সেমিফাইনালে উঠেই চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছিলেন পাক বোর্ড প্রধান রামিজ় রাজা। এ বার একই সুর পাকিস্তান দলের উপদেষ্টার গলায়। ছবি: পিটিআই
বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচে হেরেও অবিশ্বাস্য ভাবে সেমিফাইনালে উঠে গিয়েছে পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকাকে নেদারল্যান্ডস হারিয়ে দেওয়ার ফলেই শেষ চারের দরজা খুলে গিয়েছে তাদের সামনে। সেমিফাইনালে উঠেই চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছিলেন পাক বোর্ড প্রধান রামিজ় রাজা। এ বার একই সুর পাকিস্তান দলের উপদেষ্টা ম্যাথু হেডেনের গলায়। ঘুরিয়ে তিনি ভারত-সহ একাধিক দেশকে এক হাত নিয়েছেন।
রবিবার জয়ের পর আইসিসির টুইটারে হেডেন বলেছেন, “আমরা খুব সহজে এখানে আসিনি। নেদারল্যান্ডস না থাকলে এখানে আসতেই পারতাম না। কিন্তু পৌঁছতে পেরেছি এটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার। কেউ চায়নি আমরা এখানে আসি। আমরা সেমিফাইনালে আসায় অনেকেই চমকে গিয়েছে। সেটাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”
এখানেই না থেমে হেডেন বলেছেন, “বাকি দলগুলো ভেবেছিল আমাদের থেকে মুক্তি পেয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও ওরা মুক্তি পায়নি। আমরা এখানে এসেছি নিজেদের যোগ্যতায়। গত বার আমাদের উপর অনেক বেশি প্রত্যাশা ছিল। যে সামনে আসছিল তাকেই দলের উড়িয়ে দিচ্ছিলাম। এ বার সেই চাপ অনেকটা কম।”
প্রসঙ্গত, পাকিস্তান শেষ চারে জায়গা করে নেওয়ার পরে রামিজ় টুইটে লেখেন, ‘‘ওরাও পরিকল্পনা করে। ঈশ্বরও পরিকল্পনা করেন। আর ঈশ্বর সবার থেকে ভাল পরিকল্পনা করেন।’’ এ বারের বিশ্বকাপে ভারতের পক্ষে ‘ষড়যন্ত্র’ নিয়ে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা বার বার অভিযোগ করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, ভারতকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। রোহিত শর্মারা যাতে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে সহজে উঠতে পারেন সেই রাস্তা পাকা করে দিয়েছে আইসিসি। টেনে খেলানো হচ্ছে ভারতকে। সেই অভিযোগকারীদের মধ্যে রামিজ়ও ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ভারতের হারের পরে তিনি রোহিত শর্মাদের খেলার মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। পাকিস্তান সেমিফাইনালে উঠতেই সেই বিতর্ক আরও বাড়িয়ে দেন রামিজ়।
হেডেন অবশ্য চক্রান্তের কথা বলেই থামেননি। কোনও মতে সেমিফাইনালে উঠেও বাকি দলগুলিকে হুঁশিয়ারি পাঠিয়েছেন। বলেছেন, “আমরা বিপজ্জনক দল। সেটা বুঝুন এবং তারিফ করুন। পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা রেগে গিয়ে দাঁত-নখ বের করলে বাকিরা বিপদে পড়ে যাবে। এই বিশ্বে এবং এই প্রতিযোগিতায় কেউ আমাদের বিরুদ্ধে এখন খেলতে চাইবে না।”
বাবরদের চাঙ্গা করতে হেডেন বলেছেন, “আগামী দু’দিনে নিজেদের মন থেকে সব মুছে ফেল। যে ম্যাচেই আমরা খেলি, তরতাজা হয়ে মাঠে নামো এবং ইতিবাচক ক্রিকেট খেলো। ভয়ডরহীন ক্রিকেট যা কেউ কোনও দিন ভুলতে পারবে না। গত তিন সপ্তাহে কী হয়েছে কারওর মনে রাখার দরকার নেই। একটা দারুণ দিন গোটা জীবনটাকে বদলে দিতে পারে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy