে বলা হয়েছিল নিউ জ়িল্যান্ড ম্যাচে খেলছি। দেশের হয়ে খেলার প্রত্যাশা করছিলাম। তবু শুরুতে একটু সমস্যা হচ্ছিল।”
আরও পড়ুন:
রবিবার দুবাইয়ে পুরোপুরি স্পিন-সহায়ক পিচ ছিল, এ কথা মানতে রাজি নন বরুণ। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, “র্যাঙ্ক টার্নার বলতে যা বোঝায়, এই পিচ মোটেও সে রকম ছিল না। তবে সঠিক জায়গায় বল করলে সাহায্য পাওয়া যাচ্ছিল। যে ভাবে কুলদীপ, জাড্ডু, অক্ষর, এমনকি পেসারেরা বল করেছে তাতে প্রত্যেকেরই প্রশংসা প্রাপ্য।”