বিশ্বকাপ হাতে ধোনিরা (বাঁ দিকে), রোহিতও কি ট্রফি জিততে পারবেন? —ফাইল চিত্র
১১ বছর আগে দেখা গিয়েছিল ছবিটা। ভারতে এক দিনের বিশ্বকাপে বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। ইংল্যান্ডের করা ৩২৭ রান তাড়া করে জিতেছিলেন পল স্টার্লিং, কেভিন ও’ব্রায়েনরা। সে বার বিশ্বকাপ জিতেছিল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ভারত। এ বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও সেই একই ঘটনা ঘটেছে। আয়ারল্যান্ডের কাছে ইংল্যান্ড হেরেছে। তবে কি এ বার শিকে ছিঁড়বে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের? ১৫ বছর পরে কি আবার টি-টোয়েন্টির মসনদে বসতে পারবে ভারত?
২০১১ সালের বিশ্বকাপে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩২৭ রান করেছিল ইংল্যান্ড। অর্ধশতরান করেছিলেন কেভিন পিটারসন, জোনাথন ট্রট ও ইয়ান বেল। পিটারসন ৫৯, ট্রট ৯২ ও বেল ৮১ রান করেছিলেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে একটা সময় ১১১ রানে ৫ উইকেট পড়ে গিয়েছিল আয়ারল্যান্ডের। সবাই যখন ধরে নিয়েছিল ইংল্যান্ড জিতবে, ঠিক তখনই দানবীয় ইনিংস খেলেছিলেন কেভিন ও’ব্রায়েন। ৬৩ বলে ১১৩ রান করেছিলেন তিনি। তাঁকে সঙ্গ দিয়েছিলেন অ্যালেক্স কুসাক ও জন মুনি। পাঁচ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে গিয়েছিল আয়ারল্যান্ড।
এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ১৫৭ রান করে আয়ারল্যান্ড। অভিজ্ঞ স্টার্লিং ১৪ রান করে আউট হয়ে গেলেও আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক বলবির্নি ভাল খেলেন। তাঁকে সঙ্গ দেন তিন নম্বরে নামা দলের উইকেটরক্ষক টাকার। দু’জনের মধ্যে ৮২ রানের জুটি হয়। দলকে ১০০ রানের গণ্ডি পার করান তাঁরা। ২৭ বলে ৩৪ রান করে আউট হন টাকার। বলবির্নি ৪৭ বলে ৬২ রান করে আউট হয়ে যাওয়ার পরে বাকিরা রান পাননি। পুরো ২০ ওভার খেলতে পারেনি আয়ারল্যান্ড। ১৯.২ ওভারে ১৫৭ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডের শুরুটাও ভাল হয়নি। শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক জস বাটলার। আর এক ওপেনার অ্যালেক্স হেলস করেন ৭ রান। বেন স্টোকস ৬ রান করে আউট হয়ে গেলে চাপে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন দাউইদ মালান ও হ্যারি ব্রুকস জুটি। কিন্তু ১৮ রান করে ব্রুকসও আউট হয়ে যান। মালান করেন ৩৫ রান। বৃষ্টির জেরে ১৪.৩ ওভারের পরে খেলা বন্ধ করে দেন আম্পায়াররা। ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে তখনও ৫ রানে পিছিয়ে ছিল ইংল্যান্ড। খেলা শুরু করার জন্য হাতে ছিল ১৪ মিনিট। কিন্তু বৃষ্টির বেগ ক্রমশ বাড়তে থাকায় আম্পায়াররা খেলা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। হারতে হয় ইংল্যান্ডকে।
২০১১ সালের বিশ্বকাপে আরও একটি ঘটনা ঘটেছিল, যা এ বারও হয়েছে। সে বারও নেদারল্যান্ডসকে হারিয়েছিল ভারত। দিল্লির মাঠে প্রথমে ব্যাট করে ১৮৯ রান করেছিল নেদারল্যান্ডস। জবাবে ৫ উইকেট হারিয়ে সেই রান তাড়া করে জিতে গিয়েছিল ভারত। অর্ধশতরান করেছিলেন যুবরাজ সিংহ। এ বার প্রথমে ব্যাট করে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা ও সূর্যকুমার যাদবের অর্ধশতরানে ভর করে ২০ ওভারে ১৭৯ রান করে ভারত। জবাবে ২০ ওভারে ১২৩ রান করতে পারে নেদারল্যান্ডস। ৫৬ রানে ম্যাচে জেতে ভারত।
অর্থাৎ ২০১১ সালের বিশ্বকাপে এমন দু’টি ঘটনা ঘটেছিল, যা এ বারের বিশ্বকাপেও ঘটেছে। সে বার ২৮ বছরের খরা কাটিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। এ বারও কি সেই ঘটনা দেখা যাবে? ১৩ নভেম্বর মেলবোর্নে কি ট্রফি তুলতে দেখা যাবে রোহিতকে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy