উইকেট নেওয়ার পরে ভারতীয় ক্রিকেটারদের উল্লাস। ছবি: এক্স।
টানা পাঁচ বার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ভারত। এ বারের প্রতিযোগিতায় দাপট দেখিয়েছে তারা। গ্রুপ পর্ব থেকে শুরু করে একটি ম্যাচও হারেনি ভারত। দলের বেশ কয়েক জন ক্রিকেটার ভাল ফর্মে রয়েছেন। তবে তাঁদের মধ্যে এমন তিন জন ক্রিকেটার রয়েছেন যাঁরা ম্যাচের রং বদলে দিতে পারেন।
১) উদয় সাহারান: দলের অধিনায়ক। শুধু নেতা হিসাবে নন, এক জন ভাল ব্যাটার হিসাবেও নিজেকে তুলে ধরেছেন তিনি। এ বারের বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক রান করেছেন উদয়। ছ’টি ম্যাচে তাঁর রান ৩৮৯। ৬৪ গড় ও ৭৮ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন এই ডান হাতি ব্যাটার। একটি শতরান ও তিনটি অর্ধশতরান করেছেন তিনি।
সেমিফাইনালে দলকে জেতাতে বড় ভূমিকা নিয়েছেন উদয়। তিনি যখন খেলতে নামেন তখন ১২ রানে ২ উইকেট পড়ে গিয়েছে ভারতের। পরে আরও ২ উইকেট পড়ে যায়। কিন্তু ভয় পাননি উদয়। অহেতুক তাড়াহুড়ো করেননি। সচিন ধাসের সঙ্গে ১৭১ রানের জুটি বেঁধেছেন। ৯৬ রানের মাথায় সচিন আউট হওয়ার পরে একার কাঁধে দলকে শেষ পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছেন। ৮১ রানের মাথায় যখন আউট হয়েছেন তত ক্ষণে দলের জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। ফাইনালেও সেই কাজটা করার চেষ্টা করবেন উদয়।
২) মুশির খান: বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। ব্যাটের পাশাপাশি বলটাও ভাল করেন তিনি। উদয়ের পরে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সর্বাধিক রানের মালিক মুশির। ৬টি ম্যাচে ৬৭ গড় ও ১০১ স্ট্রাইক রেটে ৩৩৮ রান করেছেন তিনি। দু’টি শতরান ও একটি অর্ধশতরান করেছেন।
পাশাপাশি পাঁচটি ম্যাচে বল করে ৬টি উইকেটও নিয়েছেন মুশির। তাঁর স্পিন সমস্যায় ফেলেছে প্রতিপক্ষকে। সেমিফাইনালেই সেটা দেখা গিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার সব থেকে ভাল ব্যাটার প্রিয়োরিয়াসকে আউট করেছেন মুশির। নইলে আরও বড় রান করতে পারত দক্ষিণ আফ্রিকা। ফাইনালেও ব্যাটে-বলে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবেন মুশির।
৩) রাজ লিম্বানি: হতে পারে এ বারের বিশ্বকাপে ভারতের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির নাম সৌমি পাণ্ডে, কিন্তু দলের তাস লিম্বানি। কারণ, নতুন বল তাঁর হাতেই থাকে। পাঁচটি ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ৮টি উইকেট। প্রতিযোগিতার সব থেকে দু’টি কঠিন ম্যাচে ভাল বল করেছেন লিম্বানি। গ্রুপ পর্বে নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২টি ও সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৩টি উইকেট নিয়েছেন। নতুন বলে ইনসুইং তাঁর সেরা অস্ত্র। বলের গতিও অনেক বেশি। ফাইনালে প্রতিপক্ষকে শুরুতেই ধাক্কা দিতে উদয়ের সেরা অস্ত্র হবেন লিম্বানি।
বল করার পাশাপাশি ব্যাটটাও করতে পারেন লিম্বানি। সেমিফাইনালের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মাত্র ৪ বলে ১৩ রান করেন তিনি। তার মধ্যে একটি ছক্কা। যে সময়ে তিনি সেই ছক্কা মারেন যা না হলে হয়তো জিততে পারত না ভারত। জয়সূচক চারও মারেন লিম্বানি। তাই শেষ দিকে ব্যাট হাতেও দলের কাজে আসার ক্ষমতা রাখেন এই ক্রিকেটার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy