পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছেন বিরাট কোহলি। তাঁর ব্যাটেই পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছে ভারত। কোহলির ৫৩ বলে ৮২ রানের ইনিংসে তাঁর মধ্যে গঙ্গা ও চন্দ্রমুখীর দেখা পেয়েছেন সতীর্থ রবিচন্দ্রন অশ্বিন।

ইউটিউবে একটি ভিডিয়োতে সে দিনের কোহলির ইনিংস নিয়ে বলতে গিয়ে অশ্বিন বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয় সে দিন কোহলির শরীরের মধ্যে কোনও আত্মা ঢুকেছিল। অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলল। ৪৫ বলের পর থেকে তো আমি কোহলিকে গঙ্গা থেকে চন্দ্রমুখীতে পরিণত হতে দেখলাম।’’ উল্লেখ্য, তামিল ভাষার খুব জনপ্রিয় সিনেমা ‘চন্দ্রমুখী’। সেই সিনেমার নায়িকার দু’টি রূপ, গঙ্গা ও চন্দ্রমুখী। গঙ্গা শান্ত, কিন্তু চন্দ্রমুখী ভয়ঙ্কর। কোহলির ইনিংস বোঝাতে সেই সিনেমার কথা তুলে ধরেছেন অশ্বিন।

কোহলি ম্যাচের নায়ক হলেও ভারতের হয়ে জয়সূচক রান এসেছে অশ্বিনের ব্যাট থেকে। ভারতের যখন ২ বলে ২ রান দরকার, তখন স্টাম্প আউট হয়ে যান কার্তিক। ফলে ব্যাট করতে নামতে হয় অশ্বিনকে। তখন ১ বলে ২ রান দরকার ছিল দলের। ব্যাট করতে নামার পরে কোহলি তাঁকে কী বলেছিলেন, সে কথাও জানিয়েছেন অশ্বিন। তিনি বলেছেন, ‘‘কোহলি আমাকে অনেক কিছু বলছিল। কিন্তু ওকে দেখে আমি শুধু একটা কথাই ভাবছিলাম যে কোহলি আমাদের জয়ের কাছে নিয়ে এসেছে। তাই এখানে এসে আমি ওকে ডোবাতে পারব না। আমার জন্য ওর পরিশ্রম যাতে বৃথা না যায়। আমি শুধু ওর জন্যই জেতার চেষ্টা করছিলাম।’’

অশ্বিনকে করা নওয়াজের প্রথম বল লেগ স্টাম্পের বাইরে গেলে বল ছেড়ে দেন অশ্বিন। ফলে ওয়াইড হয়। ওই পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রাখার জন্য অশ্বিনের প্রশংসা করেছেন কোহলি। আর অশ্বিন কী ভাবছিলেন? ভারতীয় স্পিনার বলেছেন, ‘‘আমি জানতাম নওয়াজ আমার শরীর লক্ষ্য করে বল করবে। যখনই দেখলাম বলটা লেগ সাইডে যাচ্ছে, তখনই ঠিক করি আমি মারার চেষ্টা করব না। ওয়াইডে ১ রান পাই। ওই রানটা পাওয়ার পরে নিজেকে অনেক হাল্কা লাগছিল।’’

কঠিন পরিস্থিতিতে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অশ্বিনের প্রশংসা করেছেন কোহলিও। তিনি বলেছেন, ‘‘কার্তিক আউট হওয়ার পরে আমি অশ্বিনকে বলেছিলাম, কভারের উপর দিয়ে মারতে। কিন্তু সেই সময় অশ্বিন আরও বুদ্ধি খাটাল। প্রথমে ও পিছনের দিকে সরে গেল। তার পরে পায়ের দিকে বল দেখে সরে এল। আম্পায়ার ওয়াইড দিল। সেই পরিস্থিতিতে আমাদের শুধু ফিল্ডারের থেকে দূরে বল মারতে হত। সেটাই অশ্বিন করল।’’