আত্মবিশ্বাসী ভারত। — ফাইল চিত্র।
যে প্রতিযোগিতার শেষ লিগ ম্যাচের আগে পর্যন্ত জানা যায় না, কারা পরের রাউন্ডে যাবে এবং টেবিলে তারা কত নম্বরে থাকবে, সেই প্রতিযোগিতাকে সফল বলতেই হবে। শুধু এই ব্যাপারটাই নয়। যে রকম অঘটন ঘটেছে আর একেবারে শেষ মুহূর্তে গিয়ে ম্যাচের মীমাংসা হয়েছে, তাতেও চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সাফল্যের তকমা দিতেই হবে।
যেত ক’টা ম্যাচে শেষ মুহূর্তে খেলার নিষ্পত্তি হয়েছে, সেখানে হেরে যাওয়া দলগুলো দেখবে, ফিল্ডিংই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। কখনও বা ক্যাচ ফেলেছে, কখনও বা বল গলিয়ে দিয়েছে। কখনও বা ওভারথ্রোয়ে এক-দু’রান দিয়েছে, যা জয়-পরাজয়ের মধ্যে ফারাক গড়ে দিয়েছে।
ফিল্ডিং সব সময়ই ক্রিকেটের সবচয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিশেষ করে এই ফর্ম্যাটে, যেখানে একটা রানেই জয়-পরাজয় ঠিক হয়ে যায়। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের কথাই ধরা যাক না। কে এল রাহুলের দুরন্ত একটা থ্রো বিপজ্জনক হয়ে ওঠা লিটন দাসকে রান আউট করিয়ে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয়।
অঘটনের কথা বললে এক নম্বরে অবশ্যই থাকবে জ়িম্বাবোয়ের পাকিস্তানকে হারানো। ম্যাচের শেষ বলে ওরা পাকিস্তানকে হারিয়ে দেয়। বাংলাদেশকেও ম্যাচের শেষ বলে হারাতে পারত। কিন্তু শেষ বলে চার মারতে পারেনি। বাংলাদেশকে হারাতে পারলে জ়িম্বাবোয়েও কিন্তু গ্রুপ ‘টু’ থেকে সেমিফাইনালে ওঠার দৌড়ে ভাল মতো থাকত।
ওই হারটা সম্ভবত জ়িম্বাবোয়েকে বড় ধাক্কা দিয়ে যায়। পরের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে আত্মসমর্পণ করে জ়িম্বাবোয়ে। আজ, রবিবার, সামনে ভারত। এই ম্যাচে নিজেদের প্রমাণ করার একটা বাড়তি তাগিদ থাকবে জ়িম্বাবোয়ের ক্রিকেটারদের। শুধু তো বিশ্বের অন্যতম সেরা দলের বিরুদ্ধে জয় পাওয়াই নয়, ভাল খেললে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার হাতে পেয়ে যেতে পারে আইপিএল চুক্তিও। সবাই জানে, এক জন ক্রিকেটারের কাছে আইপিএল চুক্তি কত বড় একটা প্রাপ্তি।
ভারতীয় দলটার মধ্যে দারুণ একটা ব্যাপার লক্ষ্য করছি। ওদের আত্মবিশ্বাস। যে আত্মবিশ্বাস ওদের কঠিন পরিস্থিতি থেকে বার করে নিয়ে আসছে। যেমন দেখা গিয়েছে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। ভারতীয় দল কখনওই ম্যাচ ছেড়ে সরে আসে না। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করে যায়। এটা হয়তো ক্রিকেটারদের মানসিক ভাবে নিংড়ে নেয়, কিন্তু এই দলটার জেতার খিদে মারাত্মক। তাই কঠিন পরিস্থিতি থেকেও ফিরে আসে।
চলতি বিশ্বকাপে আমরা বিরাট কোহলি এবং সূর্যকুমার যাদবের ব্যাটে অসাধারণ সব ইনিংস দেখেছি। প্রতিটা ম্যাচে ফিল্ডিংয়ে ধারাবাহিক ভাবে উন্নতি হচ্ছে। (টিসিএম)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy