টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম দু’ম্যাচে হার নিয়ে চিন্তিত নন শাহিন। ছবি: টুইটার।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখনও সেরা ছন্দে দেখা যায়নি শাহিন আফ্রিদিকে। তাঁর ফিটনেস নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। তাঁকে খেলানো নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ায় বিশ্বকাপের মাঝেই মুখ খুললেন বাঁ হাতি জোরে বোলার।
পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটারদের পাশাপাশি শাহিনের ফিটনেসের সমালোচনা করতে শুরু করেছেন সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীরাও। বিষয়টা পছন্দ হচ্ছে না তাঁর। শাহিন বলেছেন, ‘‘এই ধরনের গুরুতর চোট সারিয়ে তিন মাস মাঠে ফিরে আসা সহজ নয়। আশা করব ঈশ্বর কাউকে এমন গুরুতর আঘাত দেবেন না। যারা এ ধরনের চোট পেয়েছে, তারাই শুধু জানে কতটা কঠিন ফিরে আসা। বিশ্বকাপে ১০০ শতাংশই দেওয়ার চেষ্টা করছি। বলের গতি আগের মতোই রয়েছে। গড়ে ১৩৫ থেকে ১৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে বল করছি। হ্যাঁ এটা ঠিক, এখনও সম্পূর্ণ ফিট হতে পারিনি। চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব আগের মতো ফিটনেস ফিরে পেতে। ম্যাচ ফিটনেস আলাদা জিনিস। তিন মাস পর খেলতে নামলে হঠাৎ করে ম্যাচ ফিট হওয়া সম্ভব নয়। একটু সময় লাগে।’’
তিনটি ম্যাচ খেলে মাত্র ১ উইকেট পেয়েছেন শাহিন। পার্থের দ্রুতগতির উইকেটে নেদারল্যান্ডসের মতো দলের বিরুদ্ধে মাত্র ১ উইকেটেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাঁকে। এ সব নিয়ে চিন্তিত নন শাহিন। পাক জোরে বোলার বলেছেন, ‘‘চিকিৎসার সময় লন্ডনে একা ছিলাম। দু’তিন মাসের এই সময়টা খুব কঠিন ছিল। আগে কখনও এরকম বড় চোট পাইনি। সতীর্থ এবং বন্ধুদের পাশে পেয়েছি কঠিন সময়। সকলে সব সময় আমাকে উৎসাহিত করেছে। বিশ্বকাপ খেলার লক্ষ্য নিয়েই এগোতে চেয়েছিলাম। সেটা হওয়ায় ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিতে চাই।’’
নিজের অসহায়তার কথাও জানিয়েছেন শাহিন। তিনি বলেছেন, ‘‘প্রথম দু’টো মাস খুব কঠিন ছিল। ঠিক মতো হাঁটতেও পারতাম না। বেশি হাঁটাচলা করলে পা আরও ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। জিন ছাড়া কোথাও যেতাম না। শেষ দু’সপ্তাহ ইন্ডোরে বোলিং করেছি। বল করার জন্য যাতে ঠিক মতো দৌড়তে পারি, সে জন্যই ইন্ডোরে বল করছিলাম। তা ছাড়া ইংল্যান্ডে তত দিনে গ্রীষ্ম শেষ হয়ে গিয়েছিল। ওখানকার কোনও মাঠেই বল করার সুযোগ ছিল না তখন। পিচ ছিল না।’’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম দু’টি ম্যাচেই হেরেছেন বাবর আজ়মরা। তা নিয়ে চিন্তিত নন শাহিন। তিনি বলেছেন, ‘‘দুটো ম্যাচই আমরা হেরেছি অল্পের জন্য। জানি, আমরা দল হিসাবে অনেক ভাল। দুটো ম্যাচেই কিন্তু আমাদের দীর্ঘ সময় দাপট ছিল। ওই ম্যাচগুলো এখন অতীত। ভেবে লাভ নেই। সবাই মিলে নিজেদের সেরা দেওয়ার চেষ্টা করছি। যেটুকু আমাদের হাতে রয়েছে, আমরা সেটুকুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। অন্য দলের ম্যাচ নিয়েও তাই ভাবছি না। ভাল পারফরম্যান্স করার আত্মবিশ্বাস আমাদের আছে।’’
নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে জয়কে ক্রিকেটপ্রেমীরা গুরুত্ব দিতে চাইছেন না। আফ্রিদি তাঁদের সঙ্গে সহমত নন। জোরে বোলার বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপে কোনও দুর্বল দল খেলে না। কাউকে সহজ ভাবে নেওয়া যায় না। আমরা কিন্তু লড়াইয়ে আছি। প্রথম দু’টো ম্যাচের ফলাফল আমাদের পক্ষে না এলেও ভালই খেলেছি। বাকি ম্যাচগুলোয় দলের সকলে সেরাটাই দেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy