মিয়াঁদাদ ক্রিকেটের মধ্যে রাজনীতিকে আনতে চান না। —ফাইল চিত্র
ওয়াসিম আক্রম, শাহিদ আফ্রিদিদের পর এ বার জাভেদ মিয়াঁদাদ। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় শাহের মন্তব্যের পর থেকে আক্রমণ করেই চলেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। মিয়াঁদাদ ক্রিকেটের মধ্যে রাজনীতিকে আনতে চান না।
পরের বছর এশিয়া কাপ হবে পাকিস্তানে। জয় শাহ বলেছিলেন যে, পাকিস্তানে গিয়ে ভারত এশিয়া কাপ খেলবে না। এশিয়া কাপ নিরপেক্ষ দেশে হবে। তাতেই রেগে গিয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। মিয়াঁদাদ বলেন, “আইসিসি থাকার মানে কী? এশিয়া কাপ বন্ধ করে দেওয়া হোক তা হলে। একে অপরের বিরুদ্ধে খেললে দুই দেশের ভাল হবে। ক্রিকেটের মধ্যে রাজনীতিকে আনা উচিত নয়। ক্রিকেটারদের জন্যই এই অনুরোধ করছি। এটা খেলব, ওটা খেলব না করা ঠিক নয়। তার থেকে দুই দেশের খেলাই বন্ধ করে দেওয়া হোক।”
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভার পর জয় শাহ বলেছিলেন, ‘‘আমরা পাকিস্তানে খেলতে যাব না। এশিয়া কাপ নিরপেক্ষ দেশে হতে পারে। পাকিস্তানে দল যাবে কি না সেই সিদ্ধান্ত সরকার নেয়। সেটা নিয়ে আমরা কোনও মন্তব্য করব না। ২০২৩ সালের এশিয়া কাপ নিরপেক্ষ দেশে হবে।’’
শনিবার এই বিষয় নিয়ে মুখ খোলেন রোহিত শর্মাও। ভারত অধিনায়ক বলেন, “আমার কাছে বিশ্বকাপ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেটাতেই মন দিতে চাই। বাইরে কী হচ্ছে তা নিয়ে ভাবছি না। এটা নিয়ে চিন্তা করে কোনও লাভ নেই। রবিবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়েই ভাবছি আমরা।”
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিবের মন্তব্যের পর রেগে গিয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। প্রাক্তন অধিনায়ক ওয়াসিম আক্রম বলেন, “ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড খুব বড় কথা বলে দিল। ভারত কখনও বলে দিতে পারে না পাকিস্তান কী ভাবে ক্রিকেট খেলবে। ১০-১৫ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে ক্রিকেট খেলা শুরু হয়েছে। আমি একজন প্রাক্তন ক্রিকেটার। রাজনীতিতে কী হচ্ছে আমি জানি না। কিন্তু যোগাযোগ থাকাটা প্রয়োজন। আপনার যদি কিছু বলারই ছিল জয় শাহ, তা হলে আমাদের পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলতে পারতেন। এশিয়ান কাউন্সিলের বৈঠক ডাকতে পারতেন। আপনি নিজের ভাবনার কথা জানাতেন। তা নিয়ে আলোচনা হত।”
শুধু আক্রম নন, পাকিস্তানের আরও এক প্রাক্তন অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদিও ভারতকে আক্রমণ করেছিলেন। তিনি টুইট করে লিখেছেন, “গত এক বছরে দুটো দলের মধ্যে কী অসাধারণ বন্ধুত্ব দেখা গিয়েছে। মনে হয়েছে ক্রিকেটারদের মধ্যে সব ঠিকঠাকই রয়েছে। তা হলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে কেন বিসিসিআইয়ের সচিব এ ধরনের কথা বললেন? ভারতের ক্রিকেট প্রশাসনে কতটা অনভিজ্ঞতা রয়েছে, সেটা এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে।”
জয় শাহের মন্তব্যের পর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফেও কড়া বার্তা দেওয়া হয়। বিবৃতি দিয়ে বোর্ডের তরফে বলা হয়, ‘‘এই মন্তব্যে (জয় শাহের মন্তব্যে) এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের অধীনে থাকা দেশগুলির মধ্যে ভাঙন ধরতে পারে। ভারত যদি এশিয়া কাপ খেলতে না আসে, তা হলে ২০২৩ সালে ভারতে এক দিনের বিশ্বকাপ ও ২০২৪ থেকে ২০৩১ সালের মধ্যে ভারতে হতে চলা আইসিসি প্রতিযোগিতাতে পাকিস্তান না-ও যেতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy