জয়ের পরে উল্লাস ভারতীয় ক্রিকেটারদের। ছবি: পিটিআই।
মুখ থুবড়ে পড়ল ইংল্যান্ডের ‘বাজ়বল’ (ইংল্যান্ডের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলাচ্ছেন দলকে। যে হেতু তাঁর ডাকনাম ‘বাজ়’, ইংল্যান্ডের ক্রিকেটকে বাজ়বল বলা হচ্ছে।) আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে গিয়েই ডুবল তারা। হায়দরাবাদে হারের বদলা বিশাখাপত্তনমে নিলেন রোহিত শর্মারা। দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডকে ১০৬ রানে হারাল ভারত। খেলা শেষ হয়ে গেল চার দিনে। সিরিজ়ে সমতা ফেরালেন রোহিত শর্মারা।
চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেন জ্যাক ক্রলি ও রেহান আহমেদ। দু’জনে মিলে ভালই খেলছিলেন। এক দিক থেকে যশপ্রীত বুমরা ও অন্য দিকে অক্ষর পটেলকে বল দেন রোহিত শর্মা। দু’জনে চেষ্টা করেও উইকেট তুলতে পারছিলেন না। ইংল্যান্ডকে দিনেক প্রথম ধাক্কা দেন অক্ষর। ২৩ রান করে আউট হন রেহান। অক্ষরকে সঙ্গ দেয় ভাগ্য। রেহানের বলটি নিচু হয়ে যাওয়ায় ব্যাটে লাগাতে পারেননি তিনি।
তৃতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ড জানিয়েছিল, লক্ষ্য বড় হলেও খেলার ধরন বদলাবে না তারা। সেটাই দেখা যায় ইংরেজ ব্যাটারদের খেলায়। ওলি পোপ ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই সুইপ, রিভার্স সুইপ খেলতে শুরু করেন। ফলে রান উঠছিল। কিন্তু সেই সঙ্গে আউট হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ছিল। সেটাই হল। ২১ বলে ২৩ রান করে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে আউট হন পোপ। স্লিপে ভাল ক্যাচ ধরেন অধিনায়ক রোহিত।
জো রুটও প্রথম বলে রিভার্স সুইপ খেলে শুরু করেন। পর পর দুই উইকেট পড়লেও রান তোলার গতি কমায়নি তারা। ১০ বলে ১৬ রান করে অশ্বিনের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হন রুট। ইংল্যান্ডের ইনিংস এক দিকে ধরেছিলেন ক্রলি। অর্ধশতরান করে খেলছিলেন তিনি। ভাল দেখাচ্ছিল ক্রলিকে।
মধ্যাহ্নভোজের বিরতির ঠিক আগে দু’টি বড় ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। প্রথমে ৭৩ রানে ব্যাট করা ক্রলিকে ফেরান কুলদীপ যাদব। আম্পায়ার প্রথমে আউট দেননি। রিভিউ নিয়ে সফল হন রোহিত। তার পরে বুমরার ভিতরে ঢুকে আসা বল বুঝতে না পেরে ২৬ রানের মাথায় এলবিডব্লিউ হন জনি বেয়ারস্টো।
ইংল্যান্ডের আশা টিকে ছিল বেন স্টোকসের উপর। কিন্তু মধ্যাহ্নভোজের বিরতির রান আউট হয়ে যান তিনি। শ্রেয়স আয়ারের থ্রো যে সরাসরি উইকেটে লেগে যাবে তা বুঝতে পারেননি স্টোকস। সেই কারণে কিছুটা ধীরে দৌড় শুরু করেছিলেন। সেটাই কাল হয়। স্টোকস আউট হওয়ার পরে জুটি বেঁধেছিলেন বেন ফোকস ও টম হার্টলি। তাঁরা বেশ ভাল খেলছিলেন। অযথা তাড়াহুড়ো করেননি। ফলে তাঁদের আউট করতে সমস্যা হচ্ছিল বোলারদের। দু’জনের মধ্যে ৫৫ রানের জুটি হয়।
জুটি ভাঙেন বুমরা। ৩৬ রানের মাথায় ফোকসকে বোকা বানিয়ে আউট করেন তিনি। শোয়েব বশিরের উইকেট নেন মুকেশ কুমার। শেষ উইকেটও নেন বুমরা। হার্টলি ৩৬ রানে বোল্ড হওয়ার সঙ্গেই খেলা শেষ হয়ে যায়। ম্যাচ হারে ইংল্যান্ড।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy