সচিন তেন্ডুলকর। —ফাইল চিত্র।
ভুয়ো ভিডিয়ো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসল কেন্দ্র। এই ধরনের ঘটনা রুখতে দ্রুত কড়া তথ্য-প্রযুক্তি আইন আনা হবে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। সমাজমাধ্যমগুলিতে নজরদারি বৃদ্ধির কথাও জানিয়েছেন তিনি।
একটি অনলাইন গেমিং সংস্থার উপর ক্ষুব্ধ সচিন। অভিযোগ, সংস্থাটি সচিন এবং তাঁর কন্যা সারা তেন্ডুলকরের একটি ভুয়ো ভিডিয়ো ব্যবহার করে প্রচার করছে। ভিডিয়োটিতে অন্য ব্যক্তির কন্ঠস্বর সচিনের বলে ব্যবহার করা হয়েছে। তাতে দেখানো হয়েছে, সারা সংস্থাটি অনলাইন গেম খেলছে। গেমটি খেলে উপার্জনও করা যায়। ভুয়ো এই ভিডিয়ো নিয়ে সমাজমাধ্যমেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সচিন। প্রযুক্তির ব্যাপক অপব্যবহার নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন তিনি। সমাজমাধ্যমে নিজের ক্ষোভ এবং বক্তব্য প্রকাশ করে প্রাক্তন অধিনায়ক যুক্ত করেছিলেন মহারাষ্ট্রের সাইবার ক্রাইম বিভাগ, কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রক এবং রাজীবকে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জিও জানান সচিন।
প্রাক্তন ক্রিকেটারের বার্তা ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। কঠোর ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব সমাজমাধ্যমে দেওয়া উত্তরে বলেছেন,‘‘এই বার্তার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ সচিন। এআইয়ের মাধ্যমে ডিপফেক এবং ভুল তথ্য ভারতের সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীদের কাছে হুমকির মতো হয়ে যাচ্ছে। তঁদের নিরাপত্তা এবং বিশ্বাসভঙ্গ হচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে। যে প্ল্যাটফর্ম বা সংস্থাগুলো এ সব করছে, তাদের উচিত এ সংক্রান্ত সাম্প্রতিক নির্দেশিকা সম্পূর্ণ ভাবে মেনে চলা। সংস্থাগুলো যাতে নির্দেশিকা মেনে চলে তা নিশ্চিত করতে আইন কঠোর করা হবে।’’
এর আগে সচিন সমাজমাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘‘এই ভিডিয়োগুলো ভুয়ো। প্রযুক্তির ব্যাপক অপব্যবহার দেখলে বিরক্ত লাগে। এই ধরনের ভিডিয়ো, বিজ্ঞাপন এবং অ্যাপগুলোর বিরুদ্ধে প্রচুর পরিমাণে রিপোর্ট করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করুন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকেও সতর্ক হতে হবে। অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা উচিত তাদের। ভুল তথ্য এবং ডিপফেকস বন্ধ করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো অত্যন্ত দ্রুত পদক্ষেপ করা গুরুত্বপূর্ণ।’’ভিডিয়োয় দাবি করা হয়, অনলাইন গেম খেলে সচিন-কন্যা দিনে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy